নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস সম্পর্কে জানুন

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই জানি যে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশ এবং দেশের বাহিরে বিভিন্ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এবং নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কেমন হবে জানতে চান। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কেমন হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার বিভিন্ন টিপস নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
তাই আপনি যদি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা।নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। অর্থাৎ এটি বিভিন্ন চাকরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। মূলত যার কারণে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। আপনারা অনেকেই নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য।

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবে এবং কেমন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য পেয়ে যাবেন। চলুন এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

আপনি নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। বর্তমানে দেশ এবং দেশের বাহিরে বিভিন্ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন এবং ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক মানুষই তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বেছে নিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর। তবে সঠিক  গাইডলাইন প্রয়োজন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। কিন্তু অনেক খোঁজার পরও সঠিক তথ্য কেউ খুঁজে পায় না।

আসলে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। অর্থাৎ এটি আপনার অবসর সময়ে অনায়াসে করতে পারবেন। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিভিন্ন চাকরি, ব্যবসা অথবা লেখাপড়ার পাশাপাশি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রবেশ করলে প্রথম প্রথম একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়। চলুন এবার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান

শুরুতে থেকে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের সমন্ধে বেসিক কিছু ধারণা থাকতে হবে। সাধারণত কম্পিউটার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের সফল হওয়ার রাস্তা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেসব সেক্টর রয়েছে প্রত্যেকটা সেক্টরে আপনি খুব সহজে কাজ করতে পারবেন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ দিয়ে। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিন্তু আপনি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে যেসব কাজ করতে পারবেন ওই কাজগুলো মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব নয়।

আর এই কারণে আপনাকে কম্পিউটারের বেসিক ধারণা জানতে হবে। কম্পিউটারের বিভিন্ন বেসিক ধারণা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, কীবোর্ড টাইপিং এবং গুগল ড্রাইভ সহ আরো অন্যান্য বিষয়ে আপনার আগে থেকে ধারণা নেওয়া উচিত। যদি এসব বিষয়ে ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত শিখে যেতে পারবেন। চলুন এবার আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ইন্টারনেট ব্যবহার

মূলত ফিন্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলো করা হয়ে থাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত কাজগুলো শিখতে পারবেন। মূলত এই কারণেই ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে জানার কোন বিকল্প নেই। এক কথায় বলতে গেলে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই জরুরী।

এছাড়াও বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা এবং বের করার দক্ষতা থাকলে আপনি খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। মূলত ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার জেনে থাকলে অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

ইংরেজি দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। মূলত এর কারণ হচ্ছে আপনার কাজের সফলতা পেতে ইংরেজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ ইংরেজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশী ক্লায়েন্টের থেকে বেশি বিদেশি ক্লায়েন্টরা থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজি ভালো না জানেন তাহলে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে পারবেন না। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইবার, আপ ওয়ার্ক এবং লিঙ্ক ইন ইত্যাদি প্লাটফর্মে বাংলাদেশী থেকে বেশি বিদেশি ক্লায়েন্ট থাকে।

সেক্ষেত্রে বিদেশী ক্লায়েন্ট এর সাথে সচরাচর বিভিন্ন মিটিং সংগঠিত হয়। আর এই মিটিংয়ে আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজে ক্লায়েন্টদের ইমপ্রেস করে আপনার কাজ বুঝিয়ে নিতে পারবেন। আর ইংরেজি জানা থাকলে খুব সহজে কাজ নিতে পারবেন। অপরদিকে যারা ইংরেজিতে দক্ষ না তারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পিছিয়ে পড়ে যায়। তাহলে পরিশেষে বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।

কাজের ক্ষেত্র নির্বাচন

যদি আপনার ওপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে এবার কাজের ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান উক্ত বিষয়টি নির্বাচন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন, ডিজিটাল মার্কেট আর হবেন অথবা একজন ভালো রাইটার হবেন। আপনাকে সেটি বেছে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার যদি লেখালেখি ভালো লাগে তাহলে রাইটার বেছে নিবেন।

আর যদি মার্কেটিং ভালো লাগে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নিবেন অথবা যদি আপনার বিভিন্ন ডিজাইন করা ভালো লাগে তাহলে ডিজাইনের কাজ বেছে নিবেন। অর্থাৎ আপনার যেটি ভালো লাগে সেটি বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে দেখতে পারেন। সার্চ করে আপনার যেই বিষয়টি ভালো লাগে ওই বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এক কথায় আপনার পছন্দমত একটি ক্ষেত্র বেঁচে নিতে হবে।

পছন্দের নিস নির্ধারণ

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নিষ নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনকে আপনার কাজের ক্ষেত্রে হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে সামনের দিক আগাবেন অথবা আপনি UL/UX ডিজাইন নিয়ে শুরু করবেন সেটি আপনাকে নির্ধারণ করতে। হবে সেক্ষেত্রে আপনি যদি রাশির ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে মার্কেটপ্লেসে একজন স্পেশালিস্ট হিসেবে দাবি করতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে নিজেকে প্রফেশনাল ডিজাইনার হিসেবে প্রকাশ করতে হবে।

আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনে বিভিন্ন কাজ করতে পারেন যেমন, টি-শার্ট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বিভিন্ন প্যাকেজিং ডিজাইন অথবা বিজনেস কার্ড অথবা রেস্টুরেন্ট এর মেনু ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে বোঝা গেল আপনাকে প্রথমে আপনার নির্দিষ্ট নিস নির্বাচন করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনাকে আগাতে হবে।

দক্ষতা বৃদ্ধি ও চর্চা

আপনি আপনার পছন্দের কাজ নির্বাচন করে বসে থাকলে হবে না। অর্থাৎ আপনি আপনার পছন্দের কাজটি নির্বাচন করার পর আপনাকে সেই কাজগুলো নিয়ে প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তার কারণ আপনি উক্ত বিষয়ে যত চর্চা করবেন এবং জ্ঞান অর্জন করবেন তত আপনি তাড়াতাড়ি শিখে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ব্রাউজারের সাহায্য নিতে পারেন। যেমন ইউটিউব অথবা গুগল। অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান উক্ত বিষয়ে ফ্রিতে ইউটিউব এবং গুগলে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকে।

আপনি হয়তো তথ্যগুলো দেখে দেখে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং সেগুলো চর্চা করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব দ্রুত আগাতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার তাদের ফ্রি ক্লাস দিয়ে রেখেছে। আপনি চাইলে সেগুলো থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। মূল কথা আপনাকে বিভিন্ন ব্রাউজার অথবা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে রিসার্চ করতে হবে এবং জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

অনলাইন প্লাটফর্মে একাউন্ট তৈরি

ওপরে দেখানো বিষয়গুলো যদি আপনি সম্পূর্ণ করে ফেলেন তাহলে আপনার কাজ হবে বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করা। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন প্লাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করে আপনি খুব সহজে আপনার যাত্রা শুরু করতে পারবেন।

মূলত নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হয় উক্ত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলিতে। মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের রিভিউ এর ওপর ভিত্তি করে আপনার দক্ষতা প্রকাশ পায়। অর্থাৎ আপনার কাজের যতো বেশি রিভিউ আসবে আপনার কাজ পাওয়ার ততো বেশি সম্ভাবনা থাকবে। চলুন এবার ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস গুলি দেখেনি। যেমন,,
আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি মার্কেট প্লেস ওপরে তুলে ধরেছি। উক্ত মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেয়ে যাবেন। আপনি উক্ত ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্ল্যাটফর্মের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

গিগ তৈরি

আপনি যখন উপরের সমস্ত বিষয় সম্পন্ন করে ফেলবেন তখন আপনার কাজ হবে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের কিছু স্যাম্পেল তৈরি করে আপনার প্রোফাইলে রাখা। মূলত প্রতিটি কাজই এক একটি গিগ যা মার্কেটযোগ্য। সেক্ষেত্রে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি আপনার শিখা কাজগুলি তৈরি করে স্যাম্পল হিসেবে আপনার প্রোফাইলে আপলোড করবেন।

অর্থাৎ আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলে বিভিন্ন ডিজাইন প্রোফাইলে আপলোড করে রেখে দিবেন। যাতে করে বিভিন্ন বায়ার আপনার কাজ দেখে আপনাকে যাচাই-বাছাই করে তার কাজগুলো করায় নিতে পারে।

সেলফ মার্কেটিং

আপনি আপনার বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের তথ্য আপলোড করে বসে থাকলে চলবে না। এগুলো আপলোড করার পাশাপাশি আপনার কাজের মার্কেটিং করতে হবে নিজেকে। অর্থাৎ আপনার কি কি কাজের দক্ষতা রয়েছে উক্ত কাজের দক্ষতা গুলি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার প্রোফাইলে শেয়ার করতে হবে। এছাড়াও আপনি শেয়ার করার পাশাপাশি আপনার বন্ধুদেরও বলতে পারেন শেয়ার করার জন্য। তাতে করে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।

বায়ার পাওয়ার উপায়

শুরুতে আপনাকে ক্লাইন্ট পেতে অথবা বায়ার পেতে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ পেতে দশ দিনও লাগতে পারে আবার এক মাসের বেশিও লাগতে পারে। মূলত কাজ পাওয়া আপনার দক্ষতার উপর এবং আপনার ভাগ্যের উপর। মূলত আপনি যখন প্রথম কাজটি পাবেন তখন আপনি চেষ্টা করবেন বায়ারের মনের মত করে কাজ করে দেওয়া। অর্থাৎ তিনি যেভাবে চান পারলে তার থেকে ভালো করে কাজ সম্পন্ন করে দেওয়া।

এর কারণে ক্লায়েন্ট আপনার কাজের উপর খুশি হয়ে আপনাকে আরো কাজ দিতে পারে। অর্থাৎ ক্লায়েন্ট অথবা বায়ারদের খুশি করায় আপনার মূল কাজ হবে। আপনি যদি কোন ক্লাইন্টকে খুশি করাতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে আপনাকে তার সব কাজগুলি দিয়ে দিতে পারে। এতে করে আপনার সুবিধা হবে।

কাজের জন্য আবেদন যেভাবে করবেন

প্রথমে সাধারণত ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করতে হয়। এর পরবর্তীতে আপনার প্রোফাইলে আপনার কাজের কিছু সাম্পল আপলোড করতে হয়। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন বায়ার প্রোফাইল দেখে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে বিড ইনভিটেশন পাঠিয়ে থাকেন। সাধারণত এখানে উল্লেখ করা থাকে ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে কাজটি দিয়েছে এবং মূল্য এবং কাজ সম্পন্ন করার সময় দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে আপনি কাজটি জমা দেওয়ার পর আর কোন কাজ দেবে কিনা তা নির্ধারণ করে দেন।

কাদের মূল্য নির্ধারণ

শুরুতে আপনাকে কাজের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে আপনার কাজ শুরু করার আগে। মূল্য নির্ধারণের আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সেক্টর নিয়ে কাজ করছেন মূলত কাজটি করতে কতক্ষণ লাগবে এবং আপনি উক্ত কাজে কতটুকু অভিজ্ঞ তার ওপর। মূলত পাঁচ ডলার থেকে শুরু হয়ে থাকে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। আবার 180 টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা হতে পারে বেশি ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে। তাই শুরু থেকে কাজের মূল্য নিয়ে কখনো মন খারাপ করবেন না।

হয়তো শুরুতে আপনি অল্প পরিমাণে টাকা পাবেন। কিন্তু যত দিন দিন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনার অভিজ্ঞতার বৃদ্ধি পেলে আপনি 200 থেকে 500 ডলার বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন। মূলত দুইভাবে মূল্য নির্ধারণ করা যায়। যেমন,,
  • প্রজেক্ট বেসিসে।
  • এবং ঘন্টা হিসেবে।
তাহলে আশা করি আপনি কাজের মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কে জেনে গেছেন।

পেমেন্ট গ্রহণ

সর্বশেষ আপনার কাজটি হবে আপনার কাজের পারিশ্রমিক নেওয়া। আপনাকে শুরুতে জানতে হবে আপনার ক্লায়েন্ট কিভাবে পেমেন্ট করতে চায়। এছাড়াও সার্ভিস ফ্রী কেটে নিতে পারে বিভিন্ন পেমেন্ট সার্ভিসে। এছাড়াও কিছু কিছু পেমেন্ট গ্রহনে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে। নিচে আমি কিছু পেমেন্টের উপায় তুলে ধরলাম যে উপায়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টেরা কাজ করিয়ে নিয়ে পেমেন্ট প্রদান করে। যেমন,,
  • PayPal.
  • Bank to Bank transfer.
  • Mobile Banking.
  • Skrill.
  • direct payment.
তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কি কি উপায়ে পেমেন্ট ট্রান্সফার করা হয়।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি?
উত্তরঃ আপ ওয়ার্ক।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ কততম অবস্থানে রয়েছে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি?
উত্তরঃ কনটেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং।

প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং ভালো?
উত্তরঃ আপ ওয়ার্ক।

শেষ কথা।নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস  সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url