সবথেকে ভালো ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা রোগের চিকিৎসা ৫টি এবং ৭টি ঔষধ জানুন

সাধারণত ব্রয়লার মুরগি পালন করার সময় ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের জেনে রাখাটা উচিত।তাহলে পরবর্তীতে আপনারা তেমন কোন সমস্যার মধ্যে পড়বেন না। ভালো ভাবে ব্রয়লার মুরগি পালন করতে পারবেন।তার সাথে মুরগির ঠান্ডা রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানানো হবে।

ব্রয়লার-মুরগির-ঠান্ডা-রোগের-চিকিৎসা

সাধারণত মুরগির ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই আপনাদের ভালোভাবে সবকিছু জেনে রাখাটা উচিত।কারণ আপনারা যখন ব্রয়লার মুরগির খামার করবেন তখন কিন্তু মুরগি গুলো অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পোস্টসূচিপত্রঃ

ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা রোগের চিকিৎসা

সাধারণত ব্রয়লার মুরগিগুলো যখন আপনারা খামার বা আবদ্ধ ভাবে পালন করবেন।তখন কিন্তু সেই মুরগি গুলোর বিভিন্ন রকম রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাইতো ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ ব্রয়লার মুরগি হচ্ছে খুবই সূক্ষ্ম জাতীয় মুরগি হওয়ার কারণে এই মুরগি গুলোকে খুব ভালোভাবে লালন পালন করতে হবে।
কারণ এই মুরগি গুলোকে একটু বেশি বাতাসে রাখলেও ঠান্ডা লাগবে এবং একটু বেশি গরম তাপমাত্রায় রাখলেও এদের গরম লেগে সমস্যা সৃষ্টি হবে।তাইতো এই মুরগিগুলো যখন আপনারা লালন পালন করবেন খামার করবেন তখন কিন্তু সামঞ্জস্য ভাবে ঠান্ডা গরম দেখে দিবেন।তাহলে আপনারা খামার করতে পারবেন তেমন কোন সমস্যা হবে না।

তাছাড়া যদি কোন কিছুই না মেনে খামার করেন তাহলে কিন্তু আপনারা প্রচুর পরিমাণে লসের শিকার হতে পারেন।তাইতো নিচে ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লাগার লক্ষণ এবং সর্দি কাশির লক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • শ্বাসনালীর ভেতর ঘড় ঘড় আওয়াজ করা।
  • মুরগির নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়া।
  • হালকাভাবে মুরগি কাশি করা।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে যাওয়া মুরগির খাবারের অরুচি।
  • ওজন কমে যাবে।
  • ডিম পাড়া মুরগির ঠান্ডা লাগলে ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
  • তবে কোন কোন মুরগির ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০% ডিমের হার কমে যেতে পারে।
  • এই ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি কাশি হলে মুরগির মৃত্যুর হার কম হলেও মুরগির শরীরে জটিল ভাবে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে থেকে যেতে পারে।
  • শ্বাসনালী লালচে দেখাবে এবং ফুলে যেতে পারে।
  • বায়ু কোষ ও প্রবাহ দেখা যাবে।
তবে ব্রয়লার মুরগির অথবা যেকোন মুরগির যদি এই সব সমস্যা গুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনারা নিয়ম-কানুন মেনে ঔষধ খাওয়াবেন।তবে কি কি ঔষধ খাওয়াবেন তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • টাইলোসিন - ১ লিটার খাবার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • মাইক্রোনিড ভেট - ১ লিটার খাবার পানিতে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • পালমোকেয়ার ভেট - ৪ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • নেফটনিক - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
নিয়ম-কানুন মেনে আপনারা ভালোভাবে ঔষধ গুলো খাওয়াবেন তাহলে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মুরগিগুলো ভালো হয়ে যাবে।তবে অবশ্যই এই ওষুধ গুলো খাওয়ানোর পরে শুধু পানি খাওয়াবেন।১ থেকে ২ দিন পরে আবার ভিটামিনের ঔষধ খাওয়াতে পারেন।

মুরগির ঠান্ডা রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা

আপনারা যেকোন মুরগিগুলো যদি পালন করে থাকেন তবে তাদের অবশ্যই প্রাকৃতিক চিকিৎসা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাইতো মুরগির ঠান্ডা রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা মুরগির খামার করে থাকে তখন সেই মুরগির খামার গুলোতে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তখন সেই গুলোতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা করতে হবে।

কারণ মুরগির ঠান্ডা লাগা রোগের যদি আপনারা প্রাকৃতিক চিকিৎসা না করতে পারেন।তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।সব সময় যদি আপনারা ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তখন পরবর্তীতে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না আপনাদের।তাইতো যেকোন মুরগির ঠান্ডা লাগলে কিভাবে প্রাকৃতিক চিকিৎসা করবেন তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • মুরগির ঘর বা মুরগির খামার সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • মুরগির নষ্ট করা খাবারগুলো ফেলে দিতে হবে।
  • হলুদের গোড়া এবং পটাশিয়াম একসঙ্গে মিশ্রণ করে পুরো খামারে ছিটাতে পারেন।
  • মুরগি গুলোকে সবসময় সুষম খাদ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • খাদ্যের পাশাপাশি খাদ্যের সঙ্গে রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন তাতে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
  • তিক্ত ওষুধি গাছের পাতা খামারের বিভিন্ন স্থানে বেঁধে দিতে পারেন।এতে খামারের রোগ জীবাণু পরজীবী রোগ জীবাণু দূর হবে।
  • আবার পেঁপের সাদা আঠা,সুপারি এবং ডালিমের ফলের খোসা একসঙ্গে ভালো করে মিশ্রণ করে নিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন তাহলে মুরগির কৃমি দূর হবে।
  • তাছাড়া লেবুর খোসা এবং ডিমের খোসা একসঙ্গে মিশ্রণ করে ভালো করে বেটে নিয়ে মুরগি গুলোকে খাওয়াতে পারেন এতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।
  • তাছাড়া বাইরের পরজীবী দূর করতে মুরগির খামারের ভেতর সুগন্ধি পাতা বিভিন্ন স্থানে বেঁধে রাখতে পারেন।

ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লাগার কারণ

সাধারণত ব্রয়লার মুরগি গুলোকে যদি আপনি ভালোভাবে লালন পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই সেই মুরগী গুলোকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।তাইতো ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লাগার কারণ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা ব্রয়লারের খামার করে কিন্তু সেই ব্রয়লার গুলোর কি কারনে ঠান্ডা লাগে বা কি কারণে সর্দি কাশি হয় সেই কারণটা কোনভাবেই তারা জানে না।
তাইতো তাদের সুবিধার্থে জন্যই আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ব্রয়লার বিষয়ক খুঁটিনাটি তথ্য এবং ব্রয়লারের রোগ বিষয়ক খুটিনাটি তথ্য এবং সবকিছু ভালো করা বিষয়ক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।যাতে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন তাহলে আমাদের সুবিধা হবে।তবে ব্রয়লার মুরগির যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে কিন্তু রোগ জীবাণু এবং সর্দি কাশি হয়ে যাবে।

তখন এই ব্রয়লার মুরগি গুলোর বাড়তি শক্তি কমে যাবে দিয়ে তারা মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে তখন আপনাদের বিশাল লস হতে পারে।তাইতো কি কি কারণে ঠান্ডা লাগতে পারে তা জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • প্রচন্ড বাতাস হলে ব্রয়লার মুরগিকে ঠান্ডা লাগতে পারে।
  • আবার এক মুরগিকে যদি ঠান্ডা লাগে তাহলে আরেক মুরগিকে ঠান্ডা লাগা পার হতে পারে।
  • রোগাক্রান্ত মুরগির মলমূত্র যদি আরেকটা মুরগির শরীরের লেগে যাই বা একই সঙ্গে থাকে তাহলে কিন্তু আরেকটা মুরগিরও রোগ হয়ে যাবে।
  • তবে ইঁদুর যদি গর্ত করে খামারের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলেও কিন্তু বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে।
  • আবার অতিরিক্ত গরমের কারণেও মুরগিকে ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে মুরগি মারা যেতে পারে।
  • তাই আপনারা যারা ব্রয়লারর খামার করবেন অবশ্যই সব দিকে দেখেশুনে বিষয় বিবেচনা করে খামার করবেন।

মুরগির ঠান্ডার ঔষধ নাম

সাধারণত আপনারা যদি যেকোন মুরগিগুলোকে ঠান্ডা লাগার ওষুধগুলো খাওয়াতে চান তাহলে কিন্তু খাওয়াতে পারেন।তাইতো মুরগির ঠান্ডার ঔষধ নাম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন রকম মুরগির খামার করে থাকে কিন্তু তারা মুরগি গুলোর ঠান্ডা লেগেছে তখন কি ঔষধ দেবে সেই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।

তাইতো তাদের সুবিধার্থের জন্যই আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনাদের সুবিধার্থের জন্যই এই আর্টিকেলের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।যাতে আপনারা ভালোভাবে খামার করতে পারেন এবং মুরগিগুলোর ঠান্ডা লাগা রোগের ঔষধ দিয়ে মুরগিগুলো লালন পালন করতে পারেন।

তবে আমরা জানিয়ে দেবো মুরগির ঠান্ডা লাগার সব থেকে ভালো ঔষধের নাম যেগুলো মুরগি গুলোকে একবার খাওয়ালেই ভালো কাজ করবে।তাইতো নিচে মুরগিগুলো ঠান্ডা লাগার ঔষধ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • টিয়ামুলিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৪ দিন খাওয়াবেন।
  • টাইলোসিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ২ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৪ দিন খাওয়াবেন।
  • ক্লোরটেট্রেসাইক্লিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • টাইলোসিন - ১ লিটার খাবার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • মাইক্রোনিড ভেট - ১ লিটার খাবার পানিতে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • পালমোকেয়ার ভেট - ৪ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • নেফটনিক - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।

ব্রয়লার মুরগির সর্দি কাশি

ব্রয়লার মুরগির যদি ঠান্ডা লাগার কারণে কোন রকম সর্দি কাশির সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের তা ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।তাইতো ব্রয়লার মুরগির সর্দি কাশি সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।ব্রয়লার মুরগির কোন কারনে ঠান্ডা লাগে সর্দি-কাশির সমস্যা সৃষ্টি হতেই পারে।
সেদিকে অবশ্যই আপনাদের খেয়াল রেখে তারপরে কি ঔষধ খাওয়াবেন তা ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে।তবে ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লাগলে এবং সর্দি কাশি হলে কি কি ঔষধ খাওয়াবেন তা খুব ভালোভাবেই আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।আপনারা শুধু পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন আর জেনে নেবেন।

কারণ ব্রয়লার মুরগি সম্পর্কে যত রকমের খুঁটি আছে সব আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খুজে বের করে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়ে যান।তাইতো নিচে কিভাবে ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি হয় এবং কি ঔষধ খাওয়ালে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি কাশি ভালো হবে তা জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • টিয়ামুলিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৪ দিন খাওয়াবেন।
  • টাইলোসিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ২ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৪ দিন খাওয়াবেন।
  • ক্লোরটেট্রেসাইক্লিন - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ২ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
এখানে আবার ব্রয়লার মুরগির সর্দি কাশি হলে কি কি ঔষধ খাওয়াবেন তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • টাইলোসিন - ১ লিটার খাবার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • মাইক্রোনিড ভেট - ১ লিটার খাবার পানিতে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • পালমোকেয়ার ভেট - ৪ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • নেফটনিক - ১ লিটার খাবার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।

ব্রয়লার মুরগির রোগ ও চিকিৎসা

সাধারণত ব্রয়লার মুরগি যদি আপনারা পালন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্রয়লার মুরগির রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখাটা উচিত।তাহলে পরবর্তীতে তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না আপনাদের।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা ব্রয়লার মুরগি লালন পালন করে থাকে এবং ব্রয়লার মুরগির খামার করে থাকে।

তাইতো তখন তাদের সেই সব সুবিধার দিকে বিষয় বিবেচনা করে তখন ব্রয়লার মুরগির রোগ জীবাণুগুলো দূর করতে হবে এবং ভালো চিকিৎসা করতে হবে।সাধারণত ব্রয়লার মুরগি হচ্ছে একটি সূক্ষ্ম মুরগি হওয়ার কারণে এই মুরগি গুলো রোগ জীবাণু একটু বেশি হয়ে থাকে।তবে আপনারা যদি বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন তাহলে তেমন কোন সমস্যা হবে না ব্রয়লার মুরগি লালন পালন করতে।

তবে আপনারা যদি অবহেলায় রেখে দেন তাহলে কিন্তু আবার পরবর্তীতে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।তাইতো ব্রয়লার মুরগির বিভিন্ন রোগ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:

ব্রয়লার মুরগির বিভিন্ন রোগ গুলো নিচে দেওয়া হলো:
  • সংক্রামক রোগ
  • অসংক্রামক রোগ
  • পরজীবী ঘটিত রোগ
  • অপুষ্টি জনিত রোগ
ব্রয়লার মুরগির বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিচে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো:
সংক্রামক রোগ
সাধারণত বিভিন্ন সংক্রামক রোগ গুলো যেমন বিভিন্ন রকম ভাইরাস জনিত রোগ।যেমন রানীক্ষেত এবং গাম্বোরো রোগ।এই রোগগুলোর চিকিৎসা হচ্ছে বিভিন্ন রকম ভ্যাকসিন দিয়ে নেওয়া।বিভিন্ন রকম ভ্যাকসিন দিতে হলে সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম-কানুন গুলো আমাদের আর্টিকেল থেকে খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

অসংক্রামক রোগ
এই রোগটি হচ্ছে হঠাৎ করেই মুরগি মারা যাওয়ার কারণেই অসংক্রামক রোগের কারণে মৃত্যু হয়।তাইতো এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা হয় না তবে আপনারা ভালোভাবে ঠান্ডা গরম নিয়ে সতর্ক থাকলেই এটি আর হবে না।

পরজীবী জনিত রোগ
সাধারণত পরজীবী জনিত রোগ হচ্ছে মুরগির পেটের মধ্যে বিভিন্ন রকম কৃমি তৈরি হয়ে যাওয়া।আবার মুরগির শরীরে বিভিন্ন রকমের উকুন এবং পরজীবী থাকার কারণে মুরগির শরীর স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং বাড়তি শক্তি কমে যাওয়ার কারণে মুরগি দুর্বল তাই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।এইগুলোকে সাধারণত বলা হয় পরজীবী রোগ।
তবে এই রোগের চিকিৎসা হলো বিভিন্ন রকম কৃমি দূর করার ঔষধ আছে এবং প্রাকৃতিকভাবে আবার পেঁপের সাদা আঠা,সুপারি এবং ডালিমের ফলের খোসা একসঙ্গে ভালো করে মিশ্রণ করে নিয়ে মুরগিকে খাওয়াবেন তাহলে মুরগির কৃমি দূর হবে।খাওয়াবেন তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।

অপুষ্টি জনিত রোগ
সাধারণত অপুষ্টি জনিত রোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে কোন মুরগি হাঁটতে পারে না আবার কোন মুরগির ঘাড় ব্যথা হয়ে যায়।তাইতো তখন আপনারা যদি সেই মুরগি গুলোকে বিভিন্ন রকম পুষ্টিকর খাবার এবং পুষ্টিকর ঔষধ গুলো খাইয়ে থাকেন তাহলে ভালো হয়ে যাবে।তবে অপুষ্টি জনিত রোগের সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন রকম ভিটামিনের ঔষধ এবং থায়া-৩ ঔষধটি খাওয়াতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

ব্রয়লার মুরগি সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগি শীতে কি কি রোগ হয়?
উত্তরঃ অপুষ্টি জনিত রোগ,রানীক্ষেত,মাইকোপাজমোসিস,ফাউল টাইফয়েড এবং পেটে পানি জমে যাওয়া।

প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে কেমন হয়?
উত্তরঃ চোখ মুখ লাল হয়ে ফুলে যাবে এবং ঘড় ঘড় আওয়াজ করবে।

প্রশ্নঃ ব্রয়লার মুরগির সর্দি কাশির ঔষুধের নাম কি?
উত্তরঃ 
  • টাইলোসিন
  • মাইক্রোনিড ভেট
  • পালমোকেয়ার ভেট
  • নেফটনিক

শেষ মন্তব্য | ব্রয়লার মুরগির ঠান্ডা রোগের চিকিৎসা

সাধারণত ব্রয়লার মুরগি হচ্ছে মাংস উৎপাদনকারী মুরগি হওয়ার কারণে এই মুরগি পালন করতে খুবই সুবিধা হয়ে থাকে।এক জায়গায় খামারে আবদ্ধভাবে অনেকগুলো মুরগী লালন পালন করা হয়ে থাকে।তাইতো আপনারা যদি এই মুরগিগুলো নিয়ে একটু সাবধান ও সতর্ক ভাবে ঔষধ ভ্যাকসিন ভালোভাবে খাওয়াতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মুরগিগুলো লালন পালন এবং বড় হয়ে যাবে। 

তাছাড়া আপনারা যদি অসাবধান ভাবে চলাচল করেন তাহলে কিন্তু কোন ভাবেই মুরগিগুলো বড় হবে না।তাইতো অবশ্যই আপনাদের এই মুরগিগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকা উচিত তাহলে পরবর্তীতে তেমন কোন সমস্যার আপনাদের সম্মুখীন হতে হবে না।তাইতো ব্রয়লার মুরগির রোগ এবং ঠান্ডা লাগা রোগ সম্পর্কে সব রকমের খুঁটিনাটি তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং কিভাবে সেই রোগ গুলো ভালো করবেন তার ঔষধ খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনারা ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।আশা করছি, উপরেই তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাইতো আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url