বাংলাদেশের সেরা ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানুন

বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেকেই বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য খুঁজে পাই না।এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি বাংলাদেশের সেরা ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
তাই আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সকল বিষয় জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেকেই বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি বাংলাদেশের সেরা ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রথমে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা সবাই জানি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে ছোট নামে বলা হয়ে থাকে ঢাবি। বাংলাদেশের একটি স্নায়ত্বশাসিত সরকারি গবেষণাগার বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। বর্তমানে যেটি অবস্থিত ঢাকার শাহবাগে। বিভিন্ন মানুষের মতে 1921 সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়।

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ১৯২১ সালের ১ এ জুলাই শুরু করা হয়। পরবর্তীতে এটি অক্সফোর্ড নামে প্রকাশ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে 20 ষ্টি আবাসিক হল, তিনটি ছাত্রাবাস, ১৩ টি অনুষদ, ৮৩ টি বিভাগ এবং ১৩ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে 56 টি গবেষণা কেন্দ্র ও সাত পিস স্নাতক পর্যায়ে অভিভক্ত সরকারি কলেজ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে গ্রন্থাগার যা বাংলাদেশের সব থেকে বড় গ্রন্থাগার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ প্রায় 600 একর জমি নিয়ে অবস্থিত। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১৮৫ জন শিক্ষক এবং 12 টি ইনস্টিটিউটে প্রায় ৩৮ হাজার ছাত্রছাত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে রয়েছে, হাকিম চত্বর, মধুর ক্যান্টিন, কার্জন হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কলাভবন, তিন নেতার মাজার, চারুকলা ইনস্টিটিউট, বকুলতলা, সিনেট ভবন, বাংলা একাডেমী, কাজী নজরুল ইসলামের কবর ইত্যাদি বিভিন্ন স্থাপনা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে রাজশাহী জেলার অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এক কথায় বলতে গেলে রাজশাহী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল ক্যাম্পাস।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী। শোনা যায় ব্রিটিশ যুগে রাজশাহীর মান উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল রাজশাহী কলেজ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রায় ৭৫৩ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এছাড়াও উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট পাঁচটি, ছাত্রদের জন্য রয়েছে ১১ টি আবাসিক হল, ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ছয়টি আবাসিক হল এবং আরো রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক এলাকা।

বর্তমান সময়ে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তিনটি সাংবাদিক সংগঠন এবং আরো রয়েছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট 15 টি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দুইটি প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবন, গ্রন্থাগার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, মমতাজ উদ্দিন কলা ভবন, ডঃ মোঃ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী অ্যাকাডেমিক ভবন, স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন এবং শিষ্টাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবন সহ ইত্যাদি বিভিন্ন ভবন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

তৃতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংক্ষেপে বলা হয় চবি।বহু অনুসদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম অবস্থিত। সাধারণত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কে বাংলাদেশের সরকারি বহু অনুসদ ভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত বিশ্ববিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় ১৯৮৬ সালে স্থাপিত হয় এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। 2019 সালের তথ্য মোতাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭৫ ছাত্রছাত্রী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। একুশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার রয়েছে এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২০ সালের তথ্য ও গবেষণা মোতাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান রয়েছে নবম স্থানে।

এছাড়াও পুরো বিশ্বের মধ্যে ৩১০১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় চট্টগ্রাম প্রধান শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির আয়তন এক লক্ষ ৭৫ হাজার ৩৮৮ একর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনীয় স্থানসমূহ গুলো হল, বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর, প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর, সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল এবং জয় বাংলা ইত্যাদি বিভিন্ন ভবন। বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে 12 টি আবাসিক হল রয়েছে। তার মধ্যে চারটি মহিলা হল এবং আটটি ছাত্রাবাস।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

চার নাম্বারে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলনার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে অবস্থিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার জন্য সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয় ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি। ১৯৯১ সালের ২৫ শে নভেম্বর ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৭ ০০০ ও দুইটি ইনস্টিটিউট এবং এর অধীনে স্কুল রয়েছে। প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় 19 টি পাঠ্য বিষয়ে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ১০৫.৭৫ একর। বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি অনুষদের অধীনে একটি ইনস্টিটিউট এবং ২৯ টি বিভাগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ৮ টি অনুষ হল,বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ,জীববিজ্ঞান অনুষদ,ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ,কলা ও মানবিক অনুষদ,সমাজবিজ্ঞান অনুষদ,আইন অনুষদ,চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

৫ নাম্বারে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কে সংক্ষেপে কবি বলা হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় 26 তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৬ সালের ২৮ শে মে। সাধারণত মঞ্চুরি কমিশন কর্তৃত্ব অনুমোদিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এটি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় টি কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় টি ২৪৪ পয়েন্ট ১৫ একর জমি জুড়ে ময়নামতির সালবন বিহারে নির্মিত রয়েছে। বর্তমানে এর পাশে রয়েছে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ এবং শালবন বিহার। ২০০৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্বোধন করে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র সাতটি বিভাগ ছিল এর প্রতিষ্ঠাকালে। বর্তমানে 19 টি বিভাগ চালু হয়েছে ছয়টি অনুষদের অধীনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ হল,প্রকৌশল অনুষদ,বিজ্ঞান অনুষদ,ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ,কলা অনুষদ,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ,আইন অনুষদ। এছাড়াও বর্তমানে পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তার মধ্যে তিনটি ছেলেদের ছাত্রাবাস এবং দুইটি মেয়েদের। এছাড়াও সর্বশেষ আবিষ্কার ও গবেষণা হিসেবে রয়েছে,রোবট সিনা,রোবট ব্লুবেরি,রোবট নিকো নামে তিনটি রোবট তৈরি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url