আপডেট কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত এবং কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম জানুন

সাধারণত কোর্টের ম্যাধমেও বিয়ে করা যায় তাইতো কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তাইতো আপনারা কোর্টের মাধ্যমে খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে বিয়ে করতে পারবেন।তার সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে কোর্ট ম্যারেজ করার নিয়ম গুলো।

কোর্ট-ম্যারেজ-এর-খরচ-কত

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ হচ্ছে খুবই সহজ এবং সুন্দর একটি পদ্ধতি বিয়ে করার।খুব সহজেই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কোন ঝামেলা ছাড়া এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে কিছু টাকা পয়সা খরচ হবে।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।কারণ কোর্ট ম্যারেজ আবেদন ফি দিতে হবে আবার কোর্ট ম্যারেজ করার একটি ফর্ম আছে সেই ফর্ম পূরণ করতে হবে।
তাহলে তখন পরবর্তীতে দেখবেন যে কোর্ট ম্যারেজ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালোভাবে হয়ে যাচ্ছে।কোন রকমের সমস্যাগুলো হবে না তাছাড়া আপনারা যদি টাকা পয়সা দিয়ে দেন তাহলে কিন্তু আরো দ্রুত কাজ হয়ে যাবে কোন রকমের সমস্যা ছাড়াই।কারণ এই কোর্ট ম্যারেজ করার কিন্তু একটু ঝামেলা আছে তবে এটির আবার ভালো সুবিধা আছে।তাই কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে তার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

আদালতের ফি
সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করার কারণে আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।সেই আবেদন পত্রের সাথেই কিন্তু ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ফি লাগতে পারে।তবে আপনারা দেখে শুনে অবশ্যই দিবেন কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ফি হতে পারে।

আবেদনপত্রের ফি
সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে একটি ফরম পূরণ করতে হবে।সেই ফরমটি হচ্ছে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র।সেই আবেদনপত্রে কিন্তু ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।আবার অনেক কিছু কম বেশিও লাগতে পারে তা আপনারা দেখে শুনে জেনে দেবেন।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফি
সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলোর কিন্তু ফটোকপি করতে হবে।আবার যারা কোর্ট ম্যারেজ করবে তাদের দুইজনেরই ছবি লাগবে ছেলে-মেয়ের উভয়ের।তবে এই ছবি তোলা এবং কাগজপত্রগুলো ফটোকপি করার জন্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হতে পারে।

কোর্ট ম্যারেজ করার নিয়ম

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করার কিছু নিয়ম কানুন আবার অনেক কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো আছে।সেই গুলো জেনে কিন্তু আপনাদের কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করার নিয়ম গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনারা যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তাহলে কিন্তু কোন রকমের সমস্যা হবে না খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনারা যদি বিভিন্ন রকম বয়স কম বেশি হয় তাহলে কিন্তু আবার ঝামেলার মধ্যে পড়তে পারেন।তাই সেই দিকগুলো বিষয় বিবেচনা করে অবশ্যই আপনাদের এই আর্টিকেলটি একবার হলেও ভালোভাবে পড়ে দেখে জেনে নিতে হবে।তাহলে দেখবেন যে পরবর্তীতে কোন রকমের সমস্যা হবে না খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন এবং নিয়ম-কানুন সব ঠিক থাকবে।তাই তখন কোর্ট ম্যারেজ করার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:
  • কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য একটি আবেদন পত্রের ফরম পূরণ করে আদালতে জমা দিতে হবে।
  • তারপরে আদালতে জমা দেওয়ার আবেদন পত্রের ফি এবং ফরম পূরণের ফি দিতে হবে।
  • বর কনের ৪টি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।সেই ছবিগুলো যেই মুহূর্তে বিয়ে করবে সেই মুহূর্তেই সদ্য তোলা ছবি হতে হবে।তারপরে ছবিগুলোর পিছনে বর কনের স্বাক্ষর দিতে হবে।
  • বর কনের পরিচয় পত্র,জাতীয় পরিচয় পত্র,ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট এগুলোর যেকোনো একটি ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • বর কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা,জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ইত্যাদি যেকোনো একটির ফটোকপি করে জমা দিতে হবে।
  • বর কনের দুইজনের সম্মতিতেই বিয়ে হচ্ছে এমন একটি প্রমাণপত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বা উপজেলা পরিষদ থেকে প্রমাণপত্র নিয়ে জমা দিতে হবে।
  • তারপরে বর কনের সাক্ষাতে বিবাহর তারিখ ঠিক করতে হবে।
  • দিয়ে বিবাহ তারিখ ঠিক করা হয়ে গেলে সেই তারিখে বর কনে উপস্থিত হয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হবে।
  • তারপরে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে বিবাহ রেজিস্টার করা হবে যেটি সরকারি আইন অনুযায়ী একটি আপনারা বিবাহ নিবন্ধন সার্টিফিকেট পাবেন।
তাই উপরে দেওয়া কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে সময় লাগতে পারে তাই অবশ্যই কোর্ট ম্যারেজ বা বিবাহ করার আগে এই কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না খুব দ্রুত কাজ হয়ে যাবে।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে

সাধারণত আপনারা যখন কোর্ট ম্যারেজ করবেন তখন কিন্তু তার কিছু প্রমাণপত্র বা কাগজপত্র অবশ্যই দরকার হবে।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত কোর্ট ম্যানেজ করতে হলে অবশ্যই আপনাদের কিছু না কিছু কাগজপত্র স্টেটমেন্ট সার্টিফিকেট দরকার হবে তখন কিন্তু আপনারা সেইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন না।
তাই অবশ্যই কোর্ট ম্যারেজ করার আগে থেকেই কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্ট ম্যারেজ করে নিতে পারবেন কোন রকমের সমস্যা হবে না।তবে কোর্ট ম্যানেজ করার সময় আবার সাক্ষীর প্রয়োজন হয় তাই অবশ্য প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীরও দরকার হবে।তাইতো কোর্ট ম্যানেজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী লাগবে (একজন ছেলে একজন মেয়ে হলেও চলবে)।
  • বর কনের সদ্য তোলা ছবি লাগবে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের।
  • ছেলে-মেয়ের এনআইডি কার্ড,এসএসসি,এইচএসসি সনদপত্র জন্ম সনদ যেকোনো একটির ফটোকপি।
  • এনআইডি না থাকলে জন্ম সনদ দিয়েও কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ করা যায়।
  • তবে অবশ্যই এই কাগজপত্রগুলো কোর্ট ম্যারেজ করার আগেই আপনারা সংগ্রহ করে রাখবেন না হলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।

কোর্ট ম্যারেজ করতে বয়স কত লাগে

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ হচ্ছে একপ্রকার বিবাহ যাকে বলে রেজিস্ট্রেশনকৃত বিবাহ।এই কারণে ছেলে মেয়ে উভয় প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।তাছাড়া কিন্তু কোনোভাবেই কোর্ট ম্যানেজ করা সম্ভব নয়।কোর্ট ম্যারেজ হচ্ছে একেবারে আইনগত বিবাহ যেটা আদালতের মাধ্যমে করা হয় কোনোভাবেই এই বিবাহ ভেঙ্গে দেওয়া যায় না।

তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে অবশ্যই ছেলেমেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।তবে কোর্ট ম্যারেজ করতে মেয়ের বয়স লাগবে ১৮ এবং ছেলের বয়স লাগবে ২১ তারপরেই কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন এবং রেজিস্ট্রকৃতভাবে বিয়ে করতে পারবেন।তাছাড়া যদি ছেলে-মেয়ের মা-বাবা ইচ্ছাকৃতভাবে বিবাহ দিয়ে দেয় তাহলে কিন্তু ছেলে মেয়ের বয়স কম বেশি হলেও কোন রকমের সমস্যা হয় না।

ছেলে মেয়ের বয়স একটু কম বেশি থাকলেও তা বাড়িয়ে দিয়ে কোর্ট ম্যানেজ করা হয় বা রেজিস্ট্রেশন কৃত বিবাহ দেওয়া হয়।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে কিছু না কিছু তো খরচ আছে।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ অনেক কম টাকার বিনিময়ে কোর্ট ম্যারেজ করে দেওয়ার কথা বলবে।কিন্তু আপনারা যদি সেই ফাঁদে পড়ে কোর্ট ম্যারেজ করেন তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে ধোকা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করতে ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্প লাগবে নির্দিষ্ট একটি অ্যাডভোকেট বা উকিল ধরে তাতে ভালোভাবে লিখে নিয়ে তারপরেও কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন।


কোর্ট ম্যারেজের সুবিধা

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ হচ্ছে আইনত বিবাহ।তাইতো কোর্ট ম্যারেজের সুবিধা কি কি তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত কোর্ট ম্যারেজের কিছু কিছু সুবিধা আছে আবার কিছু অসুবিধা আছে।সেই বিষয়গুলো এবং সেই দিকগুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে দেখে শুনে কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে তাহলে ভালো সুবিধা পাবেন।
সাধারণত যেমন সুবিধা আছে কোর্ট ম্যারেজ করার তেমন কিছু এর অসুবিধা দিকগুলো আছে।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করলে কি কি সুবিধা পাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • কোর্ট ম্যারেজ করলে একে অপর আইনগত স্বীকৃতি পেয়ে যাবেন।তখন আপনাদের কেউ চাইলেও বিচ্ছেদ করতে পারবে না কারণ আপনারা আইনগত স্বামী স্ত্রী হয়ে যাবেন।
  • কোর্ট ম্যারেজ করলে তখন আপনাদের বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার হয়ে যাবে।কারণ আপনারা কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করবেন তারপরে যদি আপনারা চান তাহলে কিন্তু এই বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবেন।
  • কোর্ট ম্যারেজ করার পরে একে অপরের সম্পত্তির ওপরে অধিকার স্বীকৃতি হয়ে যাবে।তখন ছেলের যা সম্পত্তি থাকবে মেয়ের অধিকার হবে মেয়ের যা সম্পত্তি থাকবে ছেলের অধিকার হয়ে যাবে।
  • সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করলে এখনকার যুগে সমাজ স্বীকৃতি হচ্ছে কিন্তু আগেকার যুগে এটা সমাজ স্বীকৃতি হতো না।তবে এখনকার যুগে পারিবারিক ভাবে কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ দেওয়া হচ্ছে।
  • সাধারণত অল্প খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই কিন্তু এই কোর্ট ম্যারেজ আপনারা করতে পারবেন।কারণ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে আপনারা কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন এবং এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যেই কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কোর্ট ম্যারেজের অসুবিধা

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে অবশ্যই কিছু কাগজপত্রের দরকার হবে আবার ছেলে মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মাধ্যমে কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ করা হবে।এইসব নানান দিক দেখেশুনে কোর্ট ম্যারেজ করার কারণে অনেক রকমের অসুবিধাই আপনারা পড়তে পারেন।তাছাড়া পরিবারের যদি পিতা-মাতা কোনভাবেই রাজি না থাকে তাহলে কিন্তু আপনারা কোনভাবেই কোর্ট ম্যারেজ করে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন না।

কোর্ট ম্যারেজ করার মাধ্যমে তখন কিন্তু বিভিন্ন রকম অসুবিধার মধ্যে আপনারা পড়ে যাবেন।তাইতো কোর্ট ম্যারেজ করলে কি কি অসুবিধা হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
  • প্রায় ছেলে-মেয়ে কিন্তু পরিবারের বিপক্ষে যেয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে।
  • পরিবারকে নারাজ করে নিজেরা সিদ্ধান্তে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করে।
  • একা একাই কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করলে পরিবারের কেউ বা পিতামাতা কোনভাবেই মানতে চাই না।
  • কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করলে সেই বিয়ে সমাজ স্বীকৃত হয় না।
  • বিয়ে কোনভাবেই প্রমাণ করা যায় না।
  • অনেকে আবার বিয়ে করে বিভিন্ন রকম ধোকায় ফেসে যায়।
  • বিভিন্ন রকম আইনি ঝামেলা থাকে।
  • তখন যদি আপনাদের পরিবারের কেউ বা পিতামাতা যদি আপনাদের নামে মামলা দেয় তখন কিন্তু আপনারা ফেসে যাবেন এবং আরো বিরাট বড় অসুবিধার মধ্যে পড়ে যাবেন।
  • তাই অবশ্যই আপনারা যেটা করবেন সেটাই দেখে শুনে জেনে বুঝে তারপরে করবেন।

রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ করতে কত সময় লাগে

সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ করতে বা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কিছু সময়ের ব্যবধান মাত্র।তাইতো রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ করতে কত সময় লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ বিবাহ হতে কিছু সময়ের প্রয়োজন এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি হতেও কিছু সময়ের ব্যবধান হতে পারে।তাইতো সেই সবদিকে অবশ্যই আপনাদের বিষয় বিবেচনা করে দেখতে হবে এবং সেটিও করতে পারবেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রি
সাধারণত ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে।কাজী তখন সরকারি খাতায় আপনাদের দুইজনেরই নাম স্বাক্ষর করতে হবে।তারপর কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে সেটি মাত্র কয়েক মিনিটের কাজ।

কোর্ট ম্যারেজ
এই কোর্ট ম্যারেজ হচ্ছে কিছু সময়ের কাজ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি সংগ্রহ করা থাকে।তাহলে সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য একটি আবেদন ফরম পূরণ করে।সেই আবেদন ফরম জমা দেওয়ার কিছু ফি আছে সেই ফি গুলো জমা দিয়ে দিলেই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্ট ম্যারেজ হয়ে যাবে।

তাই রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ করতে হলে কয়েক ঘন্টার প্রয়োজন হবে।তবে তার থেকে কমও লাগতে পারে আবার বেশিও সময় লাগতে পারে সেই দিকে আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে ভালোভাবে দেখেশুনে জেনে তারপর বিবাহ করবেন।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা

সাধারণত বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের অনেক সুবিধা আছে।তাইতো বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বিয়ে করেছেন তাদের কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হয় নি।তাই আপনাদের যাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হয় নি তারা অবশ্যই এই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে না।
আপনারা বিভিন্ন রকম আইনগত ঝামেলায় আবার বিদেশে যাওয়া গত বিভিন্ন রকমের ঝামেলার মধ্যে পড়তে পারেন।তাই সেই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের কিছু সুবিধা নিচে দেওয়া হলো:
  • অনেক সময় সমাজ স্বীকৃত এবং আপনার সন্তানটা যে বৈধ হবে সেটি প্রমাণ করতে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা দরকার।
  • সাধারণত বিদেশে যদি স্ত্রী বা স্বামী দুজনেই যান তখন কিন্তু বিদেশের বিভিন্ন রকম হোটেল বাস ভাড়া ভ্রমণ করার সময় বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের দরকার হবে।
  • মুসলিমদের হজ করার সময়ও কিন্তু স্বামী স্ত্রী বিবাহের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দরকার হবে।
  • বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সরকারের কাছে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন খাতায় আপনাদের স্বামী স্ত্রীর নাম জমা হবে।
  • সাধারণত প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কারণ নারীদের ভাগ্যপূর্ণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই পুরুষেরা তাই বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা খুবই দরকার।
  • স্বামী স্ত্রী দ্বারা বা স্ত্রী স্বামী দ্বারা বিভিন্ন রকম ভাবে প্রতারণা হতে পারে তাই সেই সব প্রতারণা করতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করাটা দরকার।
  • স্বামীর মৃত্যুর পরে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পরে স্বামী স্ত্রীর যেই সম্পদ থাকবে তার দুইজন আর দুজনের উপর অধিকার দেখাতে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দরকার হবে।

কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ কাজী অফিসে বিবাহ খরচ কত?
উত্তরঃ ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা কম বেশি হতে পারে।

প্রশ্নঃ কোর্ট ম্যারেজ কি ইসলামে বৈধ?
উত্তরঃ না,কোর্ট ম্যারেজ ইসলামে কোনোভাবেই বৈধ নয়।

প্রশ্নঃ কোর্ট ম্যারেজ কোথায় করা হয়?
উত্তরঃ বিভিন্ন কোর্টে বা আদালতে করা হয়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করতে হয়?
উত্তরঃ ৩০০ টাকা দিয়ে একটি স্ট্যাম্প কিনে কোন আইনজীবীকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে তারপর কোর্ট ম্যারেজ করা হয়।

প্রশ্নঃ কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ ছেলে মেয়ের বয়সের প্রমাণপত্র ছেলেমেয়ের সদ্য তোলা ছবি ৩ থেকে ৪জন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী এবং কিছু কাগজপত্র।

শেষ মন্তব্য | কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত

সাধারণত আপনারা যারা কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই করতে পারেন কোন রকমের সমস্যা হবে না।আপনারা যারা কোর্টের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহ করবেন তাদের কিন্তু অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে আপনারা পড়বেন তখন কিন্তু এক প্রকার আইনগত ঝামেলায় পড়তে পারেন আবার সামাজিক ঝামেলা পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে জড়াতে পারেন।

এই কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে কোর্ট ম্যারেজ করা বা বিবাহ করাটা খুবই জরুরী।তবে কোর্ট ম্যারেজ করার আগে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি একবার হলেও ভালোভাবে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url