ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা - ডার্ক চকলেট চেনার উপায়

আপনার নিশ্চয়ই ডার্ক চকলেট এর নাম শুনেছেন। এমন অনেকে আছে যারা ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই পোস্টটিতে ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা ও ডার্ক চকলেট চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা - ডার্ক চকলেট চেনার উপায়
পোস্টসূচিপত্রঃডার্ক চকলেট ভালোবাসেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষই এই ডার্ক চকলেট খেতে পছন্দ করে থাকেন। আজকের এই বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত অবগত করার জন্য আজকের আমাদের এই আয়োজন।

ভূমিকা

ডার্ক চকলেট হলো একধরণের চকলেটে কালারের হালকা ধুসর বর্ণের একটি চকলেট। এই চকলেট তৈরি করার সময়ে এটে কোকোয়ার পরিমাণ ৭০ শতাংশ প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটের মধ্যে কোকোয়ার পরিমাণ ৭০-৮০% পাওয়া যায়। যার ফলে এই ডার্ক চকলেট খেলে অনেক উপকার হয়।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি ডার্ক চকলেট চেনার উপায়, ডার্ক চকলেট কোনটা ভালো, ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়ম, ডার্ক চকলেট এর দাম বাংলাদেশে সহ আরো অনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

ডার্ক চকলেট চেনার উপায়

আমরা সকলেই দোকানে গিয়ে চকলেট কিনে নেই। কিন্তু আপনি কি কখনো পরোখ করে দেখেছেন যে, আপনাকে দোকানি যেই চকলেট দিলো সেটি ভালো কিনা। অথবা সেটু নকল বা ডুপ্লিকেট কিনা। এই বিষয়ে এখন আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবো। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকবেন।

ডার্ক চকলেটের পাশাপাশি কিটক্যাট নামেও একটি ডেইরি মিল্ক রয়েছে। যেটা অনেকের কাছেই অনেক পছন্দের। এই চকলেটগুলি প্রধান আমদানি করা হয়ে থাকে ভারত থেকে। এই চকলেট সম্পর্কে ব্যাবসায়িরা জানিয়েছেন যে, দেশে কিটক্যাট চকলেটের ডুপ্লিকেট পাওয়া না গেলেও অনেক পরিমাণে ডার্ক চকলেটের ডুপ্লিকেট পাওয়া যায়।

এই ডার্ক চকলেট হলো একটি ডেইরি মিল্ক চকলেট। তারা আরো জানান ডেইরি মিল্ক নামে আরো কিছু লেবেল লাগিয়ে অনেক অসাধু ব্যাবসায়ী সেই নকল চকলেট বাজারে বিক্রি করছেন। এই জন্য আমাদের সকলকে এই পণ্যটি দেখে শুনে ভালো ভাবে কিনতে হবে। তাহলে চলুন এখন জানি আমরা কিভাবে চিনবো পণ্যটি আসল।
ডার্ক চকলেট চেনার উপায়
এই পণ্য কিনার সময়ে এই পণ্যের লেভেলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে আপনি দেখে বুঝতে পারবেন পণ্যটি দেশি নাকি বিদেশি একটি পণ্য। তাহলে আর আপনি চকলেট কিনতে ঠকবেন না। এই জন্য ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন, আপনি যখন চকলেট কিনবেন তখন চকলেটটি হাতে নিয়েই ভালোভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিন।
তারপর চকলেটের মাঝ বরাবর যে ভাজ করা অংশটি রয়েছে সেই ভাজের অংশটি উল্টান। সেটি উল্টালেই আপনি দেখতে পারবেন সেখানে উৎপাদনের তারিখ এবং ব্যাচ নং লিখা রয়েছে। তবে সেখানে কবে মেয়াদ ফুরাবে সেটি সরাসরি উল্লেখ করা নেই। মেয়াদের শেষের তারিখ উল্লেখ না করে সেখানে লিখা রয়েছে "Best before nine months from packaging"

এর অর্থ হলো চকলেটটি উৎপাদনের তারিখ হতে পরবর্তি নয় মাসের মধ্যে খাওয়া সবথেকে ভালো। আশা করছি এখন আপনি কিভাবে আসল এবং ভালো চকলেট চিনে কিনবেন সেটা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ডার্ক চকলেটের নাম ও দাম

বাংলাদেশের বাজারের প্রায় সকল দোকানেই প্রায় ডার্ক চকলেট পাওয়া যায়। আপনারা যারা ডার্ক চকলেট কিনার জন্য ভাবছেন, কিন্তু একটি ডার্ক চকলেটের কত দাম হতে পারে সেই সম্পর্কে জানেন তাদের জন্য এই পোস্টটি। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি সেই বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরণের ডার্ক চকলেট রয়েছে। তবে বিশেষ কিছু ডার্ক চকলেট হলো আমূল, হারসেস, ক্যাডবেরি এই সকল ব্র্যান্ডের ডার্ক চকলেট সকলের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এখন বাজারে ৯০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের অনেক ভালো মানের চকলেট পাওয়া যায়। তবে অনেক কোয়ালিটি ভেদে সকল ডার্ক চকলেটের দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

নিম্নে কিছু চকলেটের দাম দেওয়া হলো। যেগুলো সকলেই কিনে থাকেব সচরাচর।
  • ক্যাডবেরি বোর্নভিল রিচ কোকো চকোলেট (Cadbury Bournville RICH COCOA) এর দাম ৬৫০ টাকা।
  • ক্যাডবেরি ফল ও বাদাম (Cadbury Fruit & Nut) সকলেট ২০০ গ্রামের দাম ৩৯০ টাকা।
  • কিট ক্যাট চাঙ্কি (Kit Kat Chunky) চকোলেট এর দাম ১৬৫ টাকা।
  • ক্যাডবেরি ডেইরি মিল্ক সিল্ক (Cadbury Dairy Milk Silk) চকোলেট এর দাম হলো ১৪০ টাকা।
  • KNOCK ওয়েফার চকোলেট এর দাম ৬৩০ টাকা।
  • Volume Pralines চকোলেটের দাম ৭৮০ টাকা।

ডার্ক চকলেট এর দাম বাংলাদেশে

বাংলাদেশেও প্রায় অনেক ধরণের ডার্ক চকলেট পাওয়া যায়। যেগুলো আমরা দোকান অথবা বিভিন্ন শপিংমল থেকে ক্রয় করে থাকি। তাই সকলেই এই ডার্ক চকলেটের দাম জানতে চান। তাহলে যলুন এখন আমরা সকলেই এই ডার্ক চকলেটের দাম বাংলাদেশে কত টাকা সেটা জেনে নেই।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত ডার্ক চকলেটের দামগুলো হলোঃ

চকলেটের নাম

চকলেটের মূল্য

Cadable 0% Sugar Real Dark Chocolate

১৩০ টাকা

Cadable 0% Sugar Almold Chocolate

৮০ টাকা

Cadable 0% Sugar Milk Chocolate

৯০ টাকা

Bite Peanut Bar 100gm

৩৪০ টাকা

Bite Peanut Bar 40gm

১৭০ টাকা

Amul ডার্ক চকলেট 99% Cacao

৩৭৫ টাকা

Cadbury Dairy Milk Silk Oreo চকলেট বার 130GM

৩৭৪ টাকা

Cadbury Dairy Milk Silk চকলেট - 60GM

১৯৮ টাকা

Nestle KitKat 3 Finger চকলেট ওয়েফার 27.5 gm

১০৪ টাকা

Kinder Bueno Black চকলেট 39GM

১৯৮ টাকা

Pocky Almond Crush চকলেট 

২৫০ টাকা

Amul ডার্ক চকলেট

২৪০ টাকা

ডার্ক চকলেট কোনটা ভালো

আপনি যদি প্রায়সই ডার্ক চকলেট খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জানা উচিত কোন ডার্ক চকলেট টা আপনার জন্য ভালো। কারণ সকল ডার্ক চকলেট খেলেই হবে না। বরং তার সাথে আমাদের এটাও জানতে হবে কোন ডার্ক চকলেটের গুণাগুণ সম্পর্কে। যাতে করে আমাদের অনেক উপকার হয়। তাহলে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ডার্ক চকলেট মূলত দুই ধরণের হয়। একটি হলো কালো চকলেট আর একটি হলো সাদা চকলেট। তবে বাজারে অনেক চকলেট থাকলেও সকল চকলেটের গুণাগুন এক হয় না। বিভিন্ন চকলেট ভেদে চকলেটের গুণাগুণ আলাদা হয়ে থাকে। তার কারণ হলো, সকল চকলেট এক রেসিপিতে তৈরি করা হয় না।

সাদা চকলেটে মিল্ক এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা ডার্ক চকলেটে থাকে না। ডার্ক চকলেটে কোকো পাউডার নামক পাউডার বেশি থাকে। যার ফলে এই চকলেটের গুণাগুণ অনেক বেশি হয়। আমাদের মনে রাখা উচিত, একটি ডার্ক চকলেটে কোকো পাউডারের পরিমাণ যত বেশি হবে তত রে স্বাদ তীব্র হবে এবং অনেকটাই তিক্ত হবে।

ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়ম

আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি ডার্ক চকলেট কত প্রকার এবং ডার্ক চকলেট আমাদের জন্য কোনটা ভালো হবে। এই সকল কিছু জানলে আপনারা বুঝতেই পেরেছেন এই ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তাই এই উপকারিতা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হলে আমাদেরকে এই ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা অনেক জরুরী।
তার কারণ হলো একটি জিনিস সঠিকভাবে মেনে না কাজ করলে সেই জিনিসের উপকারের থেকে বেশি অপকার তথা ক্ষতি হতে পারে। এই ডার্ক চকলেটে যেমন পুষ্টি গুণ রয়েছে তেমনি এর পাশাপাশি অনেক উচ্চমাত্রায় ক্যালরি ও রয়েছে। তার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম না মেনে চললে কিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন। যেমনঃ
  • ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন।
  • ইনসমনিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শরীরের ওজন অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • হার্টরেট অনেক পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  • মাইগ্রেনের এর ব্যাথার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাই এই চকলেট খেয়ে যদি আপনি নিজে অনেক পরিমাণে ভালো থাকতে চান এবং সঠিক ভাবে পুষ্টিগুণ পেতে চান তাহলে প্রতিদিন খুব বেশি পরিমাণে এই চকলেট গ্রহণ না করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০-৫০ গ্রাম খেতে পারেন। এর থেকে অধিক পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।

ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা

ছোট কিংবা বড় সকলেরই অনেক পছন্দের একটি জিনিস হলো চকলেট। চকলেট উপহার পেলে সকলেরই মন অনেক খুশি হয়ে যায়। যদি কেউ চকলেট সামনে পায় তাহলে সে তার লোভ সামলে রাখা অনেক মুশকিল হয়ে যায়। কারণ এটি একদিকে সকলের প্রিয় আবার অন্য দিকে অনেক লোভনিয় একটি পণ্য।

তবে যেই সকলে চকলেট প্রেমীরা রয়েছে তারা জেনে অনেক খুশি হবেন, ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক পরিমাণে। তবে আপনাকে সেই সকল উপকার পেতে হলে আপনাকে চকলেট খাওয়ার নিয়ম মেনে চকলেট খেতে হবে। তা না হলে উপকারের থেকে বেশি অপকার হবে আমাদের।

চকলেট কিনার বিষয়ে আমাদেরকে অনেক সতর্ক হতে হবে। কারণ আমাদের দেশে অনেক দুর্নিতীবাজ অসাধু ব্যাবসায়ী রয়েছেন যারা বিভিন্ন অসাস্থ্যকর পরিবেশে চকলেট বানিয়ে বাহিরের দেশে বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির নামের লেভেল তার গায়ে লাগিয়ে আমাদের দেশে বিক্রি করছে। তাই এই চকলেট কিনার সময়ে আমাদের একটু সতর্ক হতে হবে।

আপনি যদি এই বিষয়ে ক্লিয়ার বুঝে থাকেন তাহলে এবার ফিরা যাক আসল আলোচনায়। তাহলে চলুন এখন ডার্ক চকলেটের উপকারিতা নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

হার্টের সুস্থ্যতাঃ ডার্ক চকলেটে যে কোকো পাউডার রয়েছে সেটি আমাদের দেহে ওলিক এসিড এর মতো কাজ করে থাকে। যা আমাদের শরীরের হার্টেকে সুস্থ রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বকের যত্নঃ আমাদের শরিরের ত্বকের যত্নের জন্য স্টিয়ারি নামক একধরণের এসিডের প্রয়োজন হয়। যা এই ডার্ক চকলেটে রয়েছে। তাই এই ডার্ক চকলেট আমাদের ত্বকের যত্নে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণঃ আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক দরকার। আর না হলে আমাদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হতে পার। আর এই ডার্ক চকলেটে থাকা বিদ্যমান ফ্ল্যাভানল আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

হার্টের ঝুঁকি হ্রাসঃ ডার্ক চকলেটে রয়েছে পলিফেনল নামক আরো একটি উপাদান। যা আমাদের হার্টের রোগের ঝুঁকি অনেক কমায়।

ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধঃ আমাদের দেহে কোষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ক্যান্সার হয়। আর এই ডার্ক চকলেটে বিদ্যমান সকল উপাদান সেই কোষকে বৃদ্ধি পাওয়া থেকে অনেক প্রতিহত করে। ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

খাদ্য হজমে সহায়তাঃ যাদের খাদ্য হজমে একটু সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই চকলেট অনেক উপকারি। কারণ এই চকলেটের বিদ্যমান উপাদান খাদ্য হজমে অনেক সহায়তা করে থাকে।

স্ট্রেস হ্রাসঃ একজন ব্যাক্তির স্ট্রেস তখনই বেড়ে যায় যখন তার শরীরে ডোপামিন নামক উপাদান অনেক পরিমাণে কমে যায়। কিন্তু এই ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে এই চকলেটের বিদ্যমান উপাদান মানুষের মস্তিষ্কে ডোপামিনের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মানুষের শরীর ও মনে অনেক আনন্দ অনুভুতির সঞ্চার ঘটে।

ডার্ক চকলেট খাওয়ার অপকারিতা

ইতিপূর্বে আমরা ডার্ক চকলেটের সকল উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে আপনি যদি এই চকলেটের উপকারিতার কথা ভেবে অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার উপকারের থেকে অপকেরই বেশি হবে। কারণ প্রতিটি জিনিসের দুইটি দিক রয়েছে। একটি হলো তার ভালো দিক অর্থাৎ উপকারি দিক। আর একটি হলো এর খারাপ দিক। অর্থাৎ অপকারি বা ক্ষতির দিক।

এই ডার্ক চকলেটের কিছু উপকারি দিক সম্পর্কে আমাদেরকে জানা উচিত। তা না হলে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে পারি। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই এই ডার্ক চকলেটের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

শরীরের ওজন বৃদ্ধি করেঃ ডার্ক চকলেট যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় খান তাহলে আপনার শরীরের ক্যালরীর পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার শরীরের ওজন অনেক টাই বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

ডায়বেটিসঃ এই ডার্ক চকলেট বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তাই এই চকলেটে চিনির পরিমাণ প্রায় অনেকটাই বেশি পরিমাণে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই যাদের ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা এই চকলেট বেশি পরিমাণে খেলে ডায়বেটিসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

হার্টের রোগঃ আওনি যদি চকলেট অনেক বেশি পরিমাণ খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি হবে। তার ফলে হার্টের রোগ বেড়ে গিয়ে অনেক ঝুঁকিতে পরতে পারেন।

ত্বকের সমস্যাঃ যদি আপনি অনেক অতিরিক্ত মাত্রায় চকলেট খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ত্বক অনেক তৈলাক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে ত্বকে ব্রণের মতো কিছু দেখা দিতে পারে।

অনিদ্রাঃ ডার্ক চকলেটে রয়েছে ক্যাফেইন নামক একটি উপাদান। যা আপনি যদি অনেক পরিমাণে গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা থেকে বিড়ত থাকুন।

আশা করছি আপনি এখন এই ডার্ক চকলেটের উপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। তাই আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে ডার্ক চকলেট খান তাহলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। আর যদি না মেনে চলেন তাহলে আপনি কিছু সমস্যার সম্মুখিন হবেন। যেটা সম্পর্কে আপনি জানতেই পারলেন।

ডার্ক চকলেট সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ডার্ক চকলেট খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ ডারক চকলেট প্রতিদিন আপনি যদি অনেক পরিমাণে খান তাহলে আপনার শরীরে অনেক ক্যালরি জমা হবে। ফলে ওজন ও বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রশ্নঃ কোন ধরনের ডার্ক চকলেট খেলে ভালো হয়?
উত্তরঃ আপনি যদি স্বাস্থ্য সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে আপনি যেই ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ অনেক কম পরিমাণ পাবেন সেটি গ্রহণ করুন।

প্রশ্নঃ 56 ডার্ক চকলেট খাওয়া ভালো
উত্তরঃ এটি প্রদাহ হ্রাস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা থাকতে পারে ।

প্রশ্নঃ চকলেট খেলে কি কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ চকলেট খেলে যেই সকল ক্ষতি হতে পারে তা হলোঃ শরীরের হাড় দুর্বল হতে পারে, ওজন বৃদ্ধি, ঘুম কম হতে পারে। এই ছাড়াও অরো প্রায় অনেক কিছুই হতে পারে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু ডার্ক চকলেট খেতে হয়?
উত্তরঃ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন প্রতিদিন ৩০-৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খাওয়া যাবে। ফলে শরীরের অনেক উপকার হবে।

প্রশ্নঃ মস্তিষ্কের জন্য কোন ডার্ক চকলেট ভালো?
উত্তরঃ যেই চকলেটে কমপক্ষে 70 শতাংশ কোকো সলিড বা তার বেশি থাকে সেই চকলেট মস্তিষ্কের জন্য অনেকটাই ভালো।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্য বহুল আরররটিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url