ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা জেনে নিন

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে মুরগি পালন। মুরগি পালন খুবই সহজ কাজ বলে এবং এটি সঠিক নিয়মে পালন করে লাভবান হওয়াতে মানুষ এটি কি নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বয়লার মুরগি পালন করেন কিন্তু বয়লার মুরগির ওষুধের তালিকা সম্পর্কে জানেন না। তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা
তাই আপনি যদি বয়লার মুরগির সঠিক ওষুধের তালিকা জেনে এবং এটি পালন করে বয়লার মুরগি পালনে লাভবান হতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা। ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা

এখন বাংলাদেশে মানুষ কৃষি কাজের পাশাপাশি বেছে নিচ্ছেন মুরগি পালন। মূলত মুরগি পালনে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়ার কারণে মানুষ এই সেক্টর টি বেছে নিচ্ছেন। এছাড়া অনেক মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলছেন মুরগির খামার। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করে তারা লাভের মুখ দেখছেন। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা নতুন বয়লার মুরগি পালন শুরু করেছে।

কিন্তু বয়লার মুরগির সঠিক ওষুধের তালিকা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। তাহলে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা কর। তাই বয়লার মুরগির সঠিক ওষুধের তালিকা জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা

মুরগি পালনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক ওষুধ ব্যবস্থাপনা। আপনার যদি খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ওষুধ ব্যবস্থাপনা সঠিক না হয় তাহলে আপনি মুরগি পালনে লাভামান হতে পারবেন না। চলুন বয়লার মুরগির ওষুধের তালিকা দেখে নেয়া যাক।

১ থেকে ১৫ দিনের ওষুধের তালিকা

      দিন

      সকাল

        দুপুর

          রাত

প্রথম দিন

গ্লুকোজ

  ইলেকট্রো লাইট

ডক্সি সাইক্লিন

দ্বিতীয় দিন

ডক্সি সাইক্লিন

  ইলেকট্রো লাইট

ডক্সি সাইক্লিন

তৃতীয় দিন

ডক্সি সাইক্লিন

  ভিটামিন সি

ডক্সি সাইক্লিন

চতুর্থ দিন

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স

খাওয়ানোর দরকার নাই

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স

পঞ্চম দিন

এডি থ্রি ই

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

ষষ্ঠ দিন

জিংক

খাওয়ানোর দরকার নাই

ই-সেল

সপ্তম দিন

জিংক

খাওয়ানোর দরকার নাই

ই সেল

অষ্টম দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

ক্যালসিয়াম

নবম দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

দশম দিন

এডি থ্রি ই

খাওয়ানোর দরকার নাই

এম ক্সাসিলিন

একাদশ দিন

এম ক্সাসিলিন

ইলেকট্রো লাইট

এম ক্সাসিলিন

দ্বাদশ দিন

এম ক্সাসিলিন

ইলেকট্রো লাইট

এম ক্সাসিলিন

১৩ তম দিন

এম ক্সাসিলিন

ইলেকট্রো লাইট

এম ক্সাসিলিন

১৪ তম দিন

  জিংক

খাওয়ানোর দরকার নাই

ক্যালসিয়াম

১৫ তম দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

১৬ থেকে ৩০ দিনের ওষুধের তালিকা

    দিন

      সকাল

        দুপুর

          রাত

১৬ দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

এমাইনো এসিড

১৭ দিন

এডি থ্রি ই

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

১৮ দিন

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

ক্যালসিয়াম

১৯ দিন

জিংক

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

২০ দিন

জিংক

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

২১ দিন

অ্যামাইনো এসিড 

খাওয়ানোর দরকার নাই

এডি থ্রি ই

২২ দিন

সিপ্রো

ইলেকট্রো লাইট

সিপ্রো

২৩ দিন

সিপ্রো

ইলেকট্রো লাইট

সিপ্রো

২৪ দিন

সিপ্রো

ইলেকট্রো লাইট

সিপ্রো

২৫ দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

২৬ দিন

লিভার টনিক

খাওয়ানোর দরকার নাই

ক্যালসিয়াম

২৭ দিন

  ই সেল

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

২৮ দিন

অ্যামাইনো এসিড

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

২৯ দিন

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

অ্যামাইনো এসিড

৩০ দিন

গ্রোথ প্রোমোটার

খাওয়ানোর দরকার নাই

খাওয়ানোর দরকার নাই

আমিও পড়ে বয়লার মুরগির সঠিক ওষুধের তালিকা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই তালিকা দেখে আপনি মুরগি পালন করতে পারবেন।উক্ত তালিকা মেনে চললে আশা করি আপনি মুরগির সঠিক ওজন পেয়ে যাবেন

বিশেষ সতর্কতা

উপরের ওষুধ গুলো প্রয়োগের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ পশু ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উপরের দেখানো বয়লার মুরগির ভ্যাকসিনের সিডিউল মেনে চলতে হবে সঠিকভাবে। আবহাওয়া ও স্থান পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ভ্যানেটারিয়ান এর থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সবসময় বয়লার মুরগির সঠিক বৃদ্ধির জন্য পরিষ্কার এবং জীবানুমুক্ত পানি পান করাতে হবে। তার কারণ মুরগি যত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি পান করবে তত বৃদ্ধি পাবে।

বয়লার মুরগি দ্রুত বৃদ্ধির কৌশল

  • প্রথমে যেই কথাটি আসে সেটি হল বাচ্চা নির্বাচন।
  • সাধারণত বাচ্চা নির্বাচন মুরগির খামারের প্রথম ধাপ।
  • তাই সুস্থ এবং সবল বাচ্চা নির্বাচন করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে সব বাচ্চার বয়স এবং ওজন যেন একই থাকে।
  • বাচ্চার খেয়াল রাখতে হবে ঠিকমতো অন্তত এক মাস।
  • আর বাচ্চা খেয়াল রাখার জন্য সঠিক খাবার, সঠিক পানি এবং সঠিক আলোর ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
  • রাতে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়াতে হবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শে গ্রোথ প্রোমোটার এবং ভিটামিন ও মিনারেল খাওয়াতে পারেন।
  • বেশি করে পানি এবং খাবারের পাত্র রাখতে হবে।
  • এমন ভাবে পানির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মুরগির বাচ্চারা সব সময় পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত পানি পায়।
  • ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।
  • সর্বশেষ মুরগির যত্ন নিতে হবে যাতে করে মুরগি সুস্থ থাকে।

বয়লার মুরগি পালনে বাচ্চা ছোট এবং বড় হওয়ার কারণ

সাধারণ বাচ্চা যখন খামারে প্রবেশ করানো হয়। তখন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ সব মুরগির বাচ্চারা তেমন একটা চলাফেরা করে না। মূলত এর কারণে বয়লার মুরগির বাচ্চা ছোট এবং বড় হতে পারে। আবার আরো বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন, মুরগির বাচ্চা অনুযায়ী খাবার এবং পানির পাত্র কম থাকতে পারে যার কারণে যারা খেতে পারে তারা বড় হয় এবং যারা খেতে পারেনা তারা ছোট হয়ে থাকে। আর অনেক ক্ষেত্রে কিছু কিছু বাচ্চারা খাবার চিনতে পারে না যার কারণে এদের আকার ছোট হয়ে যায়।

আবার যখন মুরগির বাচ্চা গুলো বড় হতে শুরু করে তখন তাদের মধ্যে খাবারের প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে। আর সেই সময় যদি আপনি খাবারের এবং পানির পাত্র প্রয়োজনের চেয়ে কম দেন তাহলে কিছু কিছু মুরগি খাবার খেতে পারে না। যার কারণে তাদের আকার ছোট হয়ে যায় এবং যারা বেশি পরিমাণে খাবার খায় তারা স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যায়। তাই অবশ্যই এমনভাবে খাবার এবং পানি ব্যবস্থাপনা করতে হবে যেন সব মুরগির বাচ্চাগুলো পরিমাণ মতো খাবার পেয়ে যায়।

বয়লার মুরগির ওষুধের তালিকা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগির জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ভালো?
উত্তরঃ অ্যামোক্সিসিলিন এবং অ্যাম্পিসিলিন।

প্রশ্নঃ মুরগি অসুস্থ হলে কি ওষুধ দিতে হয়?
উত্তরঃ টেট্রাসাইক্লিন ট্যাবলেট।

প্রশ্নঃ মুরগির বাচ্চার ব্রুডিং পিরিয়ড কত দিন?
উত্তরঃ একদিন বয়স থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত।

প্রশ্নঃ আপনি কি কাউন্টারে মুরগির অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে পারেন?
উত্তরঃ উপলব্ধ হবেনা

প্রশ্নঃ মুরগির চোখের ইনফেকশন এর চিকিৎসা?
উত্তরঃঅ্যান্টিবায়োটিক যেমন, এরিথ্রোমাইসিন, ডাইহাইড্রোস্ট্রেপ্টোমাইসিন, স্ট্রেপ্টোমাইসিন।

প্রশ্নঃ মুরগির নাক দিয়ে পানি পড়ার কারণ কি?
উত্তরঃ মাইকোপ্লাজমাল হওয়ার কারণে।

প্রশ্নঃ মুরগির ডিম ফোটাতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তরঃ ২০ থেকে ২১ দিন।

প্রশ্নঃ মুরগির বাচ্চা কতদিন থাকে?
উত্তরঃ প্রায় তিন সপ্তাহ।

শেষ কথা। ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ব্রয়লার মুরগির ৩০ দিনের ঔষধের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url