দুই - তিন - চার রাকাত নামাজের নিয়ম জেনে নিন


                        বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

দুই রাকাত, তিন রাকাত ও চার রাকাত নামাজের নিয়ত। প্রথমে শুকরিয়া আদায় করি সেই মহান আল্লাহ পাকের যার অশেষ মেহেরবানী ও করুণায় আজ আমরা এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ। তিনি মহান তিনি এক ও অদ্বিতীয়। এই সম্পন্ন পোস্টটিতে দুই ,তিন , চার রাকাত নামাজের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই দুই - তিন - চার রাকাত নামাজের নিয়ম এবং চার রাকাত নামাজের নিয়ম জানতে সম্পন্ন পোস্টটি পড়ুন।
দুই - তিন - চার রাকাত নামাজের নিয়ম
যিনি এই দুনিয়া আসমান জমিনের মালিক। আমরা সবাই তার অনুগত বান্দা। আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার এবাদত করার জন্য।আমাদের সৃষ্টি করার প্রধান উদ্দেশ্য হল আল্লাহতালার ইবাদত করা। তাই আমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করব এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো।

ভূমিকা

পরম দয়ালু আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আমাদেরকে তৈরি করা হয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। অনেকেই আছেন যে নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি দুই,তিন এবং চার রাকাত নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দুই,তিন এবং চার রাকাত নামাজের নিয়ম জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

দুই রাকাত নামাজের নিয়ম 

  •  প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন।
  • মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন। সুন্নত, ফরজ, ওয়াজিব না নফল নিয়তে সেইটা উল্লেখ করুন। এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের উপর ও পুরুষেরা নাভির উপরে হাত বাঁধবেন।
  •  সানা পড়বেন।
  • এবার মনে মনে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পড়ুন।
  • সূরা ফাতিহা পড়ুন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলান।
  • সাবধানে সাথে রুকু ও দুই সিজদা করে ওঠে দাঁড়ান এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাধেন।
  • সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
  • সম্পূর্ণভাবে রুকু সিজদা করবেন এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। তারপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

তিন রাকাত নামাজের নিয়ম 

  •  প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন।
  • মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন। সুন্নত, ফরজ, ওয়াজিব না নফল নিয়তে সেইটা উল্লেখ করুন। এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের উপর ও পুরুষেরা নাভির উপরে হাত বাঁধবেন।
  • সানা পড়বেন।
  • এবার মনে মনে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পড়ুন
  • সূরা ফাতিহা পড়ুন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলান।
  • সাবধানে সাথে রুকু ও দুই সিজদা করে ওঠে দাঁড়ান এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাধেন।
  • সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
  • পূর্বের ন্যায় রুকু সেজদা করে উঠে না দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে বসবেন এবং তাশাহুদ পাঠ করবেন।আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন এবং সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন। ফরজ নামাজ না হলে সুরা ফাতেহার পর আরেকটি সূরা মিলাবেন।
  •  বিতরের নামাজ হলে তৃতীয় রাকাতের রুকু সেজদার আগে পুনরায় একটি তাকবির দিয়ে হাত বাঁধবেন এবং দোয়া কুনুত পাঠ করবেন।
  • সম্পূর্ণভাবে রুকু সেজদা করবেন এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

চার রাকাত নামাজের নিয়ম

  • প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়বেন।
  • মনে মনে নিয়ত করুন, কোন ওয়াক্তের নামাজ এখন পড়বেন। সুন্নত, ফরজ, ওয়াজিব না নফল নিয়তে সেইটা উল্লেখ করুন। এবং আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমার পরে নারীরা বুকের উপর ও পুরুষেরা নাভির উপরে হাত বাঁধবেন।
  •  সানা পড়বেন।
  •  এবার মনে মনে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পড়ুন।
  • সূরা ফাতিহা পড়ুন এবং তারপরে অন্য একটি সূরা মিলান।
  •  সাবধানে সাথে রুকু ও দুই সিজদা করে ওঠে দাঁড়ান এবং পূর্বের ন্যায় হাত বাধেন।
  • সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
  • পূর্বের ন্যায় রুকু সেজদা করে উঠে না দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে বসবেন এবং তাশাহুদ পাঠ করবেন।
  • আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন এবং সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন। ফরজ নামাজ না হলে সুরা ফাতেহার পর আরেকটি সূরা মিলাবেন।
  • রুকু সেজদা করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধবেন। তৃতীয় রাকাতে নিয়ম অনুযায়ী সূরা পাঠ করবেন।
  • সম্পূর্ণভাবে রুকু সেজদা করবেন এবং উঠে না দাঁড়িয়ে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন। অতঃপর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

শেষ কথা

আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র একটি কারণে তার ইবাদত করার জন্য। তাই আমরা আল্লাহর ইবাদত করব এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে দুই - তিন - চার রাকাত নামাজের নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন এবং পোস্টটি আপনার ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url