রাজশাহী সিটি - এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর

এশিয়ার সবচেয়ে পরিছন্ন শহর হচ্ছে রাজশাহী। দূষণ যানজট এবং মশার উপদ্রব নাই এই শহরে। নগর বাসীর সহযোগিতায় রাজশাহী হয়ে উঠেছে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে রাজশাহী সিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি রাজশাহী সিটি এবং রাজশাহী জেলার শীর্ষ ১৬ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ুন।
রাজশাহী  সিটি - এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর

রাতে এই শহরে দেখতে পাবেন রাজ মুকুট বাতি যেই বাতিগুলা রাজশাহী শহরকে উজ্জ্বল করে তুলেছে এবং আরো দেখতে পাবেন প্রজাপতি বাতি যেগুলো রাস্তাকে পুরো আলোকিত করে রেখেছে।অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর হচ্ছে রাজশাহী সিটি। এখানে রয়েছে নানান সৌন্দর্যের সমাহার।  রাজশাহী সিটি  সম্পর্কে জানতে আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। তাহলে আমার মনে হয় রাজশাহী সিটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা আপনারা পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

রাজশাহী সিটি হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর। রাজশাহীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বিভিন্ন পর্যটকীয় স্থান সবাইকে মুগ্ধ করে। যানজট কোলাহল নাই বললেই চলে এই শহরে। আপনি যদি  রাজশাহী সিটি  সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন কেন   রাজশাহী সিটি এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর বলা হয়

পরিচিতি 

পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর রাজশাহী। আম ও রেশমি বস্ত্রের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় শহর। সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলা বহু রাজা বা জমিদারের বসবাসের জন্য এই জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী। আবার কেউ বলেন রাজা গণেশের সময় রাজশাহী নামের উদ্ভব হয়।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সমৃদ্ধ এই শহরে রয়েছে বিখ্যাত মসজিদ মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। এই শহরে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য রয়েছে বাঘা মসজিদ পুঠিয়া রাজবাড়ী, পদ্মার পাড়, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। ছুটির দিনে মূলত পরিবার ও প্রিয়জন নিয়ে রাজশাহী জেলা দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ আপনাকে দিতে পারে একটু প্রাণ

রাজশাহী জেলার শিষ্য ষোলটি দর্শনীয় স্থানসমূহ

  • সাফিনা পার্ক
  •  শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা
  •  উৎসব পার্ক
  • রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
  •  বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
  •  শিশু পার্ক
  •  বাঘা মসজিদ
  •  পুঠিয়া রাজবাড়ী
  •  পদ্মার পাড়
  • পুঠিয়া শিব মন্দির
  •  রাজশাহী কলেজ
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  •  শাহ মখদুমের মাজার
  • ১৪. শহিদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
  • ১৫. রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগার
  • ১৬. জিয়া পার্ক রাজশাহী




দিন ও রাত

দিনের শেষে সূর্য নিয়েছে বিদায় এরপর রাজশাহীর প্রবেশ মুখ থেকে শুরু করে দৃষ্টি সীমার পুরোটা জুড়ে জ্বলে উঠেছে রাজ মুকুট বাতি।রাতের অন্ধকার ধুয়ে দেওয়া রাজমকুটের আলো শহরে টেনে এনেছে হাজারো পর্যটকদের।রাজ মুকুটের শোভা উপভোগের পর দর্শনার্থীদের পরবর্তী আগ্রহ প্রজাপতি বাতি যা আর বাংলাদেশের কোন শহরে নেই।

এই আলোসজ্জার রূপকার রাজশাহীর নগরপিতা খাইরুজ্জামান লিটন নগরবাসীকে সাথে নিয়ে প্রায় এক দশকে সাজিয়েছেন। রাজশাহীকে প্রতিনিয়ত নতুন রাস্তা নির্মাণ ও তাকে আলোকিত করা পরিকল্পনা মেয়র খাইরুজ্জামান লিটন মহোদয়ের ।একদিক সকালে সূর্যের আলোয় যখন চারদিক আরো স্পষ্ট তখন দেখা মিলবে শহর জুড়ে নয়ন জুড়ানো সবুজের।

নিজেদের সুখী দাবি করা এই শহরবাসীরা জানালেন এই শহর দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব কোলাহলমুক্ত শহরটিতে ধোয়া নির্গতকারী কোন যানবাহন নেই। যাতায়াতের মাধ্যম ব্যাটারিচালিত রিক্সা।

শহরবাসীর কথা

বাসিন্দাদের আশেপাশে দুই তিন কিলোমিটার পথ রিক্সায় যাইতে খরচ করতে হয় সর্বোচ্চ ২০ টাকা। যা রাজধানী বাসীর জন্য কল্পনাতীত। শহরটির কোথাও আবর্জনা জমে না। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিশ্রম করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। রাত ৯ টার পর থেকে সবার বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে।তা আবার রাতেই ভাগাড়ে ফেলা হয়। নগর বাসিও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে সজাগ।

নগরায়নের জন্য বর্তমানে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। যা শহরটির দূষণ কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে তা সাময়িক বলে মনে করছেন এই শহরের মানুষেরা। তারা বলছেন সকলের প্রচেষ্টায় সুন্দর রাজশাহী অনুকরণীয় হতে পারে বাংলাদেশের সকল শহরের জন্য।

রাজশাহী কলেজ

বাংলাদেশের সুন্দরতম কলেজ রাজশাহী কলেজ। শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য নয় শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা শিক্ষা গুণগতমান এর কারণে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেংকিং এ এটি দেশের সেরা কলেজ। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা কাল ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ। যা প্রতিষ্ঠাতার বিবেচনায় বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীন কলেজ। প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনায় তৃতীয়তম কলেজ হলেও প্রথম মাস্টার ডিগ্রী প্রথা শুরু হয় এই কলেজ থেকেই।

কলেজ গেটে ঢুকতেই যেই ভবনটি চোখে পড়ে মূলত এটি মূল প্রাতিষ্ঠানিক ভবন। এই ভ্রমণটি ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠাতার ক্ষেত্রে সবার থেকে যার বেশি ভূমিকা ছিল তিনি হলেন নওগাঁর ধুবঘাটির জমিদার রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী। রাজশাহী কলেজে প্রতিটি ভবনের সৌন্দর্য আভিজাতদের ছাপ স্পষ্ট।

এই কলেজের অন্যতম একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন হলেও হাজী মোহাম্মদ মহসিন ভবন। এটিও ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণকালের সময় হতে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এটি কলেজে সংযুক্ত ভবন ছিল।

শেষ কথা

যদি আপনাদের এই পোস্টটি করে ভালো লাগে। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাধ্যমে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। যদি এরকম নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url