ই ক্যাপ এর ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানার জন্য আগ্রহি। তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের এই পাঠে আমরা ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ই ক্যাপ ক্যাপসুল হলো একটি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্যাপসুল। যেটি খাওয়া হয়, আবার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বাহ্যিকভাবে ও ব্যাবহার করা হয়। বিজ্ঞানিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি এই ক্যাপসুলের অনেক উপকারি গুণ রয়েছে।

ভূমিকা

আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ই এর ঘাটতি হয় তাহলে এই ক্যাপসুল গ্রহণ করলে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। এটি হলো একটি ভিটামিন ক্যাপসুল। আপনি যদি চান তাহলে আপনি এটি খেতে ও পারেন আবার বাহ্যিকভাবে গ্রহণ ও করতে পারেন। এই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি ই ক্যাপ কেন খায়? ই ক্যাপ কখন খেতে হয়, ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, ই ক্যাপ এর কাজ কি, ই ক্যাপ ক্যাপসুল কোনটা ভালো? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

ই ক্যাপ কেন খায়?

ই ক্যাপ ক্যাপসুল হলো মূলত একটি ভিটামিন ই যুক্ত ক্যাপসু। যেটি খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করার জন্য এই ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া হয়ে থাকে। এটি খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য সাহায্য করে। যেমনঃ
  • শরীরের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
  • শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
  • মাংস পেশীর দুর্বলতা হ্রাস করে
  • ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
  • চুলের ও শরীরের পশমের রক্ত চলাচল ঠিক রেখে পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

আমরা প্রায় সকলেই এই ভিটামিন ই যুক্ত ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেয়ে থাকি। কিন্তু কখন খেতে হবে সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। আপনারা যারা যারা এই বিষয়ে একেবারেই জানেন না তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকবেন। আশা করছি আপনি জেনে উপকৃত হবেন

ভিটামিন ই যুক্ত ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার সবথেকে উপযুক্ত সময় হলো রাত। তবে যদি চান তাহলে আপনি সকালেও এই ক্যাপসুল গ্রহণ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি কখনো কোন ভালো একজন ডাক্তারের শরাণাপন্ন হন তাহলে খেয়াল করে দেখবেন তিনি আপনাকে রাতে খাবার খাওয়ার পরে এই ভিটামিন ক্যাপসুল গ্রহণ করতে বলবেন।
তবে আপনি যখনই খান না কেন আপনি খাবার খাওয়ার পরে এই ভিটামিন ক্যাপসুল গ্রহণ করবেন। তাহলে আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। তবে অবশ্যই এটি গ্রহণ করার পূর্বে আমার একটি ব্যাক্তিগত মতামত থাকবে আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর গ্রহণ করুন।

ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি কোন ঔষধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এর নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তা না হলে আপনি যদি এই নিয়ম ছাড়া ব্যাবহার করেন তাহলে সেটি হতে পারে আপনার হিতের বিপরীত। তাই আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই জেনে নেই।
  • যেসকল মায়েরা গর্ভবতি রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া উচিত হবে না। আপনার যদি গর্ভাবস্তার শের দিকে হয়ে থাকে তাহলে আপনি ১০০ m.g করে গ্রহণ করতে পারেন। তবে সুবিধা হয় আপনি যদি একজন ডাক্তারের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন।
  • ভিটামিন ই যুক্ত ই ক্যাপ ক্যাপসুল শিশুদের জন্য অনেক উপকারি হবে যদি আপনি তাকে সঠিক পরিমাণে খাওয়ান। তাই যেসকল শিশুদের বয়স ১-৩ বছর তাদের ক্ষেত্রে 300 IU খাওয়াতে পারেন। আবার যাদের বয়স ৯-১৪ বছর তাদের ক্ষেত্রে 450 IU খাওয়াতে পারেন। আর যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের জন্য 1200 IU দিতে পারেন।
  • যেসকল ব্যাক্তিদের ডায়েটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষত্রে ই ক্যাপ ক্যাপসুল কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। তারা যদি বেশি পরিমাণে এটি গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে তাদের হার্টের ঝুঁকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তারা যদি এই ঔষধ গ্রহণ করতে চায় তাহলে ৪০০ IU পরিমাণ গ্রহণ করতে পারেন।
  • আবার যারা নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে একদমই ই ক্যাপ ক্যাপসুল গ্রহণ করা উচিত হবে না। তবে যদি তাদের প্রয়োজন হয় তাহলে তারা খুবই অল্প পরিমাণে 400 IU সেবন করতে পারেন। তবে সেক্ষত্রে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো হবে।
  • এখানে সকল নির্দেশনা দেখানো হয়েছে। যদিও আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আপনার জন্য কোন ঔষধ ভালো হবে সেটা আপনার ডাক্তারই বলতে পারবে। তাই আপনার উচিত কোন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ঔষধ ব্যাবহার না করা। তবে আপনার যদি জরুরি প্রয়োজনে দরকার পরে খাওয়ার তাহলে অবশ্যই ঔষধের গায়ে দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন।

ই ক্যাপ এর কাজ কি

আমরা প্রায় সকলেই ই ক্যাপ ক্যাপসুল গ্রহণ করে থাকি। কিন্তু এর আসল কাজ কি সে নিয়ে আমাদের অনেকের প্রশ্ন থাকে। অথবা আমরা অনেকেই তেমন একটা ভালো জানি না। তাই আমরা এখন এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো। আর এর কাজগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করাবো।
এটি হলো একধরণের খাওয়ার উপযোগি ক্যাপসুল। এটি আমাদের শরীরের প্রায় সকল ধরণের ভিটামিনের অভাব পূরণ করে থাকে। আবার তার পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে থাকে। আবার আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বৃদ্ধি করতে অনেক সহযোগিতা করে থাকে।

এই ক্যাপসুল অন্যান্য অক্সিজেন সংবেদনশীল (ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি) অক্সিডেশনের প্রতিরোধ করে থাকে। আর এই ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যেমন নবজাতকের ইডিমা, শরীর জ্বালা করা, থ্রম্বসিস ও হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া সহ আরো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সকল পরিস্থিতি মকাবেলা করার জন্য এটি অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিটি ঔষধেরই অনেক উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তবে আপনি যদি একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে তেমন একটা পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। আর যদি আপনি এই সম্পর্কে না জেনে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

ই ক্যাপের উপকারিতা গুলোর মধ্যে রয়েছে
  • রিক্তচাপ কমায়
  • ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রতিরোধ করে
  • প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম থেকে রক্ষা করে
  • ত্বকের যত্ন নিতে অনেক সহায়তা করে থাকে
  • বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে থাকে
  • শরীরের ক্ষত ঠিক করতে ব্যাবহার করা হয়
  • হার্ট সুস্থ রাখতে ব্যাবহৃত হয়
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে
আর ই ক্যাপের অপকারিতা গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
  • শরীর একটু মোটা হতে পারে
  • এলার্জির একটু সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • বমি বমি ভাব দেখা যেতে পারে
  • ডায়রিয়ার পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এই সকল উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে আপনি আরো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন। তাই নিম্নের থেকে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ই ক্যাপ ৪০০ এর উপকারিতা

রিক্তচাপ কমায়ঃ ই ক্যাপ শরীরের রক্ত চাপ অনেক পরিমাণে হ্রাস করে থাকে। আর এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট এটাকের মতো নানান ধরণের রোগ দেখা দেয়। আর এই রক্তপ কার্ডিওভাসকুলার রোগের অনেক বড় একটি ঝুঁকির কারণ।

ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রতিরোধ করেঃ ফ্রি র‌্যাডিকেল মানবদেহের জন্য অনেক মারাত্মক। এই রোগ মানবদেহের কোষকে ধ্বংস করে ফেলে। আর এই থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে এই ভিটামিন ই। যা ই ক্যাপ ক্যাপসুলে থেকে থাকে।

প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোমঃ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশিরভাগ মহিলারা। কারো কারো জন্যে এটি অনেক বেদনাদায়ক ও দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। তবে আপনি যদি এর ৮০%-৯০% মানুষজনের মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলে এই ভিটামিন ই আপনার জন্য অনেক সুবিধা বয়ে নিয়ে আসতে পারে।

ত্বকের যত্নঃ ভিটামিন ই ত্বকের যত্নে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি ত্বকের টিস্যুকে অনেক মসৃণ করে। ফলে আপনার ত্বক থাকবে অনেক উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।

বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করেঃ আমরা প্রশই খেয়াল করে থাকবো যে, আমাদের বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বক অনেকটাই কুচকে যায়। যার ফলে আমাদের মুখে বলিরেখাও অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনি নিয়োমিত ভিটামিন ই ব্যাবহার করতে পারেন।

শরীরের ক্ষত ঠিক করতেঃ যদি দেখতে পান আপনার শরীরের কথাও কেটে গিয়েছে তাহলে সেখানে ই ক্যাপ ক্যাপসুলের তেল ব্যাবহার করুন। কারণ কাটা স্থান শুকাতে এটি অনেক চমৎকার কাজ করে থাকে। আর আপনি যদি নিয়মিত এই ক্যাপসুল ব্যাবহার করেন তাহলে আপনার ক্ষত স্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

ই ক্যাপ 400 এর অপকারিতা

ইতিপূর্বে আমরা সকলেই ই ক্যাপ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন আমরা সকলেই জানি যে সকল জিনিসেরই অনেক উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেই এই ক্যাপসুলের কি কি উপকারিতা রয়েছে সেই সম্পর্কে।
ই ক্যাপ ক্যাপসুল যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। তবে আপনি যদি এমনিতেই অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই জেনে নেই কি পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • শরীর একটু মোটা হতে পারেন
  • এলার্জির একটু সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • বমি বমি ভাব দেখা যেতে পারে
  • ডায়রিয়ার পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এই সকল পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে না। তাবে এগুলোও দেখা দিবে না যদি না আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করে থাকেন। আশা করছি আপনি সকলকিছু অনেক ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ই ক্যাপ ক্যাপসুল কোনটা ভালো?

ভিটামিন ই ক্যাপের অনেক ধরণের কোয়ালিটি রয়েছে। এখন সেখান থেকে ভালোর বিষয় টা সম্পূর্টা নির্ভর করে আপনার উপর। আপনার জন্য যেটা মানানসই সেটাই আপনার জন্য ভালো। আর যেটি আপনার জন্য তেমন একটা মানানসই নয় সেটি আপনার জন্য তেমন একটা ভালো নয়।

প্রায় অনেকধরণের কম্পানির ই ক্যাপ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তাদের নাম নিচে দেওয়া হলো
  • স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
  • স্কাই ফার্মা লি.
  • এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লি.
  • এস্কাইফ ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
  • স্ক্যান ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
  • ফার্মা এক্সপোর্টস লি.
  • বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
  • মেডিমার্ক লিমিটেড
  • ডেসকো ল্যাবরেটরিজ লি.
এই সকল কোম্পানির আবার বিভিন্ন ধরণের বিভিন্ন IU এর ঔষধ পাওয়া যায়। সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো
  • E-Cap 200 IU
  • E-Gold 200 IU
  • E-Gel 200 IU
  • E-Soft 200 IU
  • E-Gold 200 IU
  • Vegecap-E 200 IU
  • Nature-E 200 IU
  • Ovit-E 200 IU
  • Vegecap-E 400 IU
  • Nature-E 400 IU
  • Ovit-E 400 IU
  • E-Soft 400 IU
  • E-Cap 400 IU
  • E-Gel DS 400 I
  • E-Gold 400 IU
  • E-Cap 600 IU
  • E-fill 200 mg
  • Ecovit-S 200 mg
  • Evit 200 mg
  • Inovit E 200 mg
  • Liqu-E 200 mg
  • Lifil-E 200 mg
  • Inovit E 400 mg
  • Evit 400 mg
  • E-fill 400 mg
  • Ecovit 400 mg
তথ্যসূত্রঃ Technicalcarebd

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হওয়া যায়?

ভিটাইন ই যুক্ত ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হওয়া যায় নাকি এই নিয়ে অনেকেই অনেক ধরণের প্রশ্ন করে থাকেন। তবে আপনি যদি এই প্রশ্নে ই উত্তর খুজে থাকেন তাহলে এর উত্তর হবে না। আর আপনাকে যদি আপনি ই ক্যাপ ক্যাপসুল খান তাহলে আপনি মোটা হবেন। এই রকম কথা হলো একদম বানোয়াট।

এই ক্যাপসুল খেলে আমাদের শরীরের অনেক ধরণের ভিটামিনের উপকার হয়। আমাদের শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করে থাকে। তবে আপনি যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের একটূ পরিবর্তন আসতে পারে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণটি বুঝতে পেরেছেন।

ই ক্যাপ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ভিটামিন ই ৪০০ খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ হ্যা অবশ্যই খাওয়া যাবে। তবে আপনি যদি দির্ঘ সময় ধরে ব্যাবহার করেন তাহলে পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।

প্রশ্নঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে কিভাবে ব্যবহার করব?
উত্তরঃ আপনি এই ক্যাপসুলের থাকা তেল আপনার মাথায় সরাসরি ব্যাবহার করতেও পারেন। আবার আপনি যদি চান তাহলে এটি আপনার অন্য তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ব্যাবহার করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ভিটামিন ই এর কাজ কি?
উত্তরঃ চুল ঘন মসৃণ, গ্লোয়িং উজ্জ্বল স্কিন, সুন্দর নখ এই সকল কাজে ভিটামিন ই অনেক কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ ই ক্যাপ 400 মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ এটি মুখে দিলে ব্রণের সমস্যা, ছোপ ছোপ দাগ, এছাড়াও ত্বকের আরো অনেক নানান ধরণের সমস্যা সমাধানে অনেক কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে তেমন একটা ক্ষতি দেখতে পাওয়া যায় না। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় গহণ করে থাকেন তাহলে সেটি আপনার শরীরে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন শরীরে ক্লান্তি অনুভব, মাথাব্যাথা করা, এলার্জির সমস্যা এই সকলই। এছারা আর তেমন কোন সমস্যা দেখা যায় না।

প্রশ্নঃ কোন ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের জন্য ভালো?
উত্তরঃ Evion 400 ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের জন্য অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ আমি কি চুল বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন evion 400 খেতে পারি?
উত্তরঃ হ্যাঁ। Evion 400 প্রতিদিন সেবন করা নিরাপদ, যতক্ষণ না আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শের থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করছেন।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্তিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। রাকিব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url