অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম জানুন

সাধারণত সবাই কিন্তু জন্ম নিবন্ধন নিজেই ফরম পূরণ করতে চাই তাইতো জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম জানানো হবে।অনেক মানুষ আছে যারা জানে না এই ফরম পূরণের কোনো রকম কাহিনী।তাইতো তাদের জন্য এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আবার জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে জানানো হবে।

সাধারণত জন্ম নিবন্ধন নতুন ভাবে তৈরি করতে হলে অবশ্যই আপনাদের নিয়ম জানতে হবে তাছাড়া কিন্তু আপনারা কোনভাবেই করতে পারবেন না সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন।তাইতো সেই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

সাধারণত সবাই কিন্তু চাই নিজে নিজে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবে এবং ফরম পূরণ করবে।কিন্তু তারা ঠিকঠাক নিয়ম না জানার কারণে বাড়িতে বসে থেকে একা একাই করতে পারে না।তার ফলে তখন তাদের কম্পিউটারের দোকানে বা যেই মানুষ জানে তার কাছে যেতে হয়।তাইতো জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম গুলো খুব ভালোভাবেই আর্টিকেলের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনারা শুধু একটু ধৈর্য সহকারে পড়লে সবকিছু জানতে পারবেন।তাইতো নিচে সব ডকুমেন্টগুলো ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হলো:

সেই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন তার পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা

সাধারণত সর্বপ্রথম আপনাদের https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে গুগলে লিখে সার্চ করবেন।তারপরে আপনার সামনে একটি পেজে চলে আসবে সেখানে মতামত জানাবেন।তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

তারপরে আপনার সামনে আরেকটি ফরম আসবে এখানে দিতে হবে আপনি যে ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করতে চান সেই সব রকম তথ্য।পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

সাধারণত নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে হলে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সর্বপ্রথম আগে অনলাইন বা ডিজিটাল করে রাখতে হবে।তারপরে পিতা মাতার তথ্য দিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

এখানে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান করতে হবে কিন্তু সর্বপ্রথমেই তাই স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা দিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে তাই আপনারা এখানে কোনোটিই নয় অপশনে ক্লিক করবেন।তারপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

এবার চলে আসবে স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা লেখার ফরম।এবার দেখবেন যে লাল করে চিহ্নিত করা আছে সেই স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় টিক চিহ্ন দিয়ে দেবেন।তারপরে ভালোভাবে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

এই ব্যক্তি আপনার হয়ে আবেদন করে দেবে বা আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে আপনার কিছু তথ্য নিচে দিয়ে দিতে হবে।এগুলো ছবিতে দেখে শুনে খুব ভালোভাবে দিয়ে দেবেন তাহলেই দেখবেন যে আবেদন করা এবং ফরম পূরণ করা দুটোই হয়ে যাবে।তারপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তারপরে প্রিন্ট করার অপশন আসবে জন্ম নিবন্ধন প্রিন্ট করা জরুরি নয়।জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি নিয়ে রাখবেন তাহলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই আপনারা ইউনিয়ন বা পৌরসভা থেকে আপনাদের নতুন জন্ম নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে

সাধারণত যেকোন সমস্যার কারণে আবেদন বাতিল করা হতে পারে।তাইতো জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ জন্ম নিবন্ধনে যদি কোন রকমের ভুল থাকে বা কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কিন্তু আপনারা সেই জন্ম নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন যেখানে যে আবেদন করেছেন সেখানে।

আবার আবেদন করা জন্ম নিবন্ধন যদি ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দেন তাহলে কিন্তু বাতিল হয়ে যাবে একা একাই।তাইতো জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

• যেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করেছিলেন সেখানে যেয়ে বাতিল করতে হবে।
• জন্ম নিবন্ধন বাতিল করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে Application ID জানা জরুরী।
• আবেদনটি কেন বাতিল করবেন তার একটি কারণ দেখিয়ে বাতিল করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।
• নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দিলে সেটি একা একাই বাতিল হয়ে যাবে।
• জন্ম নিবন্ধনে আপনি যদি কোন প্রকারের ভুল করে থাকেন তাহলে কিন্তু সেটি বাতিল করে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
• যেখানে আবেদন করেছিলেন সেইখানে যে বাতিল না করতে পারলে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে এরপরে আবার পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।

সাধারণত উপরের সব কয়টি নিয়ম-কানুন ভালোভাবে পূরন করে দেওয়ার পরে আবেদনটি যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনারা PDF ডাউনলোড করতে পারেন।তাইতো জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম PDF সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে।সব নিয়ম-কানুন মেনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার পরে PDF ডাউনলোড করে কিন্তু আপনারা যেকোন কাজ করতে পারবেন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে।

আপনার মোবাইলে আবেদন করার মাধ্যমে আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে PDF ডাউনলোড করে কম্পিউটার থেকে বের করতে পারবেন।

সাধারণত জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সময় কিন্তু আপনাদের খুব সতর্কভাবে আবেদন করতে হবে।কারণ জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে শিশু জন্মের পর থেকে তার পরিচয় পত্র।তবে ১৮ বছর আগে একটি শিশুর এনআইডি কার্ড হয় না তখন সেই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিভিন্ন রকম স্কুল প্রতিষ্ঠান কাজ করানো হয়ে থাকে।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলে উপকৃত হবেন।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।