সহজ নিয়মে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করুন

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকতেই পারে তাইতো অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে কিছু নিয়ম আছে যেগুলো জানলে আপনি খুব দ্রুত বেড়ে যাবেন।তার সাথে জানানো হবে আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে।

অনলাইনে-ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন

সাধারণত আইডি কার্ডে যদি কোন রকমের ভুল থাকে তাহলে তখন সেইগুলো আপনাদের অবশ্যই ঠিক করে নেওয়াটা জরুরী।কারণ ভুল কোন কিছু দিয়ে ব্যবহার করলে তখন পরে বিবাহ হতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডে যেকোন ভাবে ভুল থাকতে পারে বা ভুল হয়ে যেতে পারে।তাইতো অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নেবেন আপনারা।এই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসে থেকেই করতে পারবেন।সাধারণত অনলাইন এর মাধ্যমে আপনারা বাড়িতে বসে থেকে যদি করতে পারেন।
তাহলে অন্যকে টাকা দিয়ে করে নেওয়ার কি দরকার।তবে কিছু নিয়ম-কানুন আছে কিছু কাগজপত্র লাগবে এসব ঠিকঠাক ভাবে দিয়ে দিলেই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন হয়ে যাবে।তবে সংশোধন করার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

প্রথমে: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।সর্বপ্রথম আপনাকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে https://servie.nidw.gov.bd/nid-pub/ এতে যেতে হবে।তারপরে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।

দ্বিতীয়ত: এরপর আরেক ইন্টারফেস আসবে সেখানে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ তারপর এই কাপচারটি পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয়ত: জাতীয় পরিচয়পত্র সবরকম তথ্য এবং ঠিকানা যাচাই বাছাই করে ভালোভাবে লিখে দিতে হবে।আপনার নাম স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা সব ভালোভাবে লিখে দিবেন দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।


চতুর্থ: ৬সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড মোবাইল নাম্বারে আসবে।তারপরে সেই কোডটি ভালোভাবে দিয়ে ভেরিফিকেশন বাটনে ক্লিক করলেই দেখবেন যে পুরোপুরি ভেরিফিকেশন হয়ে আপনার একাউন্টটি দেখাবে।

পঞ্চম: ভোটার আইডি তথ্য সংশোধন করতে হবে।এখানে নিজের যত কিছু আছে সব কিছু কিন্তু পরিবর্তন করতে হবে।তবে এগুলোর কোথাও যদি ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সংশোধন করবেন।আর যদি কোন ভাবে ভুল না থাকে তাহলে কোন কিছু করার দরকার নেই।তবে কি কি থাকতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • আইডি কার্ড যার তার নাম
  • জন্ম তারিখ পরিবর্তন
  • জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
  • লিঙ্গ
  • জন্মস্থান
  • পিতা মাতার নাম সংশোধন(বাংলা)
  • পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার


ষষ্ঠ: এবার সব কিছু ভালোভাবে পরিবর্তন করেও দেওয়া হয়ে গেলে।আইডি কার্ড সংশোধন করতে ফি কত লাগবে সেটা দিতে হবে।তাই আইডি কার্ড সংশোধন করতে ২৩০ থেকে ৩৭৫ টাকা লাগবে সেটি আপনারা নগদে বিকাশে রকেটে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে কোন মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।



সপ্তম: প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে আপনার ছবি আপনার পাসপোর্ট নাম্বার আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স।যদি তাই এগুলো খুব ভালোভাবে দিয়ে দেবেন আপনার ছবি চাইতে পারে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্টও চাইতে পারে।এগুলো দেখে শুনে প্রয়োজনীও ডকুমেন্ট ভালো ভাবে আপলোড করে দেবেন।

অষ্টম: এবার সবকিছু সংশোধন হয়ে যাওয়ার পরে সংশোধিত আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন।তাহলে তখন দেখবেন যে আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারছেন কোন রকমের ভুল ছাড়াই।কারণ আপনি এটি সংশোধন করে তারপর ডাউনলোড করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

সাধারণত আইডি কার্ড সংশোধন করতে অনেক কিছুর দরকার হবে।তাইতো আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা সবকিছু আপনাদের ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।এই সব তথ্য গুলো লাগবে বা কাগজপত্র লাগবে সবকিছুই কিন্তু আপনাদের খুব ভালোভাবে জানানো হবে।আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে দেখে শুনে কাজ যাচাই-বাছাই করে নিয়ে তারপর সেগুলো দেখে দেখে বসাতে পারবেন।
কারণ আপনার সামনে সংশোধন করার সবকিছু নিয়ম-কানুন দেওয়া আছে সবকিছু দেখে জেনে।আপনি শুধু সেই কাগজপত্র গুলো দেখবেন সে অনুযায়ী লিখে দেবেন তাহলেই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন হয়ে যাবে।তবে আপনাদের ৪টি ক্যাটাগরিতে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে।যে ক্যাটাগরি গুলো দেওয়া হলো:
  • রক্তের গ্রুপ সংশোধন
  • যার আইডি কার্ড তার নাম সংশোধন
  • স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সংশোধন
  • জন্ম তারিখ সংশোধন
তবে এই ৪টি ক্যাটাগরিতে যখন আপনারা প্রবেশ করবেন তখন কিন্তু এর মধ্যে আরো অন্য রকমের নাম পিতা মাতার নাম বিভিন্ন রকম ঠিকানা সহ পরিবর্তন করতে হবে।তবে সেই গুলো যদি ভুল থাকে তাহলে আপনারা সংশোধন করবেন তাছাড়া কিন্তু কোনভাবেই সংশোধন করার দরকার নেই।তাইতো আরো কি কি সংশোধন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো:

যার আইডি কার্ড তার নাম: নিজের নাম সংশোধন করতে হলে কিছু কাগজপত্রের দরকার হবে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • অনলাইন জন্ম সনদপত্র
  • আপনার যদি সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের আইডি কার্ড।
পিতা মাতার নাম সংশোধন; পিতা মাতার নামের যা যা ভুল হয় তার নিচে দেওয়া হলো:
  • পিতা মাতার নামের বানান ভুল।
  • সম্পূর্ণ নামটি ভুল।
তবে এই ভুলগুলো হলে পিতা মাতার নাম সংশোধন করতে যেসব কাগজপত্রের দরকার হবে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • পাসপোর্ট
  • পিতা-মাতার আইডি কার্ড
  • ভাই বোনের আইডি কার্ড।
  • ভাই বোনের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
  • ভাই বোনের সার্টিফিকেট।
জন্ম তারিখ সংশোধন; জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে যে কাগজপত্রের দরকার হবে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • যে কোন স্কুল সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
  • পারিবারিক পত্রের সত্যায়িত কপি
  • বয়স ঠিকঠাক আছে তার প্রমাণপত্র
  • চাকরি করলে চাকরি কার্ড
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সংশোধন; ঠিকানা গুলো সংশোধন করতে সব কাগজপত্রের দরকার হবে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • বাসার বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানি বিলের কপি।
  • বাসার টেক্স ও রশিদ কপি
  • প্রত্যয়ন পত্র
  • অনলাইন বা ডিজিটাল সনদপত্র

এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

সাধারণত আপনারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড নামে করেছেন কিন্তু তা ভুল হয়ে গেছে তবে এটি সংশোধন করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ ভোটার আইডি কার্ডের যদি কোনভাবে ভুল তথ্য দেওয়া থাকে তাহলে কিন্তু সমস্যার মধ্যে আপনারাই পড়বেন।তাইতো এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারে।তবে এর আবার কিছু পর্যায়ক্রমে ভাগ আছে সেই অনুযায়ী টাকা লাগে তবে সেই পর্যায়ে গুলো নিচে দেওয়া হলো:
  • ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন এবং ঠিকানা পরিবর্তন সংশোধন করতে ২৩০ টাকা।
  • উভয় তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা।
  • দিয়ে মোট খরচ হবে ৩৭৫ টাকা।
তবে এই টাকা আপনারা যে কোন ভাবে দিতে পারেন রকেট বিকাশ নগদ মোবাইল ব্যাংকিং যেকোন ভাবে আপনারা সরকারি ওয়েবসাইটে পরিশোধ করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন

সাধারণত আপনি এক এলাকার ভোটার আইডি কার্ড করেছেন কিন্তু আপনি অন্য এলাকায় থাকেন।তাইতো ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।অন্য ঠিকানায় আপনার ভোট আছে কিন্তু আপনি অন্য ঠিকানায় বসবাস করেন তাইতো আপনাকে অবশ্যই ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে হবে।
কিন্তু ভোটার ঠিকানা অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় না।সেটি আপনাকে নির্বাচন অফিসে যেয়ে ভালোভাবে বলে করে নিতে হবে।তখন আপনাকে একটি আবেদন পত্র লিখতে বলবে তখন আপনাকে আবেদনটি লিখতে হবে দিয়ে আপনাকে সেটি ফরম দেবে তার নাম হচ্ছে ১৩নম্বর ফরম।

তবে সব কিছু এবং সব কাগজপত্র প্রমাণপত্র ঠিকঠাক থাকলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে

সাধারণত যেকোন জিনিসই আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন বা পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু না কিছুদিন সময় তো লাগবেই।তাইতো জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সংশোধন হতে সময় লাগে ৬০ দিন মতো।

তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সব সময় কাগজপত্র ভালোভাবে আপলোড করা হলে ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন।তবে যদি নির্বাচন চলে বা সংশোধন করার সময় যদি তথ্য যেকোন জটিলতা বা বাংলাদেশে কোন জটিলতা চলে তাহলে সেই ক্ষেত্রে সময় বেড়ে যেতে পারে।তবে আবার পুনরায় ভেরিফিকেশন করার জন্য ৪-৫ দিনে সময় বেড়ে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ দিন মতো সময় লাগবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হতে।

শেষ মন্তব্য | অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে হলে তার সব নিয়ম-কানুন এবং কাগজপত্র প্রমাণপত্র সব কিন্তু থাকা লাগবে।আবার কিছু ফ্রি আছে এগুলো কিন্তু বিকাশ নগদ রকেটে এর মাধ্যমে আপনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জমা দিতে পারবেন।কোন রকমের কোন সমস্যা হবে না সবকিছুতেই।তবে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড ভুল হয়ে আছে তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আর্টিকেলটি একবার হলেও পড়ে সংশোধন করে ফেলুন বাড়িতে বসে নিজেই।

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছু তাহলে উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url