খাঁটি মধু চেনার উপায় - সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায়

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা খাঁটি মধু চেনার উপায় ও সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যদি খাঁটি মধু চিনতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা খাঁটি মধু চেনার উপায় আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
খাঁটি মধু চেনার উপায় - সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায়
আপনি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লে মধু কিভাবে তৈরি হয় সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায় চুন দিয়ে মধু পরীক্ষা নষ্ট মধু চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্টসূচনা

ভূমিকা

মধুকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ও বলা হয়। মধু খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরো অনেক উপকার হয় প্রতিদিন নিয়োমিত মধু খেলে। মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের পূর্বের পাঠে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মধু কিভাবে তৈরি হয়

খাঁটি মধু চেনার উপায় জানার জন্য আমাদের প্রথমে মধু কিভাবে তৈরি হয় সেই সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত। মধু কিভাবে তৈরি হয় এটা মাধ্যমে আপনি মধুর সম্পর্কে আরো একটু জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেই মধু কিভাবে তৈরি হয়।

পৃথিবীতে যখন সবথেকে মিষ্টি খাদ্যের নাম উল্লেখ করা হবে তখনই সবার আগে চলে আসবে মধুর নাম। মধুতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রূক্টোজ থাকে। যেইটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। এই মধু সংগ্রহ করার জন্য কর্মি মৌমাছি প্রতিটি ফুলে ফুলে বিচরণ করে। ফুলের মধ্যে একপ্রকার তরলজাতীয় পদার্থ থাকে। যার নাম হলো নেক্টার। আর কর্মি মৌমাছি প্রতিটা ফুলের মধ্যে থেকে এই নেক্টার সংগ্রহ করে।
আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
একটি মৌমাছি তাদের পাকস্থলীতে ৭০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ফুলের এই রস নেক্টার ধারণ করতে পারে। একটি মৌমাছির দুটি করে পাকস্থলী থাকে। তারা এ দুটি পাকিস্তানি একটিতে অর্থাৎ মধু পাকস্থলীতে এই রস জমা করে নেয়। একটি মৌমাছির পাকস্থলী ফুলের রস দিয়ে পূর্ণ হলে তা প্রায় একটি মৌমাছির সমান ওজন হয়।

আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এই রস সংগ্রহ করতে একটি মৌমাছিকে ১০০ থেকে ১৫০০ ফুল পর্যন্ত ঘুরতে হয়। মৌমাছিরা এই রস সংগ্রহ করার জন্য তাদের মৌচাকের কাছাকাছি দুই কিলোমিটারের মধ্যে না পেলে তারা এরা সংগ্রহের জন্য ৭ থেকে ৯ কিলোমিটারেরও বেশি অর্থাৎ ১০ কিলোমিটারের বেশি যেতে পারে।
মৌমাছিরা এই রস সংগ্রহের পর তাদের পাকস্থলীতে রাখার পর মৌমাছিদের মুখ থেকে যে লালা মিশ্রিত হয় সেই লালা এই রসের সাথে মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিকভাবে জোটের বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর সেই মধু মৌমাছিরা তাদের মৌচাকে গিয়ে সংরক্ষণ করে। এইভাবে একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মধু তৈরি হয়।

মধু পরীক্ষা করার যন্ত্র

আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য মধু খাই। আর সেই মধু আমরা তো সরাসরি মৌচাক থেকে সংগ্রহ করতে পারি না। যার ফলে বাজার থেকে মধু আমরা মধু সংগ্রহ করে থাকি। উনারা খাঁটি মধু বলে আমাদের কাছে বিক্রি করেন। আমরা তাই বিশ্বাস করা ক্রয় করি। মধু পরিক্ষা করার ও একটি যন্ত্র রয়েছে আপনি কি জানেন সেই যন্ত্রের নাম কি? যদি না যানেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নেই মধু পরিক্ষা করার যন্ত্রের নাম।

মধু পরীক্ষা করার নাম হল NMR ( Nuclear Magnetic Resonance ) টেস্ট। এই টেস্টের মাধ্যমে মধুর স্ক্যানিং, ভেজাল এবং সত্যতার জন্য একটি উন্নত পরীক্ষান প্যারামিটার। এই পরিক্ষাটি বেশিরভাগ করা হয় জার্মানিতে অবস্থিত ইন্টারটেক ল্যাবরেটরিতে।
বাংলাদেশেও ঘরে বসে থেকে আপনি মধুর খাঁটিত্ব পরীক্ষা করতে পারবেন। মধুর খাঁটিত্ব পরীক্ষা করার একটি যন্ত্র রয়েছে। সেই যন্ত্রটির নাম হলো রিফ্রেক্টোমিটার (refractometer)। এই যন্ত্রটির দাম খুব একটা বেশি না। আপনি এই যন্ত্রটি ওয়ালমার্টে গিয়ে ক্রয় করতে পারবেন মাত্র ১৮ ইউএস ডলার দিয়ে। আবার আপনি এমাজনেও গিয়ে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন মাত্র ২৫ ডলার দিয়ে।

সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায়

আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ফুলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধু উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয়র মধু রয়েছে চার প্রকার। সেগুলো হলঃ কালোজিরার ফুলের মধু, লিচুর ফুলের মধু, সরিষার ফুলের মধু এবং সুন্দরবনের মধু। এখন আমরা জানবো সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায়। আপনি যদি সরিষা ফুলের মধু না চিনে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন সরিষা ফুলের মধু চিনার উপায়।

সরিষা ফুলের মধু চেনার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে সরিষা ফুলের মধু চেনার জন্য বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করা হলো। এগুলো যদি আপনার মধুর সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝে নেবেন এটা আপনার সরিষা ফুলের মধু। সরিষা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য গুলো হলঃ
  • এই মধুর ঘ্রাণ অনেকটা সরিষা ফলের ঘ্রাণের সাথে মিল খুঁজে পাবেন
  • এই মধুর ঘনত্ব অনেক সময় কম বা বেশি হতে পারে।
  • এই মধু যতই ঘন হোক বা পাতলা হোক না কেন এই মধু সারাবছরই জমে থাকবে।
  • এই মধু পাতলা হলে অনেক বেশি ফেনা হয়। তবে সরিষা ফুলের মধুর ঘনত্ব বেশি হলেও ফেনা হবেই এবং জমে যাবে।
  • এই মধু টাটকা টি দেখতে সাধারণত Extra Light Amber এর রঙের মতো হয়ে থাকে। তবে এটি যদি কিছুদিন আপনি রাখেন তাহলে এটি জমে যাবে এবং সাদা রঙের হয়ে যাবে।
আমাদের বাংলাদেশের সরিষা ফুলের মধু সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে অনেক উর্বর জমে রয়েছে, যেখানে প্রচুর পরিমাণে সরিষা চাষ করা হয়। আর এই সরিষার মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে সরিষার ফুল করতে শুরু করে তখন মৌমাছি চাষিরা তাদের মৌমাছির বাক্স নিয়ে এসে সরিষার জমির পাশে রেখে যান।

তারপর মৌমাছিরা ওই জমি থেকে সরিষা ফুলের ভেতর থেকে মধু নিয়ে তাদের মৌ বক্সে জমা করে। পরবর্তীতে মৌ চাষিরা তাদের মৌ মাছির বক্সতে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন।
আর পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন বর্তমানে সরিষা ফুলের খাঁটি মধুর দাম প্রায় ৮০০ টাকা।
  • * 250gm = 200TK
  • * 500gm = 400TK
  • * 1kg = 800 TK

সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার উপায়

সুন্দরবনের মধু উৎপাদনের সব থেকে উপযুক্ত সময় হল মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলাদেশের অন্য কোথাও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল না থাকলেও সুন্দরবনে চার প্রকারের ফুল পাওয়া যায়। এই ফুলগুলো থেকে মৌমাছি সেই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে মধু সংগ্রহ করার কাজে অনেক ব্যাস্ত থাকে। সেই চার প্রকার ফুলগুলো হলোঃ খলিশা, গড়ান, কেওড়া এবং বাইন। এই সময়ে এই সকল ফুলগুলো থেকে মৌমাছি যে মধু সংগ্রহ করে থাকে তাকেই আমরা সুন্দরবনের মধু বলে থাকি।

সুন্দরবনের মধু চিনার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেই বৈশিষ্ট্য গুলো জানা থাকলে আপনি চিনতে পারবেন যে এইটা সুন্দরবনের মধু। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। সুন্দরবনের খাঁটি মধু চেনার বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
  • এই মধু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
  • এই মধু খাওয়ার সময় আপনি মধুতে হালকা টকটক মিষ্টি স্বাদ অনুভব করবেন।
  • সুন্দরবনের মধুর গন্ধ আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ যুক্ত। এবং অনেকটা টকটক ঘ্রাণও পাবেন।
  • এই মধুটি দেখতে সাধারণত Light Amber রঙের হয়ে থাকে। তবে সময় ও ফুল ভেদে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
  • অনেক মানুষের কাছে সুন্দরবনের মধু আখের রসের মতো লাগে খেতে।
  • সুন্দরবনের মধুর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি হালকা একটু ঝাকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে।
  • সুন্দরবনের মধুর আরো একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই মধু কখনই জমে যাবে না। আপনি সেটা ফ্রিজের ভেতরেই কেন না রাখেন।
  • সুন্দরবনের খাঁটি মধু সবসময়ই পাতলা হবে।

চুন দিয়ে মধু পরীক্ষা

অনেক ব্যাক্তি চুন পরিক্ষার মাধ্যমে মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করেন। আপনি ও এই চুন দিয়ে মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করতে চান তাহলে অবশ্যই জেনে নিন চুন দিয়ে কিভাবে। মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করা হয়। চুন দিয়ে মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করার কোন সস্পষ্ট প্রমাণ বা বিজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে অনেক ব্যক্তিগণ চুন দিয়ে মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করে নেন। তাহলে চলুন এই পর্যায়ে আমরা চুন দিয়ে মধু পরীক্ষা কিভাবে করে জেনে নেই।
চুন দিয়ে মধুর খাঁটিত্ব যাচাই করার জন্য প্রথমে হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে চুন নিতে হবে। তারপর আপনি যেই মধু ক্রয় করেছেন বা আপনার কাছে আছে সেই মধু হাতের তালুতে নিয়ে চুনের সাথে মিশিয়ে হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাড়াতে হবে। এই ঘর্ষ্ণের ফলে যদি আপনার হাতের তালু গরম হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন মধুটি খাঁটি। আর গরম না হলে অন্যথায় বুঝে নিবেন এতে ভেজাল আছে।
এই পরিক্ষার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে আপনি চাইলে ক্ষণিকের জন্য এটি ব্যাবহার করতে পারেন।

খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে

খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে এমন ধরণের প্রশ্ন প্রায় সকলেই করে থাকেন। খাঁটি মধু চিনার ব্যাপারে অনেকে অনেক রকমের মতামত দিয়ে থাকেন। আপনি যদি খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে এই ব্যাপারে না জেনে থাকেন তাহলে এখন চলেন আমরা জেনে নেই খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে কি না।
খাঁটি মধু চেনার উপায় - সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায়
খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে এই বিষয় টা জানার আগে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার মধুটি কোন ফুলের। আপনারা ইতোপূর্বে অবশ্যই জেনেছেন যে বাংলাদেশে ৪ প্রকার ফুলের মধু পাওয়া যায়। সেগুলো হলোঃ শরিষা ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু, কালোজিরার ফুলের মধু, সুন্দরবনের মধু। এই সকল মধুর মধ্যে অন্য সকল মধু না জমলেও শরিষা ফুলের মধু জমে যাবেই। এই মধু সংগ্রহ করার পরে কিছুদিন রাখলেই জমে যাবে। তবে অন্য সকল মধু অতো সহজে জমে যাবে না।

যেমন সুন্দরবনের খাঁটি মধু কখনই জমবে না। এটিকে আপনি ফ্রিজের মধ্যেই কি বা না রাখেন। আপনি যদি সুন্দরবনের খাঁটি মধু সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ওই মধু খাঁটি কিনা এখন আপনি সেইটা চেক করতে পারবেন আশা করছি।

খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্য

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মধু হল একটি অতি প্রজনীয় একটি সামগ্রি। নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ এবং কর্মঠ থাকে। আমরা শিশুদের প্রায় সময়েই চিনির বিকল্প হিসেবে মধু দিয়ে থাকি। আমরা এই মধু বাজার থেকে সংগ্রহ করে থাকি। মধু সংগ্রহ করার পরে আপনি হয়তো সেই মধুর খাঁটিত্ব কতটুকু আছে সেইটা জানতে চাইবেন। আপনি যদি খাঁটি  মধুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এখনই জেনে নিন।

খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
  • খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি স্বাদযুক্ত। খাঁটি মধুতে কখনও কটু/বিশ্রি গন্ধ থকবে না।
  • খাঁটি মধুতে কখনো পিঁপড়ে ধরবে না। আপনি যদি খানিকটা মধু মাটিতে ফেলে রেখে দেন, আর তারপর যদি পিঁপড়ে না ধরে তাহলে বুঝে নিবেন সেইটা নিঃসন্দেহে খাঁটি মধু।
  • মধু যদি ব্লেটিং পেপারে কয়েক ফোঁটা ফেলে দেওয়ার পর যদি তার কাগজ সম্পূর্ণ শুষে না নেয় তাহলে বুঝবেন সেটি খাঁটি মধু। আর মধু ভেজাল থাকলে ব্লেটিং পেপার সম্পূর্ণ মধু শুষে নেবে।
  • খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখলেও সহজে জমবে না অথবা দানা দানা ভাব হবে না।
  • খাঁটি মধুতে দেশলাই কাঠের চুবিয়ে নিয়ে আগুন ধরালে তার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে।
  • ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে নিয়ে সেই পানিতে যদি কয়েক ফোঁটা মধু দেওয়ার পর মিশ্রণে যদি ফেনা দেখতে পান তাহলে সেই মধু খাঁটি মধু নয়।
  • এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোটা মধু ছেড়ে দেওয়ার পর সেই মধু যদি সহজেই পানিতে মিশে যায় তাহলে সেই মধু খাঁটি মধু নয়। আর যদি পানির সাথে না মিশে একটি ছোট দোলা ভার হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নেবেন মধুটি খাঁটি মধু।
  • খাঁটি মধু যদি সাদা কাপড়ে লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং আধাঘন্টা পরে সেটা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে দাগ লেগে যাবে। আর যদি সেই কাপড়ে দাগ না লাগে তাহলে মধুটি খাঁটি মধু নয়।
  • একটি ছোট সাদা কাপড় প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তারপর মধু দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে যদি আগুনের কাছে নেওয়া হয় তাহলে সেই কাপড়ে আগুন জ্বলবে এবং পটপট করে শব্দ হবে।

খাঁটি মধুর সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃ মৌচাক থেকে কতবার মধু সংগ্রহ করা যায়?
উত্তরঃ একটি মৌচাক থেকে বছরে একবার অথবা দুবার মধু সংগ্রহ করা যায়।

প্রশ্নঃ কোন ঋতুতে মধু খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ জুলাই থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর সময় পর্যন্ত মধু ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে মধু খাওয়া ভালো।

প্রশ্নঃ কতদিন পর পর মধু খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ একজন ব্যাক্তি প্রতিদিন মধু খেতে পারেন। তবে একজন পুরুষ এর জন্য প্রতিদিন ৯ চা চামচ এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। আর একজন মহিলার জন্য প্রতিদিন ৬ চা চামচ পরিমাণ এর বেশি খাওয়া যাবে না।

প্রশ্নঃ একটি ফ্লো হাইভ ফ্রেম কত মধু ধারণ করে?
উত্তরঃ একটি ফ্লো হাইভ ফ্রেম 2.3 L/3.2 kg, (2.4qt) মধু ধারণ করে রাখতে পারে।

প্রশ্নঃ মধু কি কঠিন নাকি তরল?
উত্তরঃ টাটকা মধু হল একটি সুপারস্যাচুরেটেড তরল , যা সাধারণত পরিবেষ্টিত তাপমাত্রায় জল দ্রবীভূত হতে পারে তার চেয়ে বেশি চিনি থাকে।

শেষ কথা

আজকে আমাদের আর্টিকেলের আলোচনার মূল বিষয় ছিলো খাঁটি মধু চেনার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম আরো তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল নিয়োমিত পড়ার জন্য প্রতিদিন আমাদের ওয়েভসাইট ভিজিট করুন। আর আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url