আপডেট নিয়মে সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ জানুন

সাধারণত সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ করতে পারবেন।কারণ যারা সৌদি আরব যাবেন তারা অবশ্যই সৌদি আরবের ভিসা অলাইনের মাধ্যমে কিংবা যেভাবেই হোক চেক করে দেখে নেবেন।তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যার মধ্যে পড়বেন না।তার সাথে জানানো হবে সৌদি আরব ভিসা দাম কত।

সৌদি-আরব-ভিসা-চেক-অনলাইন-বাংলাদেশ

সাধারণত সৌদি আরবের ভিসার দাম কিন্তু একটু বেশি হয়ে থাকে তবে এই সৌদি আরবের কাজের বিভিন্ন রকম ধরন আছে।কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসার দাম হয়ে থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ

সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ

সাধারণত সৌদি আরবের ভিসা যখন আপনারা তৈরি করবেন তখন কিন্তু সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ সম্পর্কে অবশ্যই জানবেন।কারণ সৌদি আরব যাবেন যেহেতু সেহেতু আপনাদের বাংলাদেশেই সেই ভিসাটা চেক করে নেওয়া উচিত।তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যার মধ্যে পড়বেন না।

তাছাড়া যদি আপনারা বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়েন বিদেশে যেয়ে তখন কিন্তু আর আপনাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।তাই অবশ্যই আপনাদের সৌদি আরবের ভিসা চেক করে নেওয়া উচিত সেটি ভালো না শুদ্ধ না জাল তা তখন জানতে পারবেন।তাইতো অবশ্যই আপনাদের ভিসা চেক করে নিতে হবে বাংলাদেশে থাকতেই তাহলে তখন আপনারা সেই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
তবে কিভাবে ভিসা চেক করবেন তার সব কিন্তু এই আর্টিকেল মধ্যে খুব ভালোভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।তাইতো নিচে সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হলো:
প্রথমে গুগলে যাবেন তারপরে সৌদি আরব ই-ভিসা পোর্টাল লিখে গুগলে সার্চ করবেন।
এই লিংকে যাওয়ার পরে আপনার সামনে একটি ক্যাপচার আসবে সেখানে
  • ভিসা আবেদন নাম্বার
  • আপনি কোন দেশে নাগরিক সেটি দিবেন
  • তারপরে এই ক্যাপচারটি পূরণ করে দিবেন
  • তারপরে স্ট্যাটাস চেক বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপরে স্ট্যাটাস বিশ্লেষণের মধ্যে যাবেন তারপরে যে বিষয়গুলো থাকবে তা নিচে দেওয়া হলো:
  • Approved: আপনার ভিসা সৌদি আরব যাওয়ার জন্য মনজুর হয়েছে কিনা তা দেখতে পারবেন।
  • Under process: আপনার ভিসা এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে না চালু হয়ে গেছে তাও দেখতে পারবেন।
  • Rejected: আপনার ভিসার আবেদন বাদ হয়ে গেছে না পুনরায় আবেদন করতে হবে সেটাও দেখতে পাবেন।
  • Further Documents Required: তাছাড়া দেখা যেতে পারে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে সেই ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত ডকুমেন্টগুলো দিয়ে পুনরায় আবেদন করবেন।
  • তবে আপনাদের আবেদন করা কোন কিছু যদি ভুল থাকে তাহলে পরবর্তীতে আপনি তা ঠিক করতে পারবেন।

সৌদি আরব ভিসা চেক করার উপায়

সাধারণত সৌদি আরবের ভিসা কিন্তু আপনি এমনিতেই চেক করতে পারবেন না বাংলাদেশ থেকে কোনভাবেই।তবে সৌদি আরব ভিসা চেক করার উপায় গুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে জানেন তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না আপনার।কারণ সৌদি আরব যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিসা তৈরি করতে হবে সেই দেশের।

এই কারণে সৌদি আরবের ভিসা গুলো কিভাবে চালু হয়েছে তা সবকিছু দেখে নেওয়াটাই এবং গুরুত্ব দেওয়াটা চেক করে নেওয়াটা খুবই উত্তম।তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না আপনারা কাজ করতে আর বেড়াতেই হোক আর যে কারণেই হোক সৌদি আরবে যেতে পারবেন কোন রকমের সমস্যা হবে না।তাইতো সৌদি আরবের ভিসা চেক করার কিছু উপয় নিচে দেওয়া হলো:
  • ইন্টারনেট সংযোগঃ সাধারণত ইন্টারনেটে কোন কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাদের ইন্টারনেট সংরক্ষণ দিতে হবে।ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে কোনভাবেই আপনারা কোন কাজ করতে পারবেন না।
  • সঠিক তথ্য প্রদানঃ অবশ্যই আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে হবে যেমন ভিসা নাম্বার পাসপোর্ট নাম্বার ক্যাপচার পূরণ সবকিছুই সঠিক দিতে হবে।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেনঃ সৌদি আরবের ভিসা চেক করার সময় অবশ্যই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন।তাহলে কোন রকমের ভুল হবে না খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসা চেক করতে পারবেন।
  • নিয়মিত চেক করবেনঃ সাধারণত ভিসা পাসপোর্ট এগুলো অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে প্রতিদিন একবার হলেও চেক করে দেখবেন।যদি অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্ট বা নতুন কোন ডকুমেন্ট চাই তাহলে দেবেন।

সৌদি আরব ভিসা দাম কত

সাধারণত সৌদি আরবের বিভিন্ন রকমের ভিসা বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে।তাইতো সৌদি আরব ভিসা দাম কত তা আপনাদের খুব ভালোভাবেই জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত সৌদি আরবের যে বিষয়গুলো আপনারা জানেন না সেগুলো কিন্তু খুব ভালোভাবেই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।তাহলে পরবর্তীতে কোন রকমের সমস্যা হবে না।
তাছাড়া আপনারা যদি বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়েন তখন কিন্তু আর উঠে আসতে পারবেন না।কারণ সৌদি আরবের ভিসা কিন্তু কাজের উপর ধারণ করে দাম হয়ে থাকে।কাজের ভিসার একরকম দাম হজের ভিসার একরকম দাম আরো বিভিন্ন রকম ভিসার বিভিন্ন রকম দাম হয়ে থাকে।তাইতো নিচে কেমন ভিসার কি রকম দাম তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো:

পর্যটক ভিসা
  • ফি: ৩০০ থেকে ৫০০ সৌদি রিয়াল
  • মেয়াদ: একবার ভ্রমণ এবং মাল্টিপল এন্ট্রি
ব্যবসায়িক ভিসা
  • ফি: ৩০০ থেকে ৭০০ সৌদি রিয়াল
  • মেয়াদ: ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত
ওয়ার্ক ভিসা
  • ফি: ২,০০০ থেকে ৪,০০০ সৌদি রিয়াল
  • মেয়াদ: ২ বছর কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী
হজ/উমরাহ ভিসা
  • ফি: হজের ভিসা বিভিন্ন রকম দামের বিভিন্ন রকম চার্জ নিয়ে থাকে।
  • মেয়াদ: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজে।
রেসিডেন্স ভিসা
  • ফি: ১,০০০ থেকে ২,০০০ সৌদি রিয়াল
  • মেয়াদ: ১ বছর পর্যন্ত।

সৌদি ভিসা কত প্রকার

সাধারণত সৌদি আরবে যাওয়ার অনেক রকমের ভিসা গুলো আছে সেগুলো দেখেশুনে আপনাদের সৌদি আরব যেতে হবে।তাইতো সৌদি ভিসা কত প্রকার তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত আপনারা যদি ভালোভাবেই সেগুলো জানতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।কারণ সৌদি ভিসা অনেক রকমের হয়ে থাকে এবং এগুলোর বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
কোনটার একটু সুবিধা আছে আবার কোনটার একটু অসুবিধা আছে তবে আপনাদের যেটা ভালো মনে হবে সেটাতেই আপনারা যেতে পারেন কোন রকমের সমস্যা নেই।তবে অবশ্যই সৌদি আরবে যাওয়ার আগ দিয়ে ভিসা পাসপোর্ট এবং কাজের সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা নিয়ে যাবেন।তাহলে সেখানে যেয়ে আপনাদের কাজ করতে আর কোন রকমের অসুবিধা হবে না খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।তবে সৌদি আরবে কি কি ধরনের কাজের ভিসা আছে তা নিচে দেওয়া হলো:
পর্যটক ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারবেন এবং সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ১ বছর
  • বৈশিষ্ট্য: সেখানে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।
হজ ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে মুসলমান মানুষেরা হজ পালন করে থাকে।
  • মেয়াদ: হজের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী।
  • বৈশিষ্ট্য: সেখানে শুধু হজ পালনের জন্য ধর্মীয় কাজে যাওয়া হয়।
ওমরাহ ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে মুসলমানেরা ওমরা হজ পালন করে থাকে।
  • মেয়াদ: ১৫ থেকে ৩০ দিন।
  • বৈশিষ্ট্য: বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এটি হয়ে থাকে।
ব্যবসায়িক ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কাজে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ৩ থেকে ১ বছর পর্যন্ত
  • বৈশিষ্ট্য: শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কাজে সৌদিআরব যেতে পারবেন এই ভিসায় অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না।
ওয়ার্ক ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে কাজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ১ থেকে ২ বছর
  • বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন কাজের অনুমতি পাওয়া।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে শুধুমাত্র পড়াশোনার কাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন।
  • মেয়াদ: আপনার পড়ালেখার কোর্স যতদিন থাকবে বা পড়ালেখা শেষ করতে যতদিন থাকতে হবে ততদিন।
  • বৈশিষ্ট্য: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষভাবে আপনাকে বৃত্তি বা স্কলারশিপ প্রদান করা হবে।
রেসিডেন্স ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে পরিবারের সবাই সৌদি আরবে বসবাসের জন্য যেতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ১ বছর
  • বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন কাজের অনুমতি পাবেন।
ডিপ্লোম্যাটিক ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে কূটনৈতিক কর্মীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • মেয়াদ: যতদিন কাজ চলবে ততদিনের জন্য।
  • বৈশিষ্ট্য: বিশেষ কূটনৈতিক সুবিধার জন্য।
ট্রানজিট ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে সৌদি আরবের দিয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা।
  • বৈশিষ্ট্য: সৌদি আরবে সীমিত সময়ে অবস্থানের অনুমতি পাওয়া।
পারিবারিক ভিসাঃ এই ভিসা ব্যবহার করে স্বপরিবারে সৌদি আরব যেয়ে থাকতে পারবেন।
  • মেয়াদ: ৯০ দিন
  • বৈশিষ্ট্য: পরিবারের সব সদস্য বা স্বপরিবারে আপনি সৌদি আরব ভ্রমণের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরব ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ সৌদি আরব যেতে মানুষের কত বছর বয়স লাগে?
উত্তরঃ ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়স লাগে।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের ভিসার মেয়াদ কত দিন?
উত্তরঃ বিভিন্ন রকমের ভিসার বিভিন্ন রকম মেয়াদ হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের কিভাবে নাগরিক হওয়া যায়?
উত্তরঃ অন্তত সৌদি আরবে ১০ বছর আপনাকে থাকতে হবে বা বসবাস করতে হবে তারপরে আপনি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাবেন।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ ৭ দিনের মধ্যে হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ সৌদি আরব কত নম্বর ধনী দেশ?
উত্তরঃ দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী দেশ।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের টাকার নাম কি?
উত্তরঃ সৌদি রিয়াল।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের জাতীয় ফল কি?
উত্তরঃ খেজুর।

প্রশ্নঃ সৌদি আরবের আসল নাম কি?
উত্তরঃ আল-মামলাকা আল-আরাবিয়া আস-সুদিয়া।

শেষ মন্তব্য | সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ

সাধারণত সৌদি আরবের ভিসা গুলো চেক করতে হলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন রকম সাইট গুলো আছে সেগুলোতে চেক করে নিতে হবে।তাহলে তখন পরবর্তীতে আপনারা সেই অনুযায়ী দেখতে পারবেন।কারণ আপনারা যারা বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি চেক করেন তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তাইতো সেই দিকে কোনভাবেই যাবেন না অবশ্যই সৌদি আরব যাওয়ার আগে সৌদি আরবের ভিসা পাসপোর্ট চেক করে নেবেন আর সৌদি আরবে যেয়ে কি কাজ করবেন তার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণ নিয়ে নিবেন।তবে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে সব কিছুই খুব ভালোভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url