নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪ সম্পর্কে জানুন

আজকের পোস্টটিতে আমরা নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনারা যদি নতুন পাসপোর্ট করতে চান , আর এই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪
সূচিপত্র:দেশের বাহিরে কোথাও ঘুরতে যেতে হলে অথবা ব্যাবসার কাজে যেতে হলে নগরিকত্ত্ব প্রমাণের জন্য পাস্পোর্টের প্রয়োজন হয়। আবার একটি নতুন ব্যাংক একাউন্ট খুলতেও পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।

ভূমিকা

পাসপোর্ট হলো একধরণের ভ্রমনের নথি বা প্রমাণ পত্র। এটি দেশের সরকার কতৃক ইস্যু করা হয়। যার ফলে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমনের জন্য সেই ব্যাক্তির দেশের নাগরিকত্ত্বে সত্যায়িত প্রমাণ করে থাকে। আবার যদি কোন ব্যাক্তি অন্যদেশের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আনতে চান তাহলে ব্যাংক একাউন্ট খুলার জন্য এই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পরে।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, পাসপোর্টের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন। চলুন এখন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

পাসপোর্টের ইতিহাস

পাসপোর্টের ইতিহাস অনেক প্রাচিন ও পুরাতন। মধ্যযুগের ইসলামিক খেলাফত কালের সময়ের শুল্ক প্রদানের জন্য প্রমাণস্মরূপ রসিদ ছিলো একধরণরে পাসপোর্ট। এই সময়ে যেই সকল ব্যাক্তিগণ জাকাত প্রদান করতো শুধু সে সকল ব্যাক্তিরাই এই সময়ে দেশের বাহিরে ভ্রমণের অনুমতি পেতেন।
এই পাসপোর্টের অনুরূপ একটি কাগজের নথির উল্লেখ পাওয়া যায় আনুমানিক ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ আগে নেহেমিয়া ২ঃ৭-৯ পৃষ্ঠাতে। যা ছিলো গোড়ার দিকের জানা সূত্রগুলোর মধ্যে একটি। এই ভাবে যারা দেশের জন্য সুল্ক বা রাজস্ব প্রদান করতো শুধু তারাই সেই শুল্কের রসিদ দিয়ে দেশের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি পেত। আর এটিই ছিলো সেই সময়ের এখনকার পাসপোর্টের অনুরূপ।

পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে

আমরা যখন প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমবার পাসপোর্ট তৈরি করতে যাই তখন আমাদের সকলের মনেই প্রশ্ন থাকে যে আমরা এই পাসপোর্ট কতদিন পরে হাতে পাবো। আজকে আপনি এই বিষয় সম্পর্কেই জানতে চলেছেন। তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই যে আপনি কতদিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট হাতে পাবেন।

আমরা সকলেই জানি যে আমাদের দেশে দুই ধরণের পাসপোর্ট প্রদান করা হয়ে থাকে। একটি পাসপোর্ট ৪৮ পাতার, আর একটি পাসপোর্ট ৬৪ পাতার। পাসপোর্ট আবার ভিন্ন ভিন্ন ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান করা হয়। এই পাসপোর্ট আবার ধরণ অনুযায়ি প্রদান করা হয়। ধরণ রয়েছে তিনটি। সেই ধরণ তিনটি হলো
  • সাধারণ
  • জরুরি
  • অতি জরুরি
পাসপোর্ট তিন ধরণ মেয়াদের ভিত্তিতে হাতে পাওয়া যায়। আর এই ভিন্ন মেয়াদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ফি প্রদান করতে হয়। সেই সকল ফি অনুযায়ি পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কতদিনের মধ্যে আর কত টাকা ফি দিয়ে হাতে পাবো।

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার পাসপোর্টের ক্ষেত্রেঃ
  • অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৭,৫০০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৫,৫০০ টাকা।
  • সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৩,৫০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার পাসপোর্টের ক্ষেত্রেঃ
  • অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৯,০০০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৭০০০ টাকা।
  • সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৫০০০ টাকা।
আরো পড়ুনঃ 
৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার পাসপোর্টের ক্ষেত্রেঃ
  • অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৯,০০০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৭০০০ টাকা।
  • সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৫০০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার পাসপোর্টের ক্ষেত্রেঃ
  • অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ১২,০০০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৯,০০০ টাকা।
  • সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে হাতে পেতে ফি প্রদান করতে হবে ৭,০০০ টাকা।
আশা করছি আপনি এখন সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন ধরণের পাসপোর্ট কতদিনের মধ্যে হাতে পাবেন। আর আপনার যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আমরা যারা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে যাই তারা অনেকেই তেমনভাবে জানি না যে পাসপোর্ট করতে গেলে সেখানে কি কি দিতে হবে। কোন কোন কাগজপত্রগুলি তারা চাইবে। আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানেন না তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ এখন আমরা সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে চলেছি।

পাসপোর্ট করার বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর একটি ঘোষনা দেন। সেখানে তারা জানান যে পাসপোর্ট করতে হলে সেই ব্যাক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অনালাইনে নিবন্ধকৃত জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে। সেই ব্যাক্তি যদি একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক দেশের নাগরিক হন তবে এর সাথে আরো কিছু লাগতে পারে। যেমনঃ
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • পাসপোর্ট এপ্লিকেশনের একটি কপি
  • পাসপোর্টের ফি প্রধানের প্রমাণপত্র
  • নতুন পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে নাগরিক সনদপত্র
  • পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে মূল এবং ফটো কপি জমা দিতে হবে।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

এখন আমাদের দেশ অনেক ডিজিটাল হয়েছে। যার ফলে অনেক এগিয়ে গেছি আমরা। এখন অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। এই অনলাইনের মাধ্যমে যেই ডিজিটাল পাসপোর্ট করা হয় তাকে ই পাসপোর্ট বলা হয়। এখন আমরা জানবো এই ই পাসপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে।

ই পাসপোর্ট বিভিন্ন ধরণ ভেদে আলাদা আলাদা কাগজ পত্র জমা দিতে হয়। যার জন্য একেক ক্ষেত্রে একেক ধরণের কাগজ পত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পরে। ই পাসপোর্ট অনালাইনের চার ধরণের করা হয়। যেমনঃ
  • যাদের বয়স ১৮ বছর অথবা তার বেশি
  • যাদের বয়স ২০ বছরের কম কিন্তু NID Card হয়নি
  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য
  • শিশুদের জন্য
এই সকল বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ধরণের কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পরে। নিচে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো কোন কোন বিষয়ের জন্য কোন কোন কাগজ পত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। সেখানে নির্দেশনায় বলা হয় ই পাসপোর্ট করতে পাসপোর্টকারীর ব্যাক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে। আর তার সাথে তানি যে এই দেশের নাগরিক এই নাগরিকত্ব সনদ এবং তিনি কি কাজ করেন তার প্রমাণপত্র জমা দিলেই হবে।

যাদের বয়স ১৮ বছর অথবা তার বেশি তাদের পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলোঃ
  • ই পাসপোর্ট আবেদন করার ফর্ম
  • ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধের প্রমাণ পত্র
  • ই পাসপোর্ট আবেদন করার সামারী
  • কোন কাজ করছেন তার একটি সনদপত্র
  • মূল NID Card আর তার সাথে ২ টি ফটোকপি
  • দেশে বৈধ নাগরিক সনদ/চেয়ারম্যানকতৃ প্রদত্ত সার্টিফিকেট
যাদের বয়স ২০ বছরের কম কিন্তু NID Card হয়নি তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বাংলাদেশের যেই সকল ব্যাক্তিদের বয়স ২০ হয়নি। কিন্তু তারা বিদেশে যেতে চান তারাও চাইলে তাদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে পারবেন। তাদের জন্য যেই সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ
  • অনলাইনে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি।
  • ই পাসপোর্ট আবেদন করার সামারী
  • ই পাসপোর্ট আবেদন করার ফর্ম
  • ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধের প্রমাণ পত্র
  • দেশে বৈধ নাগরিক সনদ/চেয়ারম্যানকতৃ প্রদত্ত সার্টিফিকেট
  • সে যদি ছাত্র অথবা ছাত্রী হন তাহলে স্টূডেন্ট আইডি/সার্টিফিকেট
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের পাসপোর্টের আবেদন করতে শুধুমাত্র একটি ডকুমেন্ট বেশি প্রদান করতে হয়। সেটা হলো NOC অথবা GO পেপার। NOC এর পূর্ণরূপ হলো No Objection Certificate এবং GO এর পূর্ণরুপ হলো Government Order আর সকল কাগজপত্র একজন দেশের সাধারণ নাগরিকের যেমন লাগে সেই গুলো প্রদান করলেই হবে।

শিশুদের জন্য ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলোঃ
  • শিশুর অনলাইন নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদ
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের (NID) কার্ডের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট আবেদন করার সামারী
  • পাসপোর্ট আবেদন করার ফর্ম
  • পাসপোর্ট ফি পরিশোধের প্রমাণ পত্র (A Challan)
  • Gray Background এর 3R Size ছবি Lab Print
এই সকল তথ্য ছাড়াও কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে নিম্নের কিছু কিছু তথ্য লাগতে পারে। তবে সকল ক্ষেত্রে লাগবে ব্যাপারটি এমন নয়।
  • পাসপোর্ট রি ইস্যুর ক্ষেত্রে পুরোনো পাসপোর্ট
  • বিদ্যুৎ অথবা গ্যাস বিল এর কপি
  • পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে পাসপোর্ট হারানোর জন্য পুলিশের কাছে করা জিডি।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

সকলেই পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতায় পরেন। আর এর মধ্যে এই পাসপোর্ট ফি এর জটিলতা টি একটু বেশি। আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি শুধু সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। তাহলেই আপনি সকল কিছু জানতে পারবেন।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট দুই ভাবে প্রদান করা হ। একটি ৪৮ পাতার পাসপোর্ট এবং আরো একটি ৬৪ পাতার পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট আবার ধরণ অনুযায়ী এর চার্জ করা হয়। এই ধরণ রয়েছে তিনটি। সেগুলো হলোঃ
  • অতি জরুরি
  • জরুরি
  • সাধারণ
এই তিনটি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে আমরা এখন এই পর্যায়ে জানতে পারবো। তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক। কোন কোন বিষয়ে কেমন টাকা লাগে।

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার পাসপোর্টের জন্য
  • সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৪,০২৫ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৬,৩২৫ টাকা।
  • অতি জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৮,৬২৫ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার পাসপোর্টের জন্য
  • সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৫,৭৫০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৮,০৫০ টাকা।
  • অতি জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ১,০৩৫০ টাকা।
৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার পাসপোর্টের জন্য
  • সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৬,৩২৫ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৮,৬২৫ টাকা।
  • অতি জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ১২,০৭৫ টাকা।
আরো পড়ুনঃ 
১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার পাসপোর্টের জন্য
  • সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ৮,০৫০ টাকা।
  • জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ১০,৩৫০ টাকা।
  • অতি জরুরি পাসপোর্টের জন্য ফি প্রদান করতে হবে ১৩,৮০০ টাকা।

পাসপোর্ট সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ই পাসপোর্টের সবথেকে বড় সুবিধা হলো এটির মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব দ্রুত বিদেশে ভ্রমণ করা যায়। যার ফলে বিমান বন্দরে ভিসা চেক করার জন্য লাইনে দারিয়ে থাকতে হবে না।

প্রশ্নঃ ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট কোনটি?
উত্তরঃ পাসপোর্টের দিক থেকে জাপান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে প্রথম অবস্থান দখল করে ছিলো। এই ২০২৩ সালে সেটি দখল করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় স্থানে যেসকল দেশ রয়েছে সেগুলো হলো জার্মানি, ইটালি এবং স্পেন।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে 2023?
উত্তরঃ পাসপোর্ট করতে এখন ৪,০২৫ টাকা থেকে ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত লাগে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী।

প্রশ্নঃ ই পাসপোর্ট এ কত ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে?
উত্তরঃ ই পাসপোর্ট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ পাসপোর্ট কত নাম্বারে আছে?
উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১০৩ তম অবস্থানে রয়েছে। যেটা পূর্বে ছিলো ১০৮ তম অবস্থানে। এখন ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশ আরো ৫ ধাপ এগিয়েছে।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট কত নাম্বারে?
উত্তরঃ ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট ৮৫-তম স্থানে রয়েছে। ভারতের পাসপোর্ট দিয়ে কোন ভিসা ছাড়াই বিশ্বর ৫৯ টি দেশ ভ্রমণ করা যাবে।

প্রশ্নঃ কোন পাসপোর্ট দিয়ে সবচেয়ে বেশি দেশে যাওয়া যায়?
উত্তরঃ সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট দিয়ে ১৯৩ টি দেশে কন ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাসপোর্ট কত প্রকার?
উত্তরঃ বাংলাদেশের পাসপোর্ট তিন প্রকার। সেগুলো হলো লাল মলাট বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট, নীল মলাট বা দাপ্তরিক পাসপোর্ট এবং সবুজ মলাট যা নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট নবায়ন ফি কত টাকা 2023?
উত্তরঃ পাসপোর্ট নবায়ন ফি ৩,৫০০ টাকা ১২,০০০ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফি নির্ধারণ করা হয়।

শেষ কথা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো নতুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং পাসপোর্ট কি কি কাজে লাগে? সেই সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আর সবার আগে আমাদের সকল পোস্টের নোটিফিকেশান পেতে গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url