খুব সহজেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তাইতো নতুন জন্ম নিবন্ধন
আবেদন করার নিয়ম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে এই জন্ম নিবন্ধন
আবেদন করতে হলে আপনাদের কিন্তু সব রকম তথ্যগুলো লাগবে।তাই আপনারা সব রকম সঠিক
তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন।এর সাথে জানানো হবে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন।
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাদের দেখে শুনে ভালোভাবে আবেদন
করতে হবে।তাইতো আপনাদের তখন সেই গুলো দেখে শুনে আবেদন করতে হবে।সব তথ্য গুলো ভালো
করে সঠিক ভাবে দিয়ে আবেদন করবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
সাধারণত যদি আপনাদের ছেলে মেয়ের নতুন জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে চান।তাহলে তখন
আপনাদের তৈরি করতে সঠিক কিছু তথ্য লাগবে সেগুলো কিন্তু ভালোভাবে দিতে হবে।তাইতো
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হবে।সাধারণত নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম গুলো যদি আপনারা জানতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন খুব সহজেই
তাহলে তখন দেখবেন যে মোবাইল বা কম্পিউটার যদি আপনাদের থাকে তাহলে কিন্তু আপনারা
বাড়িতে বসে নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন।তাই এই জন্ম নিবন্ধনে আবেদন করার নিয়ম
সবগুলোই কিন্তু এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।আপনারা
ধৈর্য সহকারে জেনে পড়ে দেখে নেবেন তাহলে তখন আপনারা একা একাই আবেদন করতে পারবেন
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য।তাই তো নিচে সেই নিয়মগুলো ভালোভাবে দেওয়া হলো:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সাইটে প্রবেশ
এই সাইটের মধ্যে গেলে আপনার সামনে একটি ফর্ম আসবে সেখানে কিন্তু দেখতে পাবেন যে
স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা।এইগুলো ভালোভাবে দিয়ে দিবেন তারপরে পরবর্তী
বাটনে ক্লিক করবেন।এখানে আপনি যেই ঠিকানাটা দিয়ে দেবেন সেখান থেকে পরবর্তীতে
আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির তথ্য প্রদান
তারপরে আপনার সামনে আরেকটি ফর্ম আসবে সেখানে যেই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন এর জন্য
আবেদন করবেন তার ব্যক্তিগত সব রকম তথ্য সেখানে দিয়ে দিতে হবে।তবে সেই ফর্মে কি
কি থাকে তা নিচে দেওয়া হলো:
- যে ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন তার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে
- তারপর জন্ম তারিখ
- জন্ম তারিখের ফরমেট হচ্ছে:Date-month-year
- জন্ম তারিখের যে বক্সটি আছে সেখানে ক্লিক করলে সবকিছু চলে আসবে তখন ভালোভাবে জন্ম তারিখ দিয়ে দেবেন।
- একই সাথে বয়সের সাথে ভিত্তি করে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন সেই গুলো ভালোভাবে দিয়ে দেবেন।
- তারপরে জন্মস্থান ঠিকানা দিয়ে দেবেন।ঠিকানায় দেবেন যেমন:বিভাগ,জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন ও গ্রাম
- তারপরে পিতা মাতার নাম দেবেন এবং লিঙ্গ দিয়ে দেবেন তারপরে ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
পিতা-মাতার তথ্য প্রদান
সাধারণত পিতা-মাতার নাম এবং পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার এবং এনআইডি
কার্ডের নাম্বারও দিতে হতে পারে।তাই যা যা লাগবে সবকিছু ভালোভাবে দিয়ে ফর্মটি
পূরণ করবেন।তবে এই ফর্মে যা আছে তা নিচে দেওয়া হলো:
- পিতা ও মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে বড় হতের অক্ষরে।
- যদি পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন বা ডিজিটাল হয়ে থাকে তাহলে তার নম্বর।
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের নম্বর।
- নতুন করে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার সময় অবশ্যই পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল থাকা লাগবে।
- সবকিছু ভালোভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান
ফর্মের শুরুতেই কিন্তু স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করা হয়ে গেছে।এখন
শুধু আপনারা “কোনোটিই নয়” অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
এবারে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান করার জন্য আরেকটি ফর্ম আসবে।তারপরে সব
ভালোভাবে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা পূরণ করে নিয়ে আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক
করবেন।
তারপরে আবার আরেকটি ফর্ম আসবে সেখানে আপনার গ্রাম,মহল্লা,ডাকঘর,সড়ক নম্বর,থানা ও
জেলা এই গুলো ভালোভাবে পূরণ করে দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
আবেদনকারীর তথ্য প্রদান
এবার আরেকটি ফর্ম আসবে সেখানে আপনারা দেখে শুনে সব তথ্য ভালোভাবে দিয়ে দেবেন।যে
ব্যক্তি আবেদন করবে যার সবগুলো তথ্য খুব ভালোভাবে দিয়ে দেবেন তাহলেই দেখবেন যে
ফর্মটি পূরণ হয়ে যাবে।ফর্মটি পূরণ করা হয়ে গেলে তারপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক
করবেন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট
তারপরে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে যেগুলো দিতে হবে তাহলে এই আবেদনটি
একেবারে সাকসেসফুল হবে।তাই তো কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো:
- শিশুর বয়স ৫ বছরের কম হলে জমির বাড়ির কর রশিদ দিতে হবে।
- এই কাগজপত্র ডকুমেন্ট ফাইল দেওয়ার জন্য সংযোজন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- অবশ্যই মনে রাখবেন যে ফাইল দেবেন সেটি যেনো 100kb এর কম হয়।
- তারপরে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
আবেদন পত্র প্রিন্ট
উপরের সব কয়টি ধাপ আপনারা যদি ভালোভাবে পূরণ করে আসেন তাহলে তখন সবকিছু
সাকসেসফুল দেখাবে।তারপরে আবেদন প্রিন্ট করার অপশন চলে আসবে।তবে আবেদন পত্র
প্রিন্ট করা গুরুত্বপূর্ণ নয়।আবেদনপত্রের নাম্বারটি সংগ্রহ করাটা
গুরুত্বপূর্ণ।তারপরে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই নিজ নিজ ইউনিয়ন বা পৌরসভা থেকে
জন্ম নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন
সাধারণ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে অনেকগুলোই কাগজপত্র এবং অনেকগুলো কাজ করাটা
গুরুত্বপূর্ণ।তবে অনেক কাজ করতে হবে বলে আপনারা ভয় পাবেন না খুব সহজ কাজ এগুলো
আপনারা আপনাদের মোবাইল ফোন দিয়ে বা কম্পিউটার দিয়ে বাড়িতে বসে থেকেই করতে
পারবেন।কোন রকমের কোন সমস্যা হবে না।
তাইতো নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন তা নিচে খুব ভালোভাবে
জানিয়ে দেওয়া হলো:
আবেদনকারীর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে যেসব কাগজপত্র দরকার তা নিচে দেওয়া
হলো:
- টিকা কার্ড অথবা হাসপাতাল ছাড়পত্র
- বাড়ির ট্যাক্স রশিদ
- যার নামে আবেদন করা হবে তার পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
- পিতা-মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
আবেদনকারীর বয়স ৫ বছর থেকে ৪৬ বছর বয়স হলে যেইসব কাগজপত্র দরকার হবে তা নিচে
দেওয়া হলো:
- টিকা কার্ড অথবা হাসপাতাল ছাড়পত্র
- বাড়ির ট্যাক্স রশিদ
- যার নামে আবেদন করা হবে তার পিতা মাতার মোবাইল নম্বর
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
- পিতা-মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
- শিশু যদি বিদ্যালয়ে যায় তাহলে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর এবং প্রত্যয়ন পত্র
- যার নামে আবেদন তার ১ কপি ছবি
আবেদনকারীর বয়স ৫ থেকে বেশি হলে যেই সব কাগজপত্র দরকার হবে তা নিচে দেওয়া
হলো:
- টিকা কার্ড অথবা হাসপাতাল ছাড়পত্র
- শিশু যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় তাহলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট
- বাড়ির ট্যাক্স রশিদ
- পিতা-মাতার স্থায়ী ঠিকানা
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
- পিতা-মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি প্রয়োজন হয়)
জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজনীয়তা
সাধারণত শিশু জন্মগ্রহণ করার পরে কিন্তু এই বাংলাদেশের পরিচয় পত্র হিসেবে জন্ম
নিবন্ধন ধরা হয়ে থাকে।তাইতো জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।কারণ একটি
শিশুর বয়স যদি ১৮ বছর না হয় তাহলে কিন্তু সেই শিশুর এনআইডি কার্ড কোনভাবেই তৈরি
করা হয় না।তাইতো তখন সেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন দিয়ে যত রকমের কাজগুলো আছে সেগুলো
করা হয়।
সাধারণত একটি শিশু জন্মের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন তৈরি করাটা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ।জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজ।তাইতো আপনাদের
শিশু জন্মগ্রহণ করার পরে যত দ্রুত সম্ভব জন্ম নিবন্ধন গুলো ঠিকঠাক ভাবে আবেদন করে
অনলাইন কপি করে নেবেন।
শিশুর জন্ম নিবন্ধন নতুন করার আগে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন গুলো অনলাইন বা
ডিজিটাল করে নেবেন তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়ে
যাবে।তবে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার সব রকম প্রসেসিং আমরা এই আর্টিকালের মধ্যে খুব
ভালোভাবেই দিয়ে দিয়েছি।আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়লেই সব কিছু জানতে পারবেন
এবং দেখতে পারবেন।তাইতো জন্ম নিবন্ধনের কিছু প্রয়োজনীয়তা নিচে দেওয়া হলো:
- জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজ।
- যাদের এনআইডি কার্ড হয় নি তারা কিন্তু এই জন্ম নিবন্ধন কাজে লাগাতে পারেন।
- যারা ১৮ বছরের আগেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করবে তাদের কিন্তু এই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে করা হয়ে থাকে।
- ১৮ বছরের আগে যারা পাসপোর্ট ভিসা করবে তাদের কাজে লাগবে।
- যার জন্ম নিবন্ধন তার কিন্তু শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগতে পারে জন্ম নিবন্ধন।
- তাছাড়া ১৮ বছরের আগে যারা বিবাহ করবে তাদের কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে জন্ম নিবন্ধন কাজে লাগবে।
শেষ মন্তব্য | নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
সাধারণত যারা জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন না তারা অবশ্যই একবার হলেও
ভালোভাবে পড়ে নেওয়াটা উত্তম।কারণ জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা একটু কঠিন তবে সবকিছু
জেনে বুঝে দেখে করলে খুবই সহজ।তাই আপনারা আগে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন
করার সব রকম প্রসেসিং ভালো ভাবে দেখে জেনে তারপর আবেদন করবেন তাহলেই জন্ম নিবন্ধন
খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা কিছুটা হলে উপকৃত হবেন।তাই এই আর্টিকেলটির
পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য
এবং ভালো ভালো টিপস পেতে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং নিয়মিত ভিজিট
করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url