বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম - মাখন খেলে কি মোটা হয়

প্রিয় পাঠকরা আপনারা আজকের পোস্টটির মাধ্যমে বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম ও মাখন খেলে কি মোটা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম - মাখন খেলে কি মোটা হয়
সূচিপত্র:মাখন প্রায় সকলেরই পছন্দের একটি খাবার। এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সকালে নাস্তা করার সময়ে যদি মাখন না খান তাহলে তাদের নাস্তাই যেনো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। হ্যা বন্ধুরা আজকে আমরা এই মাখনের সকল নিয়ম সম্পর্কে জানতে চলেছি।

ভূমিকা

আমরা সকলেই জানি মাখন অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার একটি খাবার। এবং স্বাদে মানেও অনেক ভরপুর। এর স্বাদ আর পুষ্টির কথা ভেবে সকলেরই প্রিয় একটি খাবার হলো মাখন। তাই আমরা সকলেই তেল ঝাল সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি এই মাখন রেখে থাকি। যাতে করে আমাদের ডায়েট চার্ট টা ঠিক থাকে। আমাদের যেনো কোনো সমস্যা না হয়।
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি মাখন কি দিয়ে খায় মাখন এর দাম মাখন তৈরি করার নিয়ম মাখন এর উপকারিতা ও অপকারিতা। এই সকল বিষোয় ছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেনো চলুন বিস্তারিত পাঠে যাওয়া যাক।

মাখন কি দিয়ে খায়

মাখন একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। এই মাখন তৈরি করা হয়ে থাকে গরুর দুধ থেকে। যার কারণে এখানে পুষ্টির কোন কমতি নেই। তাই আমরা সকলেই এই মাখন গ্রহণ করে থাকি যে কোন খাবারের সাথে। এখন আমরা মাখন খাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে সকল খাবারের সাথে আপনি মাখন খেতে পারবেন সেগুলো বিষয় নিয়ে জানতে পারব এখন আমরা।
এর জন্য আমরা প্রথমেই জেনে নেই মাখন কিভাবে খাওয়া যায়। মাখন বিভিন্ন খাবারে রান্নার সময়ে তেলের প্রয়োজন হয়। এই তেলের প্ররিবর্তে আমরা মাখন ব্যাবহার করতে পারবো। আবার কোন কিছু ভাজতে, সস বানানোর জন্যও আমরা এই মাখন ব্যাবহার করতে পারি। তাতে করে সেই জিনিসটার স্বাদ একটু অন্য লেভেলের অনুভব করতে পারবেন।

সকালের অথবা ডিমের খাবার তৈরিতেঃ আমরা সকালেই নাস্তার সাথে সকালবেলা পাউরুটির সাথে ডিম খেয়ে থাকি। আপনি যদি এই ডিম রান্না করার সময় অথবা ভাজার সময় সেই ডিমের ওপর আধা চামচ মাখন মেখে ভেজে নেন তাহলে সেই মাখন মিশ্রিত ডিম আপনাকে 6 থেকে 7 ঘন্টা শক্তি দেবে। যেটা আপনার প্রতিদিনের কাজের জন্য অনেক সহায়তা করবে।

মাংস রান্নায়ঃ আপনি মাংস রান্না করার সময়ে অতিরিক্ত পরিমাণে ভোজ্য তেল ব্যাবহার করে থাকেন। যেটা আপনার অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেই জন্য আপনি যখন চিকেন তৈরি করবেন তখন এক চা চামচ মাখনের সাথে চিকেন ভেজে নিয়ে তৈরি করতে পারেন। আবার আপনার রান্নায় আদা, রসুন, সস এই সকল খাবারে ১ চামচ মাখন মেখে নিয়ে ১ কেজি মুরগির মাংস রান্না করতে পারবেন।

শাক সবজিঃ আপনার সবজি রান্না করার সময়ে সেই সবজি যখন আধা সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন গোল মরিচ লবণের সাথে আধা চামচ মাখন মিশিয়ে রান্না করতে পারেন। এতে করে সেই খাবারের স্বাদ অনেক ভালো আসবে। আর তাছারা আপনার শরীরের ক্ষতি ও অনেকটা কম হবে। আপনি থাকবেন হেলদি।

সালাদের তৈরিতেঃ আমরা বিভিন্ন খাবার সালাদ করে খেয়ে থাকি। যেমন টমেটো, শসা, গাজর ইত্যাদি। এই সকল খাবারের সালাদের সাথে মাখন মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন।

সকালার নাস্তার পাউরুটিঃ সকলে আমরা নাস্তার সাথে যেই পাউরুটি খেয়ে থাকি। সেই পাউরুটি তে হালকা পরিমাণে এই মাখন খাওয়া হয়ে থাকে। যেটা আপনাকে সারা দিন এনার্জি দিবে।

পৌলাও এর সাথেঃ আমরা সকলেই এই পোলাও খেতে অনেক পছন্দ করে থাকি। কিন্তু পোলাও এর সাথে অনেক মাত্রায় তেল ব্যাবহার করা হয়। যেটা আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।

বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম

আমাদের সকলের ঘরেই প্রায় নবজাতক শিশু বাচ্চা থাকে। তাদের স্বাস্থের কথা চিন্তা করে তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টিতে তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু পরিমাণ মাখন রাখা উচিত। আমাদের অনেকেই এই সম্পর্কে খুব একটা ভালো করে জানে না। এখন আমরা সকলেই জানবো এখান থেকে।

যেসকল বাচ্চাদের বয়স এক বছরের কম তাদেরকে নন সল্ট বাটার মাখন দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যাদের বয়স ১ বছর বা তার বেশি তাদেরকে আমলের বাটারগুলো খেতে দিতে হবে। আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন কনফিউশান থেকে থাকে তাহলে আপনি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে করে আপনার সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
মাখনের মধ্যে অনেক পরিমাণে রয়েছে লরিক এসিড। যা একজন বাচ্চার সুস্থ সঠিক একজন দেহে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে বাচাতে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। বাচ্চাদের নিয়মিত শরীর মনের সঠিক যত্নের জন্য তাদেরকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। তাই তাদের পুষ্টির যোগান দিতে নিয়মিত মাখন খাওয়ানো হবে।
অনেক সময়েই দেখা যায় অনেক শিশুরা এই মাখন খাবার খেতে চায় না। তাদের ভালো লাগে না বলে থাকে। আপনি এই সমস্যার থেকে তাদের খাওয়ানোর জন্য বেশি জোর না করে তারা যেই সকল খাবার প্রতিদিন খায় সেই সকল খাবারের সাথে এই মাখন মিশিয়ে রান্না করুন। এতে করে তাদের খেতে ও কোন অসুবিধা হবে না। আর তারা অনেক মশা করে খেতে চাইবে।

এই খাবার খাওয়ালে তারা অনেক পুষ্টি পাবে। এই বাটার মাখনের মধ্যে রয়েছে অনেক পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-ডি, লরিক অ্যাসিড এবং সেলিনিয়াম। যা একজন বাচ্চার দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাদের মাথার মস্তিষ্কের উন্নত বিকাশের জন্য সাহায্য করে।

মাখন খেলে কি মোটা হয়

আমরা যারা প্রতিদিন নিয়োমিত পরিমাণে মাখন খেয়ে থাকি তাদের সকলেরই মনে একটি কমন প্রশ্ন হলো আমরা যে মাখন খাই তার জন্য কি আমাদের শরীরের ওজন বেরে যাবে কিনা। এখন আপনাদের এই সকল কনফিউশানের সকল সমস্যা দূর করার জন্য চেষ্টা করবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মাখন সম্পর্কে ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন, এক চামচ মাখনের মধ্যে প্রায় ১০০ ক্যালোরি পরিমাণ থেকে থাকে। তবে এই ক্যালোরি সেখানে চর্বি আকারে থাকে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে এটি শুধু আমাদের শরীরের জন্যই উপকারি নয়, বরং এটি আমাদের হৃদরোগের জন্য ও অনেক উপকারি।

আপনি যদি ডায়েটে থাকতে চান তাহলে আপনার জন্য মাখন একটি উত্তম হবে। কারণ এটি আপনার ওজন তো বৃদ্ধি করবেই না বরং এটি আপনার শরীরের ওজন আরো কমানোর জন্য সাহায্য সহযোগিতা করে থাকবে। তবে আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রহণ করলে হতে পারে সেটি হিতের বিপরীত। তাই আমাদের সকলের উচিত সঠিক পরামর্শ অনুযায়ি এই মাখন খাওয়া।

মাখন এর দাম

আমরা সাধারণত বাজার থেকে বিভিন্ন দামের মাখন ক্রয় করে থাকি। আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবো যে সেখানে বিভিন্ন ব্রান্ডের মাখন রয়েছে। এখন আমাদের সকলের মনেই এমন প্রশ্ন উদয় হয়ে থাকে সেই সকল মাখনের দাম কেমন। তাহলে চলুন এখন সেই মূল্য তালিকা জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমান বাজারে মাখনের মূল্য তালিকাগুলো হলোঃ
  • ক্রাউন পিনাট বাটার মসৃণ এবং ক্রিমি ৪৬২ গ্রাম এর মূল্য হলো ৪৫০ টাকা
  • স্কিপি ক্রিমি পিনাট বাটার ৪৬২ গ্রাম এর মূল্য হলো ৭৩০ টাকা
  • পিনাট বাটার মসৃণ এবং ক্রিমি ৪০০ গ্রাম এর বর্তমান মূল্য ১৮২ টাকা
  • হাইওয়ে ক্রঞ্চি পিনাট বাটার এর মূল্য হলো ৪৩০ টাকা
  • ডিসকভারি ক্রিমি পিনাট বাটার 510 গ্রাম এর দাম হলো ৪১০ টাকা

মাখন তৈরি করার নিয়ম

আপনারা এখন অনেকেই দোকানের থেকে কিনা মাখন ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি আপনি যদি চান তাহলে খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই এই মাখন তৈরি করে নিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি সেই মাখন তৈরি করবেন তার রেসিপি।

আপনি বাড়িতে বসে থেকে মাখন তৈরি করতে চাইলে আপনার মাত্র দুটি উপাদান প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলো দুধের মালাই বা দুধের সর, এবং তার সাথে প্রয়োজন হবে পানি। মাখন তৈরিরি নিয়ম প্রণালি নিম্নে বলা হলো

প্রথমত আপনাকে প্রতিদিনের দুধের সর সংগ্রহ করে জমিয়ে রাখতে হবে। আপনি এভাবে জমিয়ে ফ্রিজে ১০-১৫ দিন রাখতে পারবেন। এভাবে অনেকগুলো জমানো হয়ে গেলে একটি প্লেটে অথবা কোন পাত্রে নিন। তার পরে তাতে একটু হালকা পরিমাণ পানি মিশিয়ে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

মিনিট ২ ব্লেন্ড করলেই দেখবেন সেটি অনেক সুন্দর ঘনো হয়ে গিয়েছে। আপনি যদি এর থেকেও আরো অনেক ঘন মাখন চান তাহলে আপনি তাতে একটু পরিমাণ বরফের পানি মিশিয়ে নিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। সাথে করে আপনি একটু লবণ ও দিয়ে নিতে পারেন। তাতে করে মাখনটি সল্টেট হবে।

এভাবে আপনার মাখন ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে সেটি একটি বল বানিয়ে নিয়ে তাতে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণ পানি বের করে নিন। পানি বের করে হালকা শুষ্ক হয়ে গেলে সেটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার মাখন। আপনি চাইলে এই মাখন এমনিতেও খেতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে এই মাখন খাবার রান্নার সাথেও ব্যাবহার করতে পারবেন।

মাখন এর উপকারিতা

আমরা সকলেই ইতিপূর্বে মাখন তৈরি করা শিখলাম। এখন আমাদের সকলের মনে এমন ধরণের প্রশ্ন হতেই পারে যে আমরা যেই মাখন খাবো এই মাখনের উপকারিতাগুলো কি। আসলেই এই বিষয় টা আমাদের সকলের জন্যই জানা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা এই বিষয়ে জানি।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • খাবার পরিপাকে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • শরীরে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • শরীরের সকল হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • বাতের ব্যাথা কমানোর জন্য সাহায্য করে।
  • শরীরের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
  • চুল চকচকে উজ্জ্বল ও ছিলকি করে।

মাখন এর অপকারিতা

আমরা সকলেই ইতিপূর্বে মাখনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা সকলেই সকল জিনিসের কিছু উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা রয়েছে। তেমনি মাখনেরও রয়েছে এমন কিছু। তাহলে চলুন এই বিষয়ে জানি।

আপনি যদি একটি জিনিসের উপকারিতার কথা চিন্তা করতে গিয়ে অনেক পরিমাণে সেটি গ্রহণ করে ফেলেন তাহলে সেটি আপনার জন্য হিতের বীপরিত হতে পারে। কেমন সমস্যা হতে পারে আর কিকি সমস্যা হতে পারে সেটি আমরা এখন জানবো।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মাখন গ্রহণ করলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • মাখনে অনেক উচ্চ মাত্রায় থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যার কারণে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা অনে পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে মেদ জমে শরীর স্থূলতা হতে পারে।
মাখনের এতো সকল উপকারিতা থাকার পরেও কিছু পরিমাণে অপকারিতা দেখা রয়েছে। তাই আমাদেরকে সকলেরই এই সকল বিষয় মাথায় রেখে মাখন গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

মুখে মাখন মাখলে কি হয়

আমরা সকলেই পূর্বেই জানতে পারলাম বাড়িতে কিভাবে মাখন বানাতে হয়। এখন অনেকেই এই মাখন মুখে ব্যাবহার করা থাকেন। তাই তারা সকলেই জানতে চান এই মাখন মুখে মাখলে কি হয়। এখন আমরা এই বিষটিই জানতে চলেছি।

মাখন মুখে মাখলে ত্বকের চর্বি নিঃস্বরণে সাহায্য করে। ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল থাকে। এর পাশাপাশি ত্বককে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। তবে এই উপকার পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাড়িতে তৈরি মাখব ব্যাবহার করতে হবে। দোকান থেকে বাহিরের মাখন কিনে ব্যাবহার করবেন না।

তাতে যদি কোন ক্ষতিকর পদার্থ মিশানো থাকে তাহলে আপনার ত্বকেরই ক্ষতি হবে। আর আপনি বাড়ির বানানো মাখন ব্যাবহার করলে এমন কোন সম্ভাবনাই নেই। বাড়ির সেটি হবে একদম আসন পিউর মাখন। এক্কেবারে ভেজালমুক্ত। এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি সেই মাখন আপনার ফেসে ব্যাবহার করবেন।

মাখন মুখে ব্যাবহার করার জন্য প্রথমে একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ মাখন, ডিমের কুসুম, ক্যামোমিল অয়েল এবং এপরিকট অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশাতে হবে। তারপর আপনি চাইলে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এতে ব্যাবহার করে আপনি ই অনেক ভালো অনুভব করবেন।

এরপর সম্পূর্ণ মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে ভালোভাবে মুখ মুছে নিবেন। যাতে কোথাও কোন পানি না থাকে। এরপর আপনাকে এই পেস্টটি সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে নিন। তবে এইক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার চোখে যেনো কোনভাবেই না লাগে।

এভাবে লাগানোর পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া হয়ে গেলে তারপরে আপনি হালকা পরিমাণ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

তার পরে সম্পূর্ণ মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

এভাবেই আপনি আপনার মুখে ফেস পেক হিসেবে মাখন ব্যাবহার করতে পারবেন। আশা করছি আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

মাখন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ মুখের জন্য কোন মাখন ভালো?
উত্তরঃ মুখের জন্য বাড়িতে বানানো মাখন অনেক ভালো হবে। আর আপনি যদি কিনে ব্যাবহার করতে চান তাহলে আপনার জন্য শিয়া মাখন অনেক ভালো হবে।

প্রশ্নঃ কাঁচা শিয়া মাখন কি মুখে ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ হ্যা। কাঁচা শিয়া মাখন কি মুখে ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্নঃ মাখন খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ মাখন খেলে সহজেই কেউ মোটা হন না। তবে আপনাকে পরিমাণ মতোন খেতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে নেন তাহলে আপনি তার জন্য মোটা হয়ে যেতে পারেন।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু মাখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ একজন ব্যাক্তি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৩ গ্রাম মাখন গ্রহণ করতে পারেন। আর এটাই মাখন খাওয়ার একটি পারফেক্ট নিয়ম।

লেখকের মন্তব্য

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহু আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url