বীমা কাকে বলে - জীবন বীমা কি জেনে নিন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকেই বীমা অথবা জীবন বীমা ব্যবহার করি কিন্তু আমরা বীমা কাকে বলে জানিনা। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে কাকে বীমা বলে এবং জীবন বীমা কি এই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি জীবন বীমা কাকে বলে জানতে পারবেন।
বীমা কাকে বলে
পোস্টসূচিপত্রঃতাই আপনি যদি বীমা কাকে বলে এবং বীমা সম্বন্ধে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি বীমা কাকে বলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা।জীবন বীমা কি

সাধারণত বীমা হচ্ছে এক ধরনের চুক্তিনামা। যার মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করা হয় একটি পলেসির মাধ্যমে। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে বীমা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই বীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

বীমা কাকে বলে

সাধারণত বীমা হল একটি চুক্তি নামা যার দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয় একটি পলিসির মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে একজন বীমা কারী বীমা কোম্পানির থেকে বিভিন্ন ক্ষতির বিরুদ্ধে আর্থিক সুরক্ষা এবং প্রতিদান পেয়ে থাকে। কোম্পানিকে একটি প্রিমিয়াম বীমা প্রদান করে ওই ব্যক্তি। আর এই বিমার মাধ্যমে বীমা কারী বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হলে বীমা কোম্পানি থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
এক কথায় বীমার প্রধান উদ্দেশ্য হল দেশের আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর করা। সর্বশেষ বলা যায় একটি পলিসির মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করে যে চুক্তিনামা দেওয়া হয় তাকে বীমা বলে। এছাড়াও বীমা কোম্পানি আপনাকে আপনার প্রয়োজন মোতাবেক অর্থ প্রদান করে। এছাড়াও আপনি সেই পরিমান কৃত অর্থ এক মাস পর পর অথবা ৬ মাস পর অথবা এক বছর পর পরিশোধ করার সুবিধা পেয়ে যাবেন।

অনেক ধরনের বীমা করা হয়ে থাকে যেমন জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা এবং সাধারণ বীমা। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা হচ্ছে যদি আপনার কোন বড় অসুখ হয় তাহলে বীমা কোম্পানি আপনার চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করে।

বীমা কত প্রকার ও কি কি

বর্তমানে বীমা তিন প্রকার,
  • জীবন বীমা
  • স্বাস্থ্য বীমা
  • সাধারণ বীমা
ব্যাখ্যা,
  • জীবন বীমাঃ সাধারণ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় জীবনবিমায়। এক কথায় বলতে গেলে সাধারণ মানুষের আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা জীবন বীমার প্রধান কাজ।
  • স্বাস্থ্য বীমাঃ সাধারণত স্বাস্থ্য বীমা এমন ধরনের একটি বীমা যার মাধ্যমে বীমা কারি ব্যক্তির চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। যদি বীমা কারি অসুস্থ হয় বা কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসার  খরচ বীমা কোম্পানি বহন করে।
  • সাধারণ বীমাঃসাধারণত সাধারণ বীমা হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন সম্পদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। এক কথায় মানুষের বিভিন্ন সম্পদ গাড়ি-বাড়ি এবং বিভিন্ন গহনা নিরাপদ ব্যবস্থা প্রদান করে সাধারণ বীমা কোম্পানি। সাধারণত বীমা নিয়ে আমাদের অনেক খারাপ চিন্তা রয়েছে। আমরা মনে করি বীমা হচ্ছে একপ্রকার বিনিয়োগ। কিন্তু এটি একদমই না। বীমা হচ্ছে এমন একটি প্রথা যার মাধ্যমে আপনি আপনার টাকা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছে জমা করে রাখতে পারবেন এবং আপনার প্রয়োজন মোতাবেক সে টাকা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পাবেন।

সরকারি বীমা কয়টি কি কি

সাধারণত সরকারি বীমা দুইটি,
  • জীবন বীমা কর্পোরেশন
  • সাধারণ বীমা কর্পোরেশন
ব্যাখ্যা,
জীবন বীমা কর্পোরেশনঃ সাধারণত জীবন বীমা কর্পোরেশনকে জেবিসি বলা হয়। সাধারণত জীবন বীমা কর্পোরেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। জীবন বীমা কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছে মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম সাবেক সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশনঃ১৯৭৩ সালে ১৪ই মে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন চালু করা হয়। বাংলাদেশের একমাত্র বীমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। এক কথায় ১৯৭৩ সালের ১৪ই মে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়।

বীমা প্রিমিয়াম কাকে বলে

সাধারণত বীমা প্রিমিয়াম হল বীমা চুক্তির অধীনে বীমা কারিকে তার বীমা প্রদান করার একটি মাধ্যম। এই প্রিমিয়াম বীমাতে বীমা কোম্পানির সাথে বীমা কারীর চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে বীমা কোম্পানি আপনাকে আপনার শর্ত মোতাবেক আপনার পরিমাণ মতো টাকা প্রদান করে থাকে। আপনাকে সেই টাকা আপনার বলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার কথা বলা হয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে আপনি টাকাগুলো প্রতি মাসে মাসে শোধ করতে পারেন আবার এক বছর পরেও শোধ করতে পারেন। আর আপনার সাবস্ক্রাইব কভারেজ এর অপর নির্ভর করে আপনার প্রিমিয়াম বীমা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বীমা কোম্পানি আপনার চাহিদা মত টাকা আপনাকে দেয় এবং কিস্তিতে প্রিমিয়াম বীমা পরিশোধ করার বিকল্প পদ্ধতি প্রদান করে।

এক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে, কিংবা ছয় মাস পর অথবা এক বছর পর আপনার অর্থ পরিষদ করতে পারবেন। প্রিমিয়াম বীমা পলিসিতে সুবিধা হল কলেজের মেয়াদে আপনার প্রিমিয়াম বাড়তে থাকে এবং ঋণের পরিমাণ রাশের সাথে বীমা প্রিমিয়াম ও হ্রাস পায়।

জীবন বীমা কি

জীবন বীমা জানার আগে আপনাকে বীমা সম্পর্কে জানতে হবে। বীমা আসলে আমাদের সম্পদ কিংবা মূল্যবান কোন কিছুর ওপর অর্থের বিনিময়ে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যৎ ক্ষতিপূরণ। বর্তমানে বীমা অনেক কিছুর অনেক কিছুর ওপর করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে জীবন বীমা অন্যতম। জীবন বীমা হলো জীবনের নিরাপত্তা জনিত কারণে যে বীমা করা হয়। ভালোভাবে বলতে গেলে জীবন বীমা হল সেই বীমা যেখানে একটি মানুষের ভবিষ্যৎ কোন ঝুঁকি বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় অর্থের বিনিময়ে যে বীমা করা হয়ে থাকে।
জীবন বীমাটি করা হয়ে থাকে বীমা গ্রহিতা এবং বীমা দাতার মধ্যকার চুক্তির মাধ্যমে। জীবন বিমাটি তখনই কার্যকর হয় যখন একটি পরিবারের মধ্যে টাকা উপার্জন করার একমাত্র ব্যক্তি হয়ে থাকেন। সেই পরিবারের তিনি ছাড়া আর অন্য কোন ব্যক্তি উপার্জন করার সামর্থ্য নেই।তাহলে এমন অবস্থায় তার মৃত্যুর পর সেই পরিবারের টাকার অভাব দেখা দেয়। আর এই কারণেই ব্যক্তিটি বীমা কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট কিছু অর্থ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য জমানো হয়।

যদি বীমা গ্রহিতার ব্যক্তিটি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার পরিবারের সদস্যগণ এর আর্থিক অসুবিধার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সেই বীমা কৃত অর্থ দিয়ে বীমা কোম্পানি বা বিনা দাতা সহযোগিতা করবে। আর এই সহযোগিতা করার কারণে সেই পরিবারের চলমান অর্থের সংকট কাটিয়ে ভারসাম্য তা বিরাজ করবে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন কি সরকারি

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে জীবন বীমা কর্পোরেশন সরকারি কি? এটি এর উত্তর হিসেবে বলা যায় যে হ্যাঁ, এটি সরকারী। জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানটি এক ধরনের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যেটা কেনা রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন এর মধ্যে রয়েছে। সাহিত্য শাসিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হওয়ার কারণে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর নিয়ম-কানুন গুলো সরকার এর নীতিমালা অনুযায়ী হয়ে থাকে।

জীবন বীমা কর্পোরেশনে সরকারি চাকরিজীবীদের মত সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। সরকারি চাকরিজীবী গণ যেমন অবসর নেওয়ার পরে পেনশন পেয়ে থাকেন ঠিক একই ভাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন এ ব্যক্তিবর্গগণকে অবসর গ্রহণের পরে পেনশন এর সকল সুবিধা প্রদান করে থাকে। আর এই সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করার কারণে সহজ ভাষায় বলা যায় যে জীবন বীমা কর্পোরেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক

জীবন বীমা সকলের জীবনের সুরক্ষিত ও নিরাপত্তা রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। জীবন বীমা আপনার শেষ বয়সের সম্বল অথবা আপনার অবর্তমানে অথবা মৃত্যুর পরে আপনার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত সঠিক একটি জীবন বীমা নির্বাচন করা। সঠিক জীবন বীমা নির্বাচন করলে আপনার বিমার সকল সুযোগ সুবিধা গুলো ভালোভাবে পেতে পারেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে নানারকম বীমার প্রচলন রয়েছে। তার মধ্যে জীবন বীমা অন্যতম। জীবন বীমার আবার কিছু পরিকল্পনা বিদ্যমান রয়েছে। আর এই পরিকল্পনাগুলো আপনি ইচ্ছামতন আপনার জীবন বীমাতে নির্বাচন করতে পারবেন। এর মধ্যে একটি হলো টারম পরিকল্পনা । এটির বৈশিষ্ট্য হলো অন্যান্য জীবন বীমা পরিকল্পনার তুলনায় একটু সস্তা। এছাড়াও এর বড় অসুবিধা হলো এই জীবন বীমার পরিকল্পনা ম্যাচিউরিটির মতো বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করে থাকে।

জীবন বীমার সুবিধা

জীবন বিমার নানা রকম সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে এর মধ্যে কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়ে আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে। জীবন বীমার সব থেকে বেশি সুবিধা হল এই বিমার মাধ্যমে আপনার পরিবারের সদস্যদের আপনার অবর্তমানে অথবা মৃত্যুর পরবর্তীতে সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে থাকে। অর্থাৎ আপনার মৃত্যুর পর আপনার পরিবারের সহায়তায় জীবন বীমা ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তানদেরকে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন প্রকার অর্থের অভাব না হয় সেজন্য জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করে থাকে। জীবন বীমার আর একটি সুবিধা হল আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তানদের বিবাহ করতে অর্থের ঘাটতি যেন না হয় অথবা অর্থের অভাব পূরণ করার জন্য জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আরো নানারকম সুবিধা হলো দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণ করতে জীবন বীমা ব্যবহার করতে পারেন।

জীবন বীমা আরও একটি সুবিধা হল এটি আপনার শেষ জীবনের সম্বল হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি জীবন বীমা করে থাকে যুবক বয়সে তাহলে আপনার বৃদ্ধ অবস্থায় জীবন বীমা আপনার অনেক কাজে আসবে। এছাড়াও জীবন বীমা ভবিষ্যতের জন্য একটি সঞ্চয় হিসেবে কাজ করবে। যা আপনি ভবিষ্যৎ কোন কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও আরো নানারকম সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে জীবন বীমাতে।

জীবন বীমার অসুবিধা

জীবন বীমার নানা রকম সুযোগ সুবিধা আর মাঝখানেও এর কিছু অসুবিধা বিদ্যমান হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো বয়স অনুযায়ী পলিসি নির্ধারণ করার জটিলতা। আমাদের মাঝে অনেকেই জানেনা যে জীবন বীমা নির্ধারিত হয়ে থাকে নিজের বয়স অনুযায়ী। আপনি যদি অল্প বয়সে জীবন বীমা করেন তাহলে আপনার অর্থের পরিমাণ কম লাগবে। আর এটি আপনার বয়স বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মাসিক কিংবা বাৎসরিক পলিসির অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও জীবন বীমার আরও একটি অসুবিধা হলো জীবন বীমা কোম্পানির নামে কিছু প্রতারণা কারী প্রতিষ্ঠান বা ভুয়া প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত হওয়া। বর্তমানে আমাদের দেশে নানা রকম বীমা কোম্পানি বিদ্যমান রয়েছে। এদের মাঝে কিছু বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত প্রায় প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার কাজ করে থাকে। আর এই প্রতারণার মাধ্যমে অনেকেই তার অর্থ হারাতে বসে। তাই জীবন বীমা করার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে শুনে তারপরে জীবন বীমা করা উচিত।

ব্যাংক ও বীমার মধ্যে পার্থক্য

সাধারণত ব্যাংক অভিমানের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, প্রথমত ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি কোম্পানি। যেইখানে আপনার জমানো টাকা রাখতে পারেন। তার সাথে সাথে সেই জমানো টাকার ওপর ওই ব্যাংক আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সুদ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো আপনার জমানো টাকা ব্যাংকে রাখার কিছু পরিমান টাকা সুদ হিসেবে প্রদান করা হয়। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার টাকা যে কোন সময় তুলে নিতে পারবেন। আপনি যদি কোন দুর্ঘটনা সম্মুখীন হন তাহলে ব্যাংক আপনাকে কোন প্রকারের সুবিধা প্রদান করবেন না।

ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে বীমা অর্থাৎ ইন্সুরেন্স পলিসি। ইন্সুরেন্স পলিসি অর্থাৎ বীমা পলিসিতে আপনি আপনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া না পর্যন্ত আপনার টাকা তুলতে পারবেন না। কথায় আপনি যদি ১০ বছরের একটি বীমা পলিসি শুরু করেন তাহলে ১০ বছরের আগে ওই টাকা আপনি তুলতে পারবেন না। কিন্তু সুবিধা হল আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন অথবা আপনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্ত দায়ভার সমস্ত টাকা বীমা কোম্পানি প্রদান করবে। তাহলে ব্যাংক থেকে বীমা পলিসি করা আপনার জন্য উত্তম।

বাংলাদেশে বীমার ইতিহাস

আপনারা অনেকেই জানেন না বীমা এবং বাংলাদেশের বিমার ইতিহাস সম্পর্কে।বর্তমান সময়ে এসে বাংলাদেশে বিমার বাজার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গুণীদের মতে 1954 সালে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বীমা কোম্পানি। তারপরে বীমা কোম্পানিটি প্রচুরভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৩৩ টিরও বেশি জীবন বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যার সংক্ষিপ্ত নাম IDRA।

এছাড়াও বীমার একটি সুবিধা হল যে বিমাকৃত লোক যদি মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও যদি বীমা কারি কোন জটিল রোগের কবলে পড়ে তাহলে তার চিকিৎসার খরচ বীমা কোম্পানি প্রদান করে।

বীমার জনক কে

গবেষণায় দেখা গেছে আধুনিক অগ্নিবীমার জনক নিকোলাস বারবন। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে ১৪ই মে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন চালু করা হয়। বাংলাদেশের একমাত্র বীমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। এক কথায় ১৯৭৩ সালের ১৪ই মে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়।

শেষ কথা।বীমা কাকে বলে

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বীমা কাকে বলে এবং জীবন বীমার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে গেছেন। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে আরো জানানোর চেষ্টা করেছিলাম জীবনবীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক সম্পর্কে। আপনার কাছে যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url