ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি নিয়ম - টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনারা কি ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এসেছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনার অনেকেই প্রায় ড্রাগন ফলের চাষ করতে চান। তবে চাষ পদ্ধতি জানেন না। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের জন্য আজকে পোস্টটিতে আমরা ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি নিয়ম ও টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ড্রাগন আমাদের দেশে আকটি লাভজনক ফল হিসেবে চাষাবাদ করা হয়। এটি একটি বিদেশি ফল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক ভালো পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে। তাই চলুন এখন বেশি দেরি না করে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি - টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলচনায় যাওয়া যাক।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ভূমিকাঃ ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি
আমরা সকলেই কম বেশি জানি যে ড্রাগন একটি বিদেশি ফল। আর এই ফল একটি বিদেশি ফল হওয়া সত্ত্বেও আএখন আমাদের দেশেও বেশ ভালো পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে। আর এই ফল চাষ করার মাধ্যমে অনেক কৃষকগণ লাভোবান ও হচ্ছেন। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায় ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা ড্রাগন ফল বড় করার উপায় ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ড্রাগন ফল গাছের চারা
ভালোমানের ড্রাগন ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই এর পূর্বশর্ত হলো ভালোমানের চারা নির্বাচন করা। কারণ একটি ভালমানের চারা থেকেই একটি ভালোমানের ফল পাওয়া সম্ভব। আর গাছ যদি খারাপ অথবা দূর্বল হয় তাহলে সেই গাছ থেকে কোনভাবেই ভালোমানের চারা আশস করা যায় না। তাই আমাদের উচিত ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য একজন বিস্বস্থ মানুষের কাছে থেকে ভালোমানের চারা সংগ্রহ করা।
আরো পড়ুনঃ
ড্রাগন ফল হলো আমেরিকার একটি জনপ্রিয় ফল। এই ফল বাহিরের দেশের হওয়ার পরেও এখন বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ড্রাগন ফলের গাছ অনেকটা ক্যাক্টাস ধরণের গাছের মতো। আর গাছে সাধারণত কোন পাতা দেখা যায় না। বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগনের সবথেকে জনপ্রিয় জাত হিসেবে বারি ড্রাগন ফল-১ অনেক জনপ্রিয় স্থান দখল করে আছে। এটি বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) উদ্ভাবন করে।
ড্রাগন ফল সাধারণত ৩টি প্রজাতির হয়ে থাকে।
- লাল ড্রাগন ফল অথবা পিটাইয়া। এই প্রজাতির ড্রাগনের গায়ের অর্থাৎ খোসার রং লাল হয়। এবং এর ভেতরের শাঁস সাদা হয়। এই লাল ড্রাগন ফল অথবা পিটাইয়া এই প্রজাতির ড্রাগন ফলই বেশি দেখা যায় আমাদের দেশে।
- কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। এই প্রজাতির ড্রাগনের গায়ের অর্থাৎ খোসার রং লাল হয়। এবং এর ভেতরের শাঁস ও লাল হয়।
- হলুদ ড্রাগন। এই প্রজাতির ড্রাগনের গায়ের অর্থাৎ খোসার রং হলুদ রঙের হয়। এবং এর ভেতরের শাঁস ও সাদা রঙের হয়।
ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়
ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য এর পূর্ব শর্ত হলো ড্রাগন ফলের সুস্থ স্বাভাবিক চারা নির্বাচন করা অথবা সংগ্রহ করা। ড্রাগন ফলের চারা আপনি বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পেয়ে যাবেন। আবার অনলাইনেও দেখবেন বিভিন্নজন বিভিন্ন রকমের চারা বিক্রি করছে। আপনি চাইলে বিশ্বস্ত তাদের কাছ থেকেও তারা সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন নার্সারি রয়েছে, যেখানে ড্রাগনের চারা বিক্রি করা হয় আপনি চাইলে সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
তবে চারা আপনি যেখান থেকেই সংগ্রহ করুন না কেন আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, তারা যেন অবশ্যই সুস্থ-সবল হয়। আর যদি চারা রোগাক্রান্ত হয় আপনি সে চারা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলন পাবেন না। তাই ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের সকলের অনেক সর্তকতা নিয়ে এর চারা সংগ্রহ করা উচিত।
ড্রাগন ফল গাছের দাম
ইতোপূর্বে আমরা জেনেছি ড্রাগন ফলের জন্য কেমন চারা আমাদের সংগ্রহ করা উচিত। এখন আমরা জেনে নেব ড্রাগন ফল গাছের দাম কত? ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ড্রাগন ফলের চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই এর সঠিক দাম জানা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই ড্রাগন ফল গাছের দাম কত?
আরো পড়ুনঃ জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
ড্রাগন ফল গাছের দাম একেক জন একেক ভাবে বিক্রি করে। কেউ কেউ এই ফলের দাম উচ্চতার ভিত্তিতে বিক্রি করেন। আবার অনেকে তবে চাষাবাদ করে সেখানে ড্রাগন ফল ধরিয়ে তারপর সেই ফলের গাছ বিক্রি করেন। আপনি যদি ড্রাগন ফল গাছ কিনতে যান তাহলে আপনার ড্রাগন ফল চড়ার জন্য এক ফিট উচ্চতার ড্রাগন ফল গাছ ৩০০ টাকা দাম পড়বে। আপনি চাইলে আমাদের থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। ভালোমানের ড্রাগন ফল গাছের চারা নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি
আমরা সকলেই ইতোপূর্বে জানতে পেরেছি ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায় ড্রাগন ফল গাছের দাম এবং ভালোমানের ড্রাগন ফল পাওয়ার জন্য আমাদের কেমন মানের চারা সংগ্রহ করা উচিত। আখন আমরা জানবো ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। যেইটা আমরা যারা কৃষক আছি তাদের সকলকেই জানা উচিত। আর তা না হলে আপনি সঠিক পরিমাণে ড্রাগন ফলের উৎপাদন পাবেন না। তাহলে চলুন এখন আমরা ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।
ড্রাগন ফল চাষের পূর্বে অবশ্যই আমাদের এর কি কি জাতে রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ চারা সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের আমরা যদি সঠিক জাতের নাম না বলতে পারি তাহলে চারা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক ঝামেলার সম্মুক্ষিন হতে হবে। ড্রাগন ফলের যেসকল জাত পাওয়া যায় আমাদের দেশে সেগুলি হলঃ
- বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা)
- বাউ ড্রাগন ফল-২ ( লাল )
- বাউ ড্রাগন ফল-৩
- বারি ড্রাগন ফল-১
ড্রাগন ফল চাষের জন্য জমি নির্বাচন
ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য আমাদের এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেন জমিটা সুনিষ্কাশিত উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমি হয়। আর জমি নির্বাচন করার পর কাজ হবে জমি চাষ দিয়ে ভালোভাবে তৈরি করে নেওয়া। তার জন্য জমি চাষ দিয়ে ২-৩ টি মই দিয়ে জমিকে ভালোভাবে তোইরি করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শীতকালীন ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
ড্রাগন ফলের চারা রোপণ পদ্ধতি সময়
ড্রাগন ফলের গাছ অতিরিক্ত পানি বেশি পছন্দ করে না এবং অতিরিক্ত আলো বেশি পছন্দ করে। যার ফলে প্রায় সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ করা যায়। তবে ড্রাগন ফল চাষের জন্য একটু উঁচু জমে নির্বাচন করা উত্তম। তার কারণ হলো ড্রাগন গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পরিমাণে পানি জমে থাকলে এই গাছ সহজেই মারা যায়। ড্রগন ফলের গাছ রোপণ করার জন্য সবথেকে উপযোগী সময় হলো মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য অক্টোবর।
তবে আপনি যদি সমতম ভূমিতে ড্রাগন চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই বর্গাকার ভাবে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপন করতে হবে। আর আপনি যদি পাহাড়ি জমিতে চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কন্টুর পদ্ধতিতে এর কাটিং রোপন করতে হবে।
ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করার জন্য গর্ত তৈরীও চারা রোপণ
ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করার জন্য ১.৫ মিটার x ১.৫ মিটার x ১ মিটার অর্থাৎ ৩মিটার পরপর গর্ত করে রোদে খোলা রাখতে হবে। এর ফলে গর্তের সকল পোকামাকড়গুলি বাহীড়ে বেরিয়ে আসবে এবং সেগুলি বিভিন্ন পাখি খেয়ে নিবে। এরপর প্রতিটি গর্তের জন্য ২০-২৫ দিন পর প্রতি গর্তে কিছু উপাদান মিশিয়ে দিতে হবে। সেগুলি হলোঃ
- ২৫-৩০ কেজি পচা গোবর
- ২৫০ গ্রাম টিএসপি
- ২৫০ গ্রাম এমওপি
- ১৫০ গ্রাম জিপসাম
- ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট সার
এগুলি দিয়ে গর্ত ভরাট করে এর ১০-১৫ দিন পরে মিনিমাম ৫০ সেমি দূরে দূরে কমপক্ষে ৪টি করে চারা লাগাতে হবে। এই চারা রোপনের ১মাস থেকে ১বছর পর্যন্ত প্রতি ৩মাস অন্তর অন্তর প্রতি গাছের জন্য ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার দিতে হবে।
এভাবেই আপনি একটি ভালোমানের ফলন পাবেন। আর গাছের কোন ধরণের কোন পরিবর্তন হলে যেমন কাছে কোন ধরণের পোকার আক্রমন দেখা দিলে আপনি সরাসরি আপনার নিকতস্থ কৃষিকর্মকর্তার নিকট যোগাযোগ করবেন। তাতে করে তিনি আপনাকে একটি ভালো ধরণের পরামর্শ দিবেন।
টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি
টবে ড্রাগন চাষ করা অনেক সহজ একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের চাহিদা ও মেটাতে পারবেন এবং তার পাশাপাশি আপনি অনেক বেশি পরিমাণে চাষ করার মাধ্যমে আর্থিকভাবেও অনেক লাভোবান হবেন। আপনার বাড়িতে যদি ড্রাগন ফলের চাষ করার মতোন পর্যাপ্ত যায়গা না থাকে তাহলে আপনি আপনার বাড়ির ছাদের টবে করে চাষ করতে পারেন। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ বয়লার মুরগির ওজন বৃদ্ধির চাট
ড্রাগন প্রায় সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে আপনি যদি টবে ড্রাগন চাষ করে একটি ভালোমানের ফলন আশা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করতে হবে। এই সময়টাতে আপনি যদি ড্রাগনের চারা রোপন করেন তাহলে অবশ্যই ভালো ফলন পাবেন।
টবে ড্রাগন চাষ করার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার টবের দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনি যেই পাত্রে ড্রাগন চাষ করতে চাচ্ছেন যেই পাত্রের আকার যেন অবশ্যই ২০ ইঞ্চি আকারের হয়। কারণ এই পাত্রে চারা তার প্রয়োজনীয় শিকর ছরাতে পারবে। আর তার ফলে আপনি অনেক ভালো ফলন পেয়ে অনেক লাভোবান হবেন।
ড্রাগন ফল প্রায় সব ধরণের মাটিতেই হয়। তবে আপনি যদি ভালো ফলন আশা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে দোঁআশ মাটি বাছাই করে নিতে হবে। এই মাটি সংগ্রহ করে তাতে পরিমাণ মতো জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে। আর এর পাশাপাশি যদি সম্ভব হয় প্রতি টবের জন্য ৫০ গ্রাম পটাশ সার ও ৫০ গ্রাম টি,এস,পি, সার দিয়ে মিশিয়ে নিবেন। এরপর ১০-১২ দিন রেখে দিয়ে তাতে তাতে ড্রাগনের চারা রোপন করে দিবেন।
ড্রাগন ফলের আপনি যদি সঠিক পরিচর্যা না করেন তাহলে তেমন খুব একটা ভালো ফলন হবে না। এই ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা বলতে খুব একটা করতে হয় না। কারণ এই গাছে তেমন একটা রোগ বালাই দেখা যায় না। তবে গাছে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে গাছে খুব একটা বেশি পরিমাণে পানি না জমে। এই ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
আরো পড়ুনঃ
ড্রাগনের কাটিং চারা রোপন করার পরে প্রায় ১বছর থেকে ১৮ মাস বয়সে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। কারণ গাছে যখন ফুল আসে তার থেকে প্রায় ৩৫-৪০ দিন এর পরেই ফল পাওয়া যায়।
ড্রাগন গাছে ফুল আসার সময়
ড্রাগন গাছের ফল পাওয়ার জন্য এর ফুল আসাটা অনেক জরুরি। এখন প্রায় সকলেই কৃত্তিম পদ্ধতি ব্যাবহার করে ড্রাগন গাছের ফুল তারাতারি ফোটানোর ব্যাবস্থা করছেন। যেন তারা দ্রুত সেই গাছ থেকে ফলন পেতে পারেন। ড্রাগল গাছে সাধারণত ফুল আসে এপ্রিল মাসে। আর গাছে ফুল আসার ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ দরখাস্ত লেখার নিয়ম
তবে এখন অনেক কৃষকগণ দিনের আলোর পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২৫ দিনেই গাছে ফল ধরাতে সক্ষম হচ্ছেন। দিনের আলোর পরিবর্তে তারা রাতে বিদ্যুৎ এর আলো ব্যাবহার করার মাধ্যমে ড্রাগন গাছকে বেশি পরিমাণে আলো দিচ্ছে। এতে করে খুব দ্রুতই ড্রাগন গাছ থেকে ড্রাগন ফল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ জিঙ্গাসা
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফলের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি?
উত্তরঃ ড্রাগন ফলের বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো Hylocereus undatus
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফলের সিজন কখন?
উত্তরঃ ড্রাগন ফল সাধারণত সারা বছরেই চাষ করা যায়। কারণ ড্রাগন ফল অনেক শক্ত প্রজাতির গাছ। তবে ড্রাগন ফলের গাছ থেকে যদি ভালো ফলন পেতে চান তাহলে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চারা রোপন করলে আপনি বেশ ভালো ফলন পাবেন
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফলের চারা দাম কত?
উত্তরঃ ড্রাগন ফলের চারা দাম সাধারণত ১ ফিট উচ্চতার দাম ৩০০ টাকা।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফলের পরিবার কি?
উত্তরঃ ড্রাগন ফল (Hylocereus spp.), Cactaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফল হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ ড্রাগন ফল হতে সাধারণত ১-১.৫ বছর সময় লাগে প্রথমে ফল ধরতে।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফল কোন ঋতুতে চাষ করা ভালো?
উত্তরঃ যদি ঋতুর কথা উল্লেখ করা হয় তবে গ্রীষ্মকাল ঋতুতে ড্রাগন ফল চাষ করা ভালো। আর ইংরেজি মাসের জুন থেকে সেপ্টেম্বর ড্রাগন ফলের প্রধান ঋতু হিসেবে ধরা হয়। ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি ভালোমানের ড্রাগন পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ড্রাগন ফল কি বীজ থেকে জন্মায়
উত্তরঃ হ্যা। ড্রাগন ফল বীজ থেকে সহজেই জন্মানো যায়।
শেষ কথা | টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি
আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি এবং টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়োমিত ভিজিট করুন।
আপনার আজকের এই ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি - টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আর্টিকেল সম্পর্কে জেনে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাতে করে তারাও ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি - টবে ড্রাগন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url