আপডেট ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে জানুন
সাধারণত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু বিরাজ করে তাইতো ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে আপনাদের খুব
ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে এই ছয় ঋতুর নাম আবার ইংরেজিতে সব মানুষ কিন্তু
জানে না।তার সাথে ছয় ঋতুর নাম বাংলায় জানানো হবে।
সাধারণত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু বিরাজ করার কারণে আপনারা যদি ৬টি ঋতু সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে খুবই ভালোভাবে জানতে পারবেন।তবে আপনাদের এই আর্টিকেলটি
সম্পন্নভাবে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে
সাধারণত আপনারা যদি ছয় ঋতুর নামগুলো ইংরেজিতে জানতে চান তাহলে কিন্তু অবশ্যই
জানতে পারবেন।তাই ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হবে।সাধারণত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু বিরাজ করার কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন কিন্তু
ছয় রকম ভাবে হয়।বাংলাদেশের এক একটি ঋতুর কিন্তু অনেক রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বানান বাংলা জানুন
তবে আপনারা যদি ঋতু গুলোর নাম ইংরেজিতে জানতে না পারেন তাহলে কিন্তু অবশ্যই
আপনাদের এগুলো জেনে নেওয়াটা উচিত।তাছাড়া যারা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে তারা
অবশ্যই ঋতু গুলোর নাম ইংরেজিতে জেনে নেবেন।তাহলে আপনাদের পড়াশোনার ব্যাপারে
অবশ্যই এটি কাজে দেবে।তাই ঋতুর নাম ইংরেজিতে নিচে দেওয়া হলো:
বাংলা - ইংরেজি - উচ্চারণ
- গ্রীষ্মকাল - Summer - (সামার)
- বর্ষাকাল - Rainy Season - (রেইনি সীজন)
- শরৎকাল - Autumn - (অটাম)
- হেমন্তকাল - Late Autumn - (লেইট অটাম)
- শীতকাল - Winter - (উইনটার)
- বসন্তকাল - Spring - (স্প্রিং)
ছয় ঋতুর নাম বাংলায়
সাধারণত বাংলাদেশের ঋতু হচ্ছে ছয়টি।তাইতো ছয় ঋতুর নাম বাংলায় আপনাদের
খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত আপনারা যদি এই ছয় ঋতুর নাম গুলো না
জানে তাহলে কিন্তু বিশাল সমস্যার মধ্যে পড়বেন।তাইতো অবশ্যই আপনাদের ছয় ঋতুর নাম
গুলো বাংলায় হোক ইংরেজি হোক যেভাবেই হোক জানাটা খুবই উত্তম।
তাহলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।তবে আপনারা বাংলায়
অথবা ইংরেজিতে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের এই
আর্টিকেলটি
খুব ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।কারণ ছয়টি ঋতুর মধ্যে সব রকম তথ্য খুব
ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে জেনে নিন।নিচে ছয়
ঋতুর নাম বাংলায় দেওয়া হলো:
- গ্রীষ্মকাল
- বর্ষাকাল
- শরৎকাল
- হেমন্তকাল
- শীতকাল
- বসন্তকাল
গ্রীষ্মকালের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশে প্রথমে কিন্তু এই গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে থাকে।এই ঋতু হচ্ছে উষ্ণতম
ঋতু।এই ঋতু ইংরেজি মাসের সাধারণত জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে।আবার
বাংলা মাসের বৈশাখী থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল থাকে।গ্রীষ্ম ঋতুতে
প্রচুর পরিমাণে সূর্যের তাপ হয় এবং প্রচন্ড গরম পড়ে।তবে এই দৃশ্যকালে কিছু কিছু
ফল পাওয়া যায় আবার কিছু ফুল পাওয়া যায়।আবার এই গ্রীষ্মকালে এতটা পরিমাণে গরম
হওয়ার কারণে এই গ্রীষ্মঋতুকে গরমকাল বলা হয়।
বর্ষাকালের বৈশিষ্ট্য
গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড কাঠফাটা রোদের মধ্যেই কিন্তু বর্ষার পানি দিয়ে শুরু হয় এই
বর্ষাকাল।এই বর্ষা ঋতু হচ্ছে খুবই ভালো একটি ঋতু কারণ এই ঋতুতে গরম হয় আবার
বৃষ্টিও হয়।তবে এই বর্ষা ঋতু বাংলা মাসের আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস পর্যন্ত থাকে।এই
ঋতুতে অনেক রকমের ফসল আবাদ করা হয় শাকসবজি হয় এবং ফল ফুল প্রচুর পরিমাণে হয়।
আরো পড়ুনঃ ডিগ্রি রেজাল্ট দেখার নিয়ম জানুন
আবার বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার কারণে নদ-নদী খাল বিলে প্রচন্ড
পরিমাণে পানি হয়ে বন্যা হয়ে যায়।তখন কিন্তু যেকোন মানুষ বা জেলেরা প্রচন্ড
পরিমাণে খুশিতে আনন্দে মাছ মেরে থাকে।তাই এই ঋতুকে একটি আনন্দময় ঋতু হিসেবে গণ্য
করা হয়।
শরৎকালের বৈশিষ্ট্য
সাধারণত বছরের তৃতীয় ঋতু হচ্ছে এই শরৎকাল।শরৎ ঋত বাংলা মাসের ভাদ্র ও আশ্বিন মাস
পর্যন্ত থাকে।বর্ষাকালের পরে কিন্তু মনমুগ্ধকর পরিবেশ নিয়ে আসে এই শরৎকাল।তবে
শরৎকালে অনেক রকমের ফুল ফল ফোটে কারণ এই শরৎকালে কম পরিমাণে বৃষ্টি হয়।এই
শরৎকালে তেমন কোন জলপ্রপাত বা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাই এই সময় বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে আবার ফল ধরে।তবে এই শরৎকালের সবচেয়ে
আকর্ষণীয় ফুল হচ্ছে কাশফুল ফোটে।
হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য
চতুর্থ ঋতু হচ্ছে এই হেমন্তকাল।তবে এই হেমন্ত বাংলা মাসের কার্তিক ও অগ্রহায়ণ
মাস পর্যন্ত বিরাজ করে।শরৎকালের পরেই কিন্তু হেমন্তের আবহাওয়া চলে আসে।হেমন্ত
কাল চলে আসলে হালকা হালকা সীত লাগবে আবার গরমও লাগবে।এই হেমন্তকালে বিভিন্ন রকমের
ধান কেটে কৃষকেরা ঘরে তোলে।
তাছাড়া হেমন্তকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এই সময় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন
রকমের ফুল ফোটে।দিয়ে এই হেমন্ত কালকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
শীতকালের বৈশিষ্ট্য
সাধারণত বছরের পঞ্চম তম ঋতু হচ্ছে এই শীতকাল।তবে হেমন্ত মাসে শীতের প্রভাব আসলেও
শীতকালে পুরোপুরি কিন্তু ঠান্ডা চলে আসে।তাইতো বাংলা মাসের পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস
হচ্ছে শীতকাল।তাই এই দুই মাসে প্রচন্ড পরিমানে শীত পড়ে।তবে জানুয়ারি এবং
ফেব্রুয়ারি মাসেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা থাকে।
সাধারণত শীতকাল দুই মাস হলেও শীত কিন্তু ৪ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত থাকে।তবে শীতকালে
খুব কম পরিমাণে বৃষ্টি এবং বাতাস হয়।
বসন্তকালের বৈশিষ্ট্য
সাধারণত বছরের শেষ ঋতু হচ্ছে এই বসন্তকাল।তবে বসন্তকালে অনেক রকমের পরিবর্তন
আসে।শীতকাল যেমনি চলে যায় তখন কিন্তু বসন্তের ফুরফুরে আবহাওয়া নিয়ে চলে আসে
বসন্তকাল।সাধারণত বাংলা মাসের ফাল্গুন ও চৈত্র মাস পর্যন্ত এই বসন্তকাল বিরাজ করে
থাকে।তখন কিন্তু অনেক রকমের প্রকৃতির সাজসজ্জা গাছে গাছে ফুল ফোটে ফল ধরে।গাছের
পাতা বদল হয় আরো অন্যরকম অবস্থা হয়ে যায় তখন কিন্তু খুবই সুন্দর লাগে।
ছয় ঋতু সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ
প্রশ্নঃ ঋতু কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণত মৌসুমের একটি খন্ড বিশিষ্ট নির্দিষ্ট সিজন অনুযায়ী ধারণা
করা হয় তাকেই ঋতু বলে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ঋতু কয়টি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের ঋতু ছয়টি।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু কি কি?
উত্তরঃ গ্রীষ্মকাল,বর্ষাকাল,শরৎকাল,হেমন্তকাল,শীতকাল ও বসন্তকাল।
প্রশ্নঃ ঋতু ইংরেজি কি?
উত্তরঃ ঋতু ইংরেজি হলো: The season।
শেষ মন্তব্য | ছয় ঋতুর নাম ইংরেজিতে
সাধারণত আপনারা যদি ঋতুগুলোর নাম বাংলায় অথবা ইংরেজিতে কোনভাবেই না জানেন তাহলে
অবশ্যই জেনে নেবেন।কারণ এই ঋতু গুলোর নাম কিন্তু জেনে নেওয়াটা খুবই উত্তম তাহলে
তখন পরবর্তীতে সুবিধা পাবেন।কারণ যারা স্কুল কলেজে পড়ালেখা করেন তাদের অবশ্যই এই
ঋতু গুলোর নাম বাংলা ইংরেজিতে জানা খুবই প্রয়োজনীয়।
আবার যারা জানতে চায় তাদেরও কিন্তু জেনে রাখাটা উত্তম তবে এই আর্টিকেলের মধ্যে
খুব ভালোভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়লেই সবকিছু জানতে
পারবেন।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি
পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং
ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url