চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম ৬টি জানুন
সাধারণত চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ তাইতো চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।চোখ শুধু মানুষের অমূল্য সম্পদ নয় যত প্রাণীকুল আছে সবারই কিন্তু চোখ অমূল্য সম্পদ।তাইতো চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় খুব ভালোভাবে জানানো হবে।
সাধারণত চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ হওয়ার কারণে চোখ ভালো রাখতে হলে কিছু কিছু খাবার আছে কিছু ব্যায়াম আছে কিছু কারণ আছে।সেগুলো মানলেই দেখবেন যে চোখ ভালো থাকবে।
পোস্টসূচিপত্রঃ
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
সাধারণত চোখেরও অনেক রকমের ব্যায়াম আছে।তাইতো চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ চোখ ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন রকম নিয়ম-কানুন এবং বিভিন্ন রকম ব্যায়ামগুলো করা উচিত।তাছাড়া আপনাদের চোখের দৃষ্টি কমে যেতে পারে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে হাতের চামড়া উঠে
তাইতো অবশ্যই সেই সব দিক দেখে ব্যায়াম করতে হবে তাহলে তখন পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।মানুষের অমূল্য সম্পদ হওয়ার কারণে চোখ ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আপনাদের চোখের ব্যায়াম করতে হবে চোখ ভালো রাখার খাবারগুলো খেতে হবে।তাইতো নিচে চোখের ব্যায়াম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হলো:
হাতের তালুর ব্যবহারঃ দুই হাত এক সঙ্গে করে ঘষতে থাকবেন তারপরে দেখবেন যে হালকা উষ্ণ হয়ে উঠবে।তারপরে চোখের উপরে হালকা ভাবে দুই হাত চাপ দিয়ে রাখবেন দুই চোখে জোরে চাপ দেবেন না।উষ্ণ দুই হাত দুই চোখে হালকা ভাবে চাপ দিয়ে রাখবেন।এভাবেই প্রতিদিন ২ থেকে ৩বার করবেন তাহলে আপনাদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়ে যাবে।
ঘন ঘন চোখ মিটমিট করা/চোখের পাতা ফেলাঃ সাধারণত চোখের পাতা ঘন ঘন ফেলা এটি কিন্তু এক প্রকার ব্যায়াম চোখের।তাইতো কোন দিকে একটানা তাকিয়ে থাকবেন না।টিভি,কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন দেখার সময় অবশ্যই ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলবেন তাহলে চোখের ব্যায়াম হয়ে যাবে।তাছাড়া চোখের ব্যায়াম হয়ে গেলে চোখের জ্যোতি এমনিতেই বেড়ে যাবে।
চোখ ঘোরানোঃ সাধারণত ২ চোখ পুরোপুরি আপনি পাশাপাশি ঘুরাতে পারেন এটাও কিন্তু চোখের এক প্রকার ব্যায়াম এর মধ্যে পড়ে।চোখ ঘোরানো ব্যায়ামটি করলে চোখের পেশীগুলো সতেজ থাকে ভালো থাকে এবং তার ফলে চোখের জ্যোতিও বেড়ে যায়।
দূরের কোন বস্তুর ওপর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকাঃ সাধারণত ৫ থেকে ১০ মিটার দূরে কোন কিছু আছে বা কোন কিছুর দিকে একটানা তাকিয়ে থাকবেন।সেই তাকিয়ে থাকার মাধ্যমে কিন্তু আপনার চোখের দৃষ্টি আরো প্রখর হবে এবং আপনার চোখের জ্যোতিও বেড়ে যাবে।
চোখ রোল ব্যায়ামঃ প্রথমে চোখ একটু কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন তারপরে চোখ খুলে।শরীর ও মাথা পুরোপুরি সোজা করে রেখে ডানে-বামে কিছুক্ষণ তাকাবেন এবং একইভাবে উপরে নিচে কিছুক্ষণ তাকাবেন।
পেন্সিল পুশ-আপ ব্যায়ামঃ সর্বপ্রথম আপনাকে একটি পেন্সিল নিতে হবে তারপরে মেঝেতে ভালোভাবে বসতে হবে।সে থেকে আপনার হাত যত দূরে যাবে তত দূরে পেন্সিলটি রাখবেন।তারপরে ধীরে ধীরে পেন্সিলটি এগিয়ে নিয়ে আসুন তারপর আপনি পেন্সিলের দ্বিগুন চিত্র যখন দেখতে পাবেন।তারপরে পেন্সিলটিকে আগের অবস্থানে রেখে দিন।এই অনুশীলনটি করবেন দিনে ১ থেকে ২বার।এই ব্যায়ামটি করলে চোখের দৃষ্টি পাওয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
চোখের ব্যায়াম করার সুবিধা:
সাধারণত চোখের ব্যায়াম করার কিছু না কিছু তো সুবিধা আছে অবশ্যই তাইতো আপনাদের সবাইকে এই চোখের ব্যায়াম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ হওয়ার কারণে এসব যদি একবার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনারা প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়বেন।তাইতো চোখের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই চোখের ব্যায়াম করাটা উচিত।
- চোখের ব্যায়াম করলে চোখের পেশীগুলো শক্তিশালী করে এবং চোখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ভালো হয়।
- চোখ কারো কারো ঝাপসা হয়ে যেতে পারে সেই সমস্যা দূর করে।
- চোখের ফোকাস এবং দৃষ্টি বাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাদের ব্যায়াম করাটা জরুরী।
- তবে অবশ্যই অতিরিক্ত আলো থেকে এবং রোদ থেকে চোখকে দূরে রাখবেন কারণ অতিরিক্ত আলো চোখের কোষ বা পেশী গুলোকে হ্রাস করে।
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়
সাধারণত চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করতে হলে কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হবে।তাইতো চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনারা চোখের সমস্যা নিয়ে যেখানেই যাবেন সেখানে কিন্তু একটি বোর্ডের মধ্যে ৬ মিটার দূরত্ব দিয়ে সেখানে বিভিন্ন রকম লেখা দেওয়া থাকবে।
সেই লেখাগুলো দেখে যদি আপনি চিনতে পারেন বা দেখতে পান তাহলে তখন বুঝতে পারা যাবে যে আপনার দৃষ্টিশক্তি সবল আছে।তাছাড়া আপনি যদি কোনভাবেই বড় লেখাগুলোও দেখতে পারেন এবং ছোট লেখাকে দেখতে না পান তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি ঠিক নেই।আবার যদি আপনি ছোট লেখাগুলো দেখতে পান বড় লেখা দেখতে না পারেন তাহলেও কিন্তু আপনার চোখের দৃষ্টি ঠিক নেই।
তখন সেই বিষয় অনুযায়ী চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার জন্য আপনাকে চোখের কিছু ব্যায়াম দেওয়া হবে কিছু খাবার দেওয়া হবে।তাছাড়া সর্বশেষ আপনাকে চোখের দৃষ্টি ঠিক করার জন্য একটি চশমা দেওয়া হবে তখন কিন্তু আপনার দৃষ্টি ঠিক হয়ে যাবে চশমা দেওয়ার মাধ্যমে।তবে চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
- চোখের ব্যায়াম করতে হবে।
- ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
- মাছের তেল এবং ছোট মাছ প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
- অতিরিক্ত আলো এবং সূর্য রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে হবে।
- অতিরিক্ত রাত জাগা কোন ভাবেই যাবে না।
- সময় মত ঘুমাতে হবে সময় মত উঠতে হবে।
- অতিরিক্ত টিভি দেখা কম্পিউটার মোবাইল চালানো কোনোভাবেই যাবে না।
- সর্বশেষ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
চোখের সমস্যা দূর করার উপায়
সাধারণত চোখ হচ্ছে সব প্রাণীকুলেরই খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।তাই চোখ যদি কারো কোন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেই চোখ আর কোনভাবেই ফেরত পাবেন না।তাইতো অবশ্যই চোখ ভালো থাকতে এবং চোখ ভালো রাখতে যেই কাজগুলো করতে হবে তা অবশ্যই করা উচিত।তাইতো চোখের সমস্যা দূর করার উপায় আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে চোখের সমস্যা দূর করতে হলে কিছু কিছু উপায় আছে কিছু খাবার আছে সেগুলো অবশ্যই আপনাদের মেনে চলাটা উচিত।কারণ চোখের কিছু কিছু সমস্যা আছে কিছু রোগ আছে তবে আপনি সেই খাবারগুলো এবং সেই ব্যায়ামগুলো যদি করেন তাহলে কিন্তু কোনভাবেই হবে না।
কোন ব্যক্তির আবার বিভিন্ন রকম রোগের কারণে চোখের সমস্যা হয়ে যেতে পারে এটি হলে অবশ্যই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন এবং চিকিৎসা করবেন।কারণ চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ হওয়ার কারণে এই চোখের কিছু হলেই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াটা এবং চোখের ড্রপ দেওয়াটা উত্তম।তাইতো চোখের সমস্যা দূর করার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে প্রতিদিন।
- প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খেতে পারেন কারণ শসা হচ্ছে চোখের জন্য খুবই উপকারী।
- তাছাড়া প্রতিদিন গ্রিন টি খেতে পারেন গ্রিন টি তে যে উপাদান রয়েছে তা চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- টক দই খেতে পারেন টক দইয়ে রয়েছে ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন-ডি যা চোখের জন্য খুবই উপকারী।
- তাছাড়া চোখের ব্যায়াম করতে পারেন।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ কাপ পানির মধ্যে ১ চামচ খাঁটি মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তাতে তোলা ভিজিয়ে চোখের উপরে দিতে পারেন চোখ ভালো থাকবে।
- সাধারণত নরম কোন কাপড় দিয়ে কাপড়টি ভালোভাবে গরম করে নিয়ে চোখে হালকা করে গরম ভাপ দিতে পারেন।
- অতিরিক্ত টিভি দেখা মোবাইল ফোন কম্পিউটার চালানো থেকে বিরত থাকুন।
- নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত থাকুন।
- সর্বশেষ যদি চোখের কোন সমস্যা বা চোখের কোন রোগ হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
কি খেলে চোখের সমস্যা দূর হয়
সাধারণত চোখ ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে।তাইতো কি খেলে চোখের সমস্যা দূর হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণ চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ তাই চোখ ভালো রাখতে হলে যেই খাবারগুলো খাওয়া উচিত তা অবশ্যই আপনাদের খেতে হবে।
তাই সব বিষয়ক সাবধান থাকতে হলে অবশ্যই আপনাদের ভিটামিন জাতীয় খাবার গুলো খাওয়াটা উত্তম।চোখ ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাদের সেই খাবার গুলো খেয়ে চোখ ভালো রাখতে হবে।তাছাড়া পরবর্তীতে যখন চোখের সমস্যা হয়ে যাবে তখন কিন্তু সেই খাবারগুলো খেয়ে আর কোনভাবেই কাজে আসবে না।
তাইতো অবশ্যই ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন প্রকার খাবারগুলো খাবেন তাহলে দেখবেন যে পরবর্তীতে আর কোন ভাবেই চোখের সমস্যা হবে না।তাছাড়া ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে যদিও চোখের সমস্যা হয় বা চোখের কোন প্রকারের রোগ হয় তাহলে তা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।তবে কি সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে হবে চোখের জন্য তা নিচে দেওয়া হলো:
- ভিটামিন-এ
- ভিটামিন-বি
- ভিটামিন-সি
- ভিটামিন-ডি
- ভিটামিন-ই
- Lutien/zeaxanthin
- ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড
তবে এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে যেই খাবারগুলো এর অন্তর্ভুক্ত তা সবগুলো নিচে খুব ভালোভাবে দেওয়া হলো:
ভিটামিন-এঃ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেতে হবে তাহলে রাতকানা রোগ একেবারেই দূর হয়ে যাবে।তাছাড়া চোখের সমস্যা হবে না একেবারে দূর হয়ে যাবে।তাই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো হলো:
- গাজর
- ব্রকলি
- পালং শাক
- লাল শাক
- হলুদ শাকসবজি
- মরিচ
- কুমড়া
- ডিম
- বিভিন্ন মাছের তেল
ভিটামিন-বিঃ ভিটামিন-বি এর সঙ্গে ভিটামিনের আরো উৎস আছে।ভিটামিন বি১,বি২,বি৩,বি৬ এবং বি১২।তাই ভিটামিনের এই উৎস সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেলে চোখের বিভিন্ন রকম পেশী ভালো থাকে এবং চোখের কর্নিয়া রেটিনা এগুলো ভালো থাকে।তাইতো ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- সবুজ শাকসবজি
- দুধ
- দই
- সূর্যমুখী ফুলের বীজ
- মুরগির মাংস
- টার্কির মাংস
- স্যামন মাছ
- মুরগির এবং টার্কির লিভার
- অন্যান্য অংশের মাংস
- শুকরের মাংস
ভিটামিন-সিঃ সাধারণত ভিটামিন-সি হচ্ছে চোখের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার।তাইতো প্রতিদিন ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাইতো ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার গুলো হলো:
- কলা
- আঙ্গুর
- আম
- আনারস
- পেঁপে
- তরমুজ
- স্ট্রবেরি
- ব্লুবেরি
- রাস্পবেরি
- সবুজ শাকসবজি
- লালমরিচ
- ব্রকলি
- ফুলকপি
- পালং শাক
- মিষ্টি আলু
- শালগম
- বাঁধাকপি
- টমেটো
ভিটামিন-ডিঃ সাধারণত ভিটামিন-ডি হচ্ছে চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।চোখের যত রকমের বড় বড় সমস্যা চোখের ক্ষয় চোখের ছানি এগুলো দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন-ডি।তাইতো ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলো নিচে দেওয়া হলো:
- ডিমের কুসুম
- গরুর দুধ
- সয়া দুধ
- স্যামন মাছ
- কড লিভার অয়েল
ভিটামিন-ইঃ ভিটামিন-ই হচ্ছে চোখের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার।যা প্রতিনিয়ত খেলে চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।তাই ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- অ্যাভোকাডো
- বিভিন্ন শাক
- বাদাম
- সূর্যমুখী বীজ
- সয়াবিন বীজ/তেল
Lutien/zeaxanthinঃ এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেলে চোখের প্রচুর পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়।আবার চোখের রেটিনা ভালো থাকে এবং রেটিনার পাওয়ার বেড়ে যায়।তাই Lutien/zeaxanthin সমৃদ্ধ খাবার গুলো হলো:
- গাজর
- বিভিন্ন শাক
- ব্রকলি
- পেস্তা
- কুমড়া
- ব্রাসেল স্প্রাউট
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ সাধারণত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের জন্য প্রচুর পরিমাণে উপকারী।ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেলে চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পায় এবং চোখ শুষ্ক হওয়া চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় খুব দ্রুতই।তাইতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গুলো নিচে দেওয়া হলো:
- বিভিন্ন রকম মাছ
- তিসি বীজ
- চিয়া বীজ
- সয়া
- বাদাম
- জলপাই তেল
- গোটা শস্য
- বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ সুষম খাবার
চোখের সমস্যা দূর করার দোয়া
সাধারণত চোখের সমস্যা দূর করতে হলে অবশ্যই আপনাদের কিছু কিছু দোয়া আছে সেগুলো পালন করতে হবে।তাইতো চোখের সমস্যা দূর করার দোয়া আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত সেই দোয়াগুলো পড়ে আপনারা যদি ৩ বেলা চোখে ফু দিতে পারেন তাহলে আপনাদের চোখ ভালো থাকবে।
আরো পড়ুনঃ রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
কারণ চোখের কিন্তু অনেক রকমের সমস্যা হয় বিভিন্ন রকমের রোগ হয় সেই সব সমস্যাগুলো রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের দোয়া পড়তে হবে।তবে এই দোয়াগুলো আপনারা যদি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরে দোয়াগুলো পাঠ করে চোখে ফু দিতে পারেন তাহলে নির্দ্বিধায় আপনাদের চোখ ভালো থাকবে এবং দৃষ্টিশক্তি কোনদিন হারাবে না।চোখের সমস্যা দূর করার কিছু দোয়া নিচে দেওয়া হলো:
চোখ ভালো রাখার দোয়া:
উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা অনতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো অসুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন এবং আমার দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখুন। আপনি ছাড়া কোন মালিকা ও উপাস্য নেই।
চোখের অসুস্থতা ভালো করার দোয়া:
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন সাররি লিসারি,ওয়া মিন সাররি ক্বালবি, ওয়া মিন সাররি মানিয়্যি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার কানের উপকারিতা চোখের অপকারিতা জবানের অপকারিতা অন্তরের অপকারিতা এবং বীর্যেরও অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।
দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আমল:
উচ্চারণঃ ফাকাশাফনা আংকা গিত্বাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদিদ।
অর্থঃ তোমার সামনে থেকে পর্দা উন্মোচন করেছি অতএব আজ থেকে তোমার দৃষ্টিশক্তি প্রখর।
তাইতো আপনারা যদি মুসলিম হন তাহলে অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরে এই তিনটি দোয়ার যেকোন একটি পড়ে।দুই হাতের দুই বৃদ্ধ আঙ্গুলে ফু দিয়ে চোখে দিয়ে দেবেন।এভাবে করে দেবেন তাহলেই আল্লাহর রহমতে আপনার দৃষ্টি শক্তি ভালো হয়ে যাবে এবং চোখের কোন সমস্যা থাকবে না।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ
সাধারণত চোখ ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আপনাদের কিছু খাবার আছে কিছু ঔষধ আছে সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে চোখ ভালো থাকবে।সাধারণত চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।চোখের দৃষ্টি শক্তি বা জ্যোতি বাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন রকম খাবার আছে যেগুলো খেতে হবে আবার বিভিন্ন রকম ঔষধ আছে সেগুলো খেতে হবে।
তবে আপনারা যদি প্রাকৃতিক ভাবে খাবারগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে খুবই ভালো কিন্তু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আস্তে আস্তে চোখের সমস্যা দূর হবে।তাই আপনারা যদি খুব দ্রুত সময়ে চোখের যতরকমের সমস্যা দূর করতে বা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন রকম ঔষধ গুলো খেতে হবে।তাই যে ঔষধ গুলো খাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
- ভিটামিন-এ ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল
- ভিটামিন-ই/ই ক্যাপ
- ভিটামিন-সি ট্যাবলেট
- ভিটামিন-বি৬ ট্যাবলেট
- রিবোফ্ল্যাভিন
চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার লক্ষণ
সাধারণত চোখের দৃষ্টি শক্তি বা চোখের পাওয়ার যদি কমে যায় তাহলে কিন্তু আপনারা বুঝতেই পারবেন।তাইতো চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে কারো কারো চোখের পাওয়ার কমে গেলেও কিন্তু তারা নাও বুঝতে পারে বাহ্যিক পরিবর্তন এর সমস্যায় ভুগতে পারে।
তাইতো চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার আগে বা কমে যাওয়ার সময় কিছু কিছু লক্ষণ আপনারা দেখতে পাবেন তখন এগুলো দেখে আপনাদের নির্বাচন করতে হবে যে চোখের পাওয়ার কমে গেছে।চোখের পাওয়ার কমে গেলে তখন আপনাদের বিভিন্ন রকম খাবার আছে বিভিন্ন রকম ব্যায়াম আছে সেগুলো করার মাধ্যমে চোখের পাওয়ার ঠিকঠাক করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন সি এর ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে অনেক মানুষ বুঝতেই পারে না যে তার চোখের পাওয়ার কমে গেছে সেই রকম লক্ষণ বুঝতে না পারার কারণে তাদের চোখ পুরোপুরি অচল হয়ে যায়।তাইতো চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
- কোন দূরের বস্তু বা চোখে প্রখর রোদ লাগলে চোখ ছোট করে দেখা।
- কোন কিছুর দিকে একটু বেশি তাকিয়ে থাকলে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করা।
- চোখে প্রতিনিয়ত ঝাপসা দেখা।
- রাতে বা অন্ধকারের মধ্যে কম দেখা।
- অনেকক্ষণ যাবত কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ক্লান্ত মনে হওয়া।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে চোখ ব্যথা করা।
- চোখ চুলকানো বা চোখ জ্বালাপোড়া করা।
চোখ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ
প্রশ্নঃ চোখের সমস্যা হলে কি কি খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ভিটামিনের সমৃদ্ধ খাবার,বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার,লুটেইন খাবার, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ, ওমেগা-৩ যে কোন মাছের তেল জাতীয় খাবার।
প্রশ্নঃ কি খেলে চোখের ঝাপসা দূর হয়?
উত্তরঃ ওমেগা-৩ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার এবং Lutein/Zeaxanthin এটা সমৃদ্ধ খাবার।
প্রশ্নঃ চোখ শক্তিশালী করার উপায়?
উত্তরঃ নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করার মাধ্যমে চোখ শক্তিশালী হবে।
প্রশ্নঃ কলা কি চোখের জন্য ভালো?
উত্তরঃ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন-এ তাই কলা চোখের স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ভালো তাই কলা খাওয়া জরুরী।
প্রশ্নঃ লেবু কি চোখের জন্য ভালো?
উত্তরঃ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি যা চোখের বিভিন্ন রোগ এবং চোখের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে তাই লেবু চোখের জন্য খুবই ভালো।
প্রশ্নঃ চোখ ফ্রেশ করার উপায়?
উত্তরঃ চোখ ফ্রেশ করতে ঘন ঘন পলক ফেলুন।
শেষ মন্তব্য | চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
সাধারণত চোখ ভালো রাখতে হলে বা চোখের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের চোখের ব্যায়াম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাছাড়া এই আর্টিকেল মধ্যে চোখ ভালো রাখার চোখ ভালো রাখার খাবার এবং চোখ ভালো রাখার ঔষধ সব রকম নিয়ম-কানুন টিপস খুব ভালোভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা ধৈর্য সহকারে পড়ে জেনে নেবেন।এই আর্টিকেলের মধ্যে সব কিন্তু খুব ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে চোখ সম্পর্কে।
সর্বশেষ চোখ হচ্ছে মানুষের অমূল্য সম্পদ তাই চোখের যে কোনোভাবে আপনারা যত্ন করবেন।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url