দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং স্কেলিং খরচ জানুন

সাধারণত দাঁতের সমস্যা হলে স্কেলিং করাতে পারেন তাইতো দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনারা যদি ডেন্টাল ডাক্তারের কাছে যেয়ে দাঁতের স্কেলিং করাতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।তার সাথে জানানো হবে দাঁত স্কেলিং খরচ কত।

দাঁত-স্কেলিং-এর-উপকারিতা

সাধারণত দাঁতের স্কেলিং করতে হলে দাঁতের ভালো ডাক্তারের কাছে যেয়ে স্কেলিং করিয়ে নিতে হবে।তাহলে তখন দেখবেন যে দীর্ঘ সময়ে লাস্টিং করবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা

সাধারণত দাঁত স্কেলিং করা হচ্ছে খুবই ভালো একটি বিষয়।তাইতো দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ মানুষের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে এই দাঁত। দাঁত খাবার খাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।তাছাড়া দাঁতে যদি কোন প্রকারের ময়লা,পোকা বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় তাহলে তখন আপনাদের প্রতিদিন স্কেলিং করিয়ে নিতে হবে।
তবে এই স্কেলিং এর মানে অনেকেই জানে না আবার স্কেলিং করানোর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে।তাই আপনারা যেটি করাবেন সেটি কিন্তু খুবই সীমিত পরিমানে করাতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে করালে আবার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।তাইতো দাঁতে স্কেলিং করার কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
  • সাধারণত দাঁতে যদি স্কেলিং করানো হয় তাহলে দাঁতের ফাঁকে খাবার জমা আবার দাঁতের ময়লা জমা থেকে দাঁত মুক্তি পাই।
  • দাঁতের স্কেলিং করানোর মাধ্যমে মুখ গহ্বর থেকে রোগমুক্ত হয়।
  • দাঁতে স্কেলিং করানোর মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধ এবং দাঁতের বিভিন্ন প্রকারের দাগ দূর হয়।
  • সাধারণত যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দাঁতে স্কেলিং করানো।
  • সাধারণত দাঁতে স্কেলিং করা হচ্ছে একটি ভালো বিষয় একেবারে ব্যথা মুক্ত চিকিৎসা।
  • তবে দাঁত স্কেলিং করানোর পরে অবশ্যই আপনাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তাহলে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
  • তাছাড়া আপনারা যদি দাঁত স্কেলিং করে অনিয়ম করে ঠান্ডা খাবার এবং শক্ত খাবার বেশি করে খান তাহলে তখন দাঁতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দাঁত স্কেলিং খরচ কত

সাধারণত দাঁত যদি আপনারা স্কেলিং করতে চান তাহলে করতে পারেন।কারণ দাঁত স্কেলিং হচ্ছে একটি ব্যাথা মুক্ত চিকিৎসা যেটি দাঁতকে খুবই সুরক্ষিত এবং ভালো রাখবে।তাইতো দাঁত স্কেলিং খরচ কত তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত দাঁত স্কেলিং খরচ হচ্ছে ১৫০০ টাকা।তাইতো আপনাদের দাঁত স্কেলিং করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাহলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।তাছাড়া দাঁত সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন স্কেলিং করে নেওয়া উচিত।কারণ খাবার খাওয়ার সময় দাঁতে কিন্তু অনেক রকমের ময়লা লেগে থাকে পুরোপুরি ব্রাশ করে কিন্তু সেই ময়লাগুলো উঠে না পরবর্তীতে দাঁতের বিভিন্ন রোগ মুখের দুর্গন্ধ এবং দাঁতে পোকা লাগার মত অবস্থা সৃষ্টি করে।

তাই দাঁতে স্কেলিং করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনারা দেখে শুনে জেনে ভালো ডেন্টাল চিকিৎসক এর কাছ থেকে দাঁত স্কেলিং করিয়ে নিবেন।

দাঁত স্কেলিং এর অপকারিতা

সাধারণত দাঁত স্কেলিং করা উপকার তেমন কিন্তু এর ক্ষতির দিকও আছে।তাইতো দাঁত স্কেলিং এর অপকারিতা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত দাঁত যখন স্কেলিং করে দাঁতের ময়লা আবর্জনা আবার দুর্গন্ধ দূর করা হয় তখন কিন্তু দেখবেন যে খুব ভালো তাদের উপকার হয়।তবে আবার কিছু পরিমাণে ক্ষতিও হতে পারে সেই অবশ্যই আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।
তাহলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।তাছাড়া আপনারা যদি একাধারে দাঁতের স্কেলিং করিয়ে নিতে থাকেন তাহলে কিন্তু আবার বিশাল সমস্যা দাঁতে দেখা দিতে পারে।এই কারণে যেটাই করবেন সেটা সীমিত পরিমাণে করবেন কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে করবেন না।তাইতো স্কেলিং করার কিছু ক্ষতির দিকে নিচে দেওয়া হলো:
  • অতিরিক্ত পরিমাণে স্কেলিং করালে তাদের এনামেলের সমস্যা হতে পারে।
  • সাধারণত আপনারা আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যথা মুক্তভাবে স্কেলিং করাতে পারেন দাঁতের তাহলে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা হবে না।
  • অতিরিক্ত স্কেলিং করানোর মাধ্যমে দাঁত আলগা হয়ে যেতে পারে।
  • সাধারণত স্কেলিং করানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা শক্ত কোন খাবার খাওয়া যাবে না তাহলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

দাঁত স্কেলিং কিভাবে করে

সাধারণত স্কেলিং করা হচ্ছে এক প্রকার আধুনিক পদ্ধতিতে দাঁত পরিষ্কার করা হয়।তবে অতিরিক্ত স্কেলিং করানোর মাধ্যমে দাঁতের অবস্থা খারাপ হতে পারে।তাইতো দাঁত স্কেলিং কিভাবে করে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত আল্ট্রাসনিক বা লেজার মেশিনের সাহায্যে দাঁত স্কেলিং করা হয়।

তবে আপনারা যদি এই আধুনিক পদ্ধতিতে স্কেলিং করিয়ে নেন তাহলে কিন্তু কোনভাবেই দাঁতে ব্যথা পাবেন না বা কোন সমস্যা হবে না।দিয়ে পরবর্তীতে আপনাদের নিয়ম করে প্রতিদিন ব্রাশ করতে হবে এবং মাউথ ওয়াস ব্যবহার করতে হবে তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।কারণ আপনারা যেভাবে এই স্কেলিং করবেন তারপরে কিন্তু দাঁত আলগা হয়ে যেতে পারে।

এই কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেমন খাবার খাবেন কেমন টুথপেস্ট মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন তা জেনে নেবে।

দাঁত ওয়াশ করার খরচ

সাধারণত যাদের দাঁত একেবারে ময়লাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে তারা মাউথ ওয়াশ করিয়ে নেবেন।তাইতো দাঁত ওয়াশ করার খরচ কত তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ দাঁত যদি একবার আপনারা ওয়াশ করেন তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।কারণ দাঁত ওয়াশ করলে দাঁত একবারে ঝকঝকে চকচকে হয়ে যাবে।

যারা নিয়মিত ধুমপান করেন বা পান খেয়ে থাকেন তারা অবশ্যই দাঁত ওয়াশ করে নেবেন।তাইতো দাঁত ওয়াশ খরচ হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।কম খরচেই আপনারা দাঁত ওয়াশ করে নিতে পারবেন তাই আপনারা দাঁত ওয়াশ করে নেবেন তাহলে তখন পরবর্তীতে আর কোন রকমে সমস্যা হবে না।একবার দাঁত ওয়াশ করে নিয়ে পরবর্তীতে টুথপেস্ট দিয়ে বা মাউথ ওয়াশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করবেন।

কতদিন পর পর দাঁত স্কেলিং করতে হয়

সাধারণত আপনারা যদি দাঁত স্কেলিং করতে চান তাহলে করতে পারেন।পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না তেমন।তাইতো কতদিন পরপর দাঁত স্কেলিং করতে হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত দাঁত স্কেলিং করা হয় সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন।তবে আপনারা যদি বেশি পরিমাণে দাঁত স্কেলিং করিয়ে নেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
এই কারণে কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে দাঁতের স্কেলিং করানো যাবে না কারণ অতিরিক্ত দাঁতের স্কেলিং করানো দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকর।তাই কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে স্কেলিং করাবেন না হালকা পরিমাণে স্কেলিং করাবেন তাহলে তখন দেখবেন যে কোন রকমের সমস্যা হবে না।

দাঁত স্কেলিং করার পর করণীয়

দাঁত স্কেলিং করা হয়ে গেলে দাঁতের কিছু কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।তাইতো দাঁত স্কেলিং করার পর করণীয় কি তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত দাঁতের একপ্রকার দন্তপাথুরি থাকে।এই দন্ত পাথুরি যখন স্কেলিং করানোর মাধ্যমে দাঁত থেকে উঠে যায় তখন কিন্তু দাঁতের কিছু দিন শিরশির অনুভব হতে পারে।

তবে আধুনিক পদ্ধতিতে আপনারা যদি স্কেলিং করিয়ে নেন তাহলে কিন্তু দাঁতের ব্যথা কোনভাবেই হবে না কিন্তু হালকাভাবে শিরশির করবে।তবে এই হালকা ভাবে শিরশির করবে তা আপনারা কোনভাবেই আতঙ্কিত হবেন না।কারণ দাঁত স্কেলিং করানোর পরে দাঁত হালকাভাবে শিরশির করে।তাছাড়া আপনারা কিন্তু কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণে দাঁত স্কেলিং করাবেন না।

সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন দাঁত স্কেলিং করানো খুবই ভালো।তাইতো স্কেলিং করানোর পরে কি কি করনীয় করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • স্কেলিং করানোর পরে প্রতিদিন টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে ব্যবহার করবেন।
  • স্কেলিং করানোর পরে শক্ত খাবার এবং ঠান্ডা পানি খাবার কোনভাবেই খাবেন না এক সপ্তাহ।
  • স্কেলিং করানোর পরে প্রতিদিন একবার করে গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করবেন।
  • স্কেলিং করানোর পরে টক জাতীয় এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন।

দাঁত স্কেলিং বিষয়ক সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ দাঁত স্কেলিং কেন করা হয়?
উত্তরঃ দাঁতের কালো দাগ এবং দাঁত পরিষ্কার করতে দাঁত স্কেলিং করা হয়।

প্রশ্নঃ দাঁত স্কেলিং করলে কি ব্যথা হয়?
উত্তরঃ দাঁত স্কেলিং করলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়।তবে আধুনিক পদ্ধতিতে দাঁত স্কেলিং করলে দাঁতের কোনো ব্যথা হয় না।

প্রশ্নঃ স্কেলিং করলে কি দাঁত সাদা হয়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, স্কেলিং করলে দাঁত সাদা হয়।

প্রশ্নঃ স্কেলিং করলে কি রক্তপাত হয়?
উত্তরঃ স্কেলিং করার ফলে হালকা ভাবে রক্তপাত হতে পারে।

প্রশ্নঃ কতদিন পর পর দাঁত স্কেলিং করতে হয়?
উত্তরঃ সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন স্কেলিং করা ভালো।

শেষ মন্তব্য | দাঁত স্কেলিং এর উপকারিতা

সাধারণত আপনারা যদি দাঁতের স্কেলিং করেন তাহলে অবশ্যই দেখে শুনে স্কেলিং করাবেন।কারণ দাঁত হচ্ছে মানুষের খাবার খাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।এই দাঁত যদি কোন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় বা কোন দাঁতের ক্ষতি হয় তাহলে পরবর্তীতে আপনারাই সমস্যার মধ্যে পড়বেন।তবে দাঁত স্কেলিং করানোর আগে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি একবার হলেও পড়বেন।

কারণ দাঁতে স্কেলিং করার সব রকম খরচ এবং কিভাবে করবেন এবং স্কেলিং করানোর পর কি করবেন তা সব জানিয়ে দেওয়া আছে।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url