অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করবেন জেনে নিন

বর্তমান সময়ে কোন ঝামেলা ছাড়া যদি কোন কাজ থেকে থাকে তাহলে সেটি হচ্ছে ব্যবসা। আপনি যদি কোন চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন কথা শুনতে হবে কিন্তু আপনি অল্প পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু এখন যদি আপনি খুব সহজে এবং অল্প পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে ব্যবসা আপনার জন্য একটি ভালো উপায়। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নতুন করে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পাইকারি ব্যবসা শুরু করার মত যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ নেই। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার আইডিয়া তুলে ধরব।
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
তাই আপনি যদি অল্প টাকার মাধ্যমে দেশে একটি পাইকারি ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি সঠিক পাইকারি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে চাকরির পাশাপাশি মানুষ ব্যবসাকে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে। এখন আর মানুষ ব্যবসাকে ছোট করে দেখেন না। সমস্ত ব্যবসার মধ্যে অত্যন্ত লাভজনক এবং সহজ ব্যবসা হচ্ছে পাইকারি ব্যবসা। পাইকারি ব্যবসা করে অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়। বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারীর কাছ থেকে ক্রয় করার পর সেগুলো খুচরা বিক্রয় কারীদের কাছে বিক্রি করাই মূলত একজন পাইকার ব্যবসায়ীর কাজ।

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নতুন করে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু শুরু করার মত যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাদের কাছে নেই। তাহলে আমার এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি অল্প পুঁজিতে কিভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এছাড়াও আপনি অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করে কিভাবে লাভবান হবেন তাও ব্যাখ্যা করব। তাই সম্পূর্ণ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অল্প পুজিতে বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে। যেমন,
  • মুদি মালামাল পাইকারি বিক্রয়।
  • কাগজের প্যাকেট তৈরি করা।
  • স্টেশনারি পণ্য পাইকারি বিক্রয়।
  • কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা।
  • এবং বাচ্চাদের খেলনা ব্যবসা।
আপনি চাইলে উপরের দেখানো যে কোন একটি ব্যবসা অনায়াসে অল্প পুঁজিতে করতে পারেন। উক্ত পাঁচটি ব্যবসা সম্পর্কে আমি নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তবে আপনাকে উক্ত ব্যবসার সম্পর্কে জানার আগে মূলত পাইকারি ব্যবসাটা কি তা জানতে হবে। আসলে পাইকারি ব্যবসা এমন একটি প্রথা, যার মাধ্যমে আপনাকে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে উৎপাদনকৃত পণ্য ক্রয় করতে হয়। এর পরবর্তীতে সেগুলো অল্প দাম অর্থাৎ পাইকারি হিসেবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হয় এবং খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করে থাকে।

এই পাইকারি ব্যবসায় আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তার কারণ হচ্ছে, আপনি আপনার টাকা ইনভেস্ট করে উৎপাদনকারীদের থেকে পণ্য কিনে সেগুলো আবার খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করবেন। এতে করে খুব সহজে আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন। মূলত পাইকারি ব্যবসায় আপনাকে তেমন একটা কষ্ট করতে হয় না শুধু টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। অর্থাৎ অল্প কষ্টের ব্যবসার মধ্যে পাইকারি ব্যবসা। চলুন এবার উপরের দেখানো পাঁচটি পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মুদি মালামাল বিক্রয়

আমাদের অল্প পুজিতে ব্যবসার শুরুতেই রয়েছে মুদি মালামাল বিক্রয়। সাধারণত পাইকারি দরে মুদি মালামাল বিক্রয় করা খুবই সহজ কাজ। সে ক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট একটি জায়গায় অথবা বাজারে আপনি একটি গোডাউন ঘর তৈরি করুন অথবা ভাড়া করুন। এর পরবর্তীতে আপনি মুদিমালামাল উৎপাদনকারীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকা ইনভেস্ট করে পন্য ক্রয় করে কিনে আনুন এবং উক্তপূর্ণ গুলো আপনার গোডাউনে মজুদ রাখুন।

এর পরবর্তীতে আপনার মজুদকৃত মালামাল বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের অথবা দোকানদারের কাছে বিক্রি করুন। সাধারণত একজন খুচরা বিক্রেতা সব সময় পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কম মূল্য পাওয়ার জন্য পণ্য ক্রয় করে থাকে। আমি নিচে মুদি মালামালের কিছু না উল্লেখ করছি। যেগুলো দিয়ে আপনি প্রাথমিকভাবে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন,
  • আটা
  • হলুদ
  • মরিচ
  • চাল
  • ডাল
  • গম
  • গরম মসলা
  • জিরা সহ বিভিন্ন পণ্য

মন্তব্য

তবে উক্ত পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে তাহলে আপনি উক্ত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আর আপনাকে উক্ত ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি গোডাউন অথবা দোকান ঘর দরকার হবে। আপনার যদি নিজস্ব জমি থাকে বাজারের উপরে তাহলে আপনি একটি গোডাউন তৈরি করতে পারেন অথবা যদি জমি না থাকে তাহলে একটি গোডাউন ঘর ভাড়া নিতে পারেন।

কাগজের প্যাকেট তৈরি

আমরা অনেকেই কাগজের প্যাকেট অথবা ঠঙ্গা সম্পর্কে জানি। সাধারণত বিভিন্ন মালামাল প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে কাগজের ঠোঙ্গা। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে উক্ত কাগজের ঠোঙ্গা অথবা প্যাকেট। আর এই কাগজের প্যাকেট ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। যার কারণে এর ব্যবহার ২০০১ সাল থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছিল।

কিন্তু আস্তে আস্তে বাজারে আসতে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পলিথিন। যার কারণে ধীরে ধীরে কাগজের প্যাকেটের চাহিদা কমতে থাকে। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে মানুষ পলিথিনের পাশাপাশি খাবারের ব্যবহার শুরু করলেন কাগজের প্যাকেট। কারণ শুধুমাত্র পলিথিনে খাবারের মান ঠিক থাকে না এবং লোকসমূহ খাবারগুলোকে দেখতে পাই। যার কারণে মানুষ পলিথিনের পাশাপাশি এখন ব্যবহার করছে কাগজের ঠোঙ্গা।

সে ক্ষেত্রে উক্ত পাইকারি ব্যবসা শুরু করলে আপনাকে প্রথমত খুবই অল্প পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি সর্বপ্রথম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে দুই পদ্ধতিতে উক্ত ব্যবসাটি করতে পারেন। যেমন,
  1. নিজে কাগজের প্যাকেট তৈরি।
  2. অথবা বিভিন্ন ধরনের কাগজ তৈরি করা থেকে সংগ্রহ।
আপনি যদি চান তাহলে নিজে কারখানা তৈরি করে কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করে শুরু করতে পারেন কাগজের প্যাকেট তৈরির কাজ। আর যদি এটা আপনার ভালো লেগে না থাকে তাহলে আপনি চাইলে এমন কারখানার মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যারা কাগজের ঠোঙ্গা বানায় এবং তাদের থেকে কাগজের প্যাকেট গুলো ক্রয় করে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি কাগজের প্যাকেট গুলো ক্রয় করে আনার পর উক্ত প্যাকেট গুলো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

স্টেশনারি পণ্য বিক্রয়

ওপরে দেখানো দুইটি বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ইউনিক আইডিয়া হচ্ছে স্টেশনারি পণ্য বিক্রয় করা। উক্ত ব্যবসায় আপনি যদি সঠিক উপায়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন অন্যান্য ব্যবসার থেকে। আমরা সকলেই জানি যে বাংলাদেশ প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আপনার কাছে যদি অল্প টাকা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। মূলত এই ব্যবসাটিতে খুব বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয় না। চলুন এবার কি কি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। যেমন,
  • কাগজ
  • বিভিন্ন ধরনের কলম
  • রুলার
  • পিন মেশিন
  • রাবার 
  • চক
  • খাতা ইত্যাদি
সে ক্ষেত্রে আপনি উক্ত ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে উপরের দেখানো পণ্যগুলো ক্রয় করে এনে। সেই পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারেন বিভিন্ন খুচরা এবং ছোট বিক্রেতাদের কাছে। সাধারণত স্টেশনারি পণ্যতে অল্প পুঁজিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি অল্প পুঁজিতে কোন পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আমার মতে স্টেশনারি পণ্য বিক্রয় শুরু করতে পারেন।

কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কসমেটিক্স সামগ্রী লাগে না এমন কোন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর ব্যাপার। নিত্য প্রয়োজনে মানুষ ব্যবহার করে থাকে নানান কসমেটিক সামগ্রী। তাই আমার মতে কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা অত্যন্ত লাভবান একটি ব্যবসা। কিন্তু অন্যান্য ব্যবসার থেকে কসমেটিক্স এর ব্যবসায় আপনাকে একটু বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। শুরুতে আপনাকে দেড় থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তারপরে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

যেমন এই ব্যবসায় আপনাকে বেশি মূলধন ব্যয় করতে হচ্ছে শুরু করতে। ঠিক তেমনি আবার আপনি খুব দ্রুত অনেক টাকার লাভ করতে পারবেন। আর আপনারা জানেন যে, বর্তমানে কসমেটিকসের চাহিদা কত পরিমাণে বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি, বিভিন্ন কসমেটিক্স কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের কোম্পানির বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য অল্প দামে ক্রয় করবেন।

ক্রয় করার পর উক্ত পণ্যগুলো আপনি বাজারের অন্যান্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করবেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কসমেটিকসের চাহিদা প্রচুর তাই এই ব্যবসায় আপনি খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা।

বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসা

আমাদের লিস্টের সর্বশেষ ব্যবসাটি হচ্ছে বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসা। তবে আপনি যদি এই ব্যবসাটি শহরে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এটি ভালো হবে। তার কারণ হচ্ছে গ্রামের চেয়ে শহরে বাচ্চাদের খেলনার চাহিদা বেশি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি শহরে ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে আপনি একটি লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে প্রতিটি বাচ্চায় বিভিন্ন ধরনের খেলনা জাতীয় জিনিস পছন্দ করে।

যার কারণে বাজারে এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার মতে এটি একটি ইউনিক এবং লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। আর আপনি খুবই অল্প পরিমাণ টাকায় উক্ত ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে অনায়াসে ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। উক্ত ব্যবসার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ইমপোর্ট করতে হবে। আর ইমপোর্ট করা দেশের মধ্যে সবচেয়ে অল্প দামে পাওয়া যায় চায়না তে।

সে ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি চায়না থেকে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ডিজাইনের খেলনা খুব সহজেই ইমপোর্ট করে সেগুলো পাইকারি দামে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে আপনি খুব ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই দেরি না করে অল্প পুজিতে নিজের ব্যবসা শুরু করুন এবং লাভবান হন।

উপরে দেখানো সকল পাইকারি ব্যবসা শুরু করার হিসাব

  পাইকারি ব্যবসার নাম

  প্রথমে ব্যবহারকৃত মূলধন

মুদি মালামাল বিক্রয়

এক থেকে দেড় লাখ টাকা

কাগজের প্যাকেট তৈরি

৪০ থেকে  ৫০ হাজার টাকা

স্টেশনারি পণ্য বিক্রয়

২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা

কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা

দেড় থেকে তিন লাখ টাকা

বাচ্চাদের খেলনা ব্যবসা

৪০ থেকে  ৫০ হাজার টাকা

পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা প্রয়োজন

পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে। তার কারণ হচ্ছে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয় করতে হয় যার কারণে প্রথম বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়। যার কারনে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে সর্বনিম্ন অর্থ হিসাবে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি অন্য উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। যেমন, বাকিতে ব্যবসা শুরু করা।

মূলত উৎপাদনকারী যদি আপনার পরিচিত হয় তাহলে তাকে কিছু পরিমাণে অর্থ প্রদান করে বাকিতে পণ্য ক্রয় করতে পারেন। পরবর্তীতে পণ্যগুলো বিক্রি করার পর আপনি তার টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন। এতে করে আপনি অল্প পুজিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু সকালের ক্ষেত্রে এই উপায়টি কাজে লাগেনা। তার কারণ সবার তো পরিচিত থাকে না। আগের মূলধন ব্যবসা শুরুতে ব্যয় করতেই হয়।

তাই আপনার কাছে যদি আমার বলা পরিমাণ অর্থ থেকে থাকে তাহলে আপনি অনায়েসে উপরে দেখানো ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। চলুন এবার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সহজে পাইকারি ব্যবসায় লাভবান হওয়ার উপায়

আমরা অনেকেই জানি যে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। অর্থাৎ আপনি যদি সঠিক উপায়ে পরিশ্রম করেন তাহলে আপনি তার ফল পাবেন। তাই আপনি যদি পাইকারি ব্যবসায় লাভবান হতে চান এবং সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়াও আপনার ব্যবসার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবসময় হিসাব ঠিক রাখবেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও ব্যবসায় উন্নতি লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সততা বজায় রাখা। অর্থাৎ আপনি যদি সততা বজায় রাখেন তাহলে একটু দেরিতে হলেও আপনি সফল হবেন।

এছাড়াও আপনাকে পাইকারি মালামাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যে মালামাল গুলি বিক্রয় করছেন সেগুলোর গুণগত মান যেন ঠিক থাকে। এছাড়াও আপনাকে অন্যান্য পাইকারি বিক্রেতার থেকে কিছু পরিমাণে কম দামে পণ্য বিক্রয় করতে হবে। এতে করে আপনি অল্প দামে বিক্রি করলেও বেশি পরিমাণে পণ্য বিক্রি হবে। তাতে করে আপনার লাভ ঠিক একই থাকবে। যেমন, ধরেন আপনি একটি পাইকারি পণ্য ১৫০ টাকায় ক্রয় করেছেন।

উক্ত মালের ন্যায্য বাজার মূল্য হচ্ছে ১৯০ টাকা। কিন্তু অন্যান্য পাইকারি বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্যের থেকে বেশি আমি পণ্য বিক্রয় করে যেমন ২০০ থেকে ২১০ টাকা। আপনি অন্যদের মতো কাজ করবেন না, ব্যবসায়ী সততা বজায় রেখে আপনি ন্যায্য মূল্য ১৯০ টাকায় বিক্রি করবেন। ওপরের দেখানো নিয়মাবলী মেনে চললে আশা করি আপনি খুব দ্রুত নিজের ব্যবসা উন্নতি করতে পারবেন এবং লাভবান হবেন।

পাইকারি ব্যবসা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ কোন ব্যবসায় সবচেয়ে লাভজনক?
উত্তরঃ গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসায়ীরা কতটা লাভমান?
উত্তরঃ ১৫% থেকে ৩০%।

প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসা বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ উৎপাদনকারী থেকে পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় পাইকারি ব্যবসার মূল লক্ষ্য।

প্রশ্নঃ কিভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আয় করা যায়?
উত্তরঃ কোম্পানির শেয়ার কিনে অথবা ঋণ দিয়ে।

প্রশ্নঃ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সাধারণত পাইকারি বিক্রেতারা উৎপাদনকারী থেকে পণ্য ক্রয় করে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন পাইকারি বিক্রেতার থেকে পণ্য ক্রয় করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রি করে থাকে। মূলত এটাই পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতার মধ্যে পার্থক্য।

প্রশ্নঃ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার সুবিধা?
উত্তরঃ বর্ধিত মুনাফা মার্জিন।

প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়?
উত্তরঃ মালের গুণগত মান ঠিক রাখা এবং সততার সাথে ও সঠিক দামে পণ্যগুলো বিক্রি করা।

প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে?
উত্তরঃ উৎপাদনকারীর কাছ থেকে অল্প দামে পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি অল্প পুজিতে বিভিন্ন ব্যবসার শুরু করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url