খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি এবং কোয়েল পাখির দাম ২০২৫ জানুন

সাধারণত কোয়েল পাখি যেখানে সেখানে পালন করতে পারবেন তাইতো খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা খামারে পালান করার তেমন জায়গা পাই না।তাদের জন্য খাচায় কোয়েল পাখির লালন পালন করা জানিয়ে দেওয়া হবে।তার সাথে আপডেট কোয়েল পাখির দাম ২০২৫ সম্পর্কে জানানো হবে।

খাচায়-কোয়েল-পাখি-পালন-পদ্ধতি

সাধারণত কোয়েল পাখি যদি ভালোভাবে ডিম দিতে পারে তাহলে তখন আপনাদের মনেও ভালো লাগবে।কারণ কোয়েল পাখি একটু ডিম দিতে দেরি হলে আপনারা কিন্তু চিন্তিত হয়ে পড়েন।তবে খাচায় লালন পালন করলে কোয়েল পাখির তেমন কোন সমস্যা হবে না।
পোস্টসূচিপত্রঃ

খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

সাধারণত কোয়েল পাখি আপনারা যদি খাচায় লালন পালন করতে চান তাহলে কিন্তু করতে পারেন।তাইতো খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনারা যদি মনে করেন তাহলে কিন্তু মাটিতে কোয়েল পাখির খামারের পরিবর্তে।খাচায় কোয়েল পাখিগুলো লালন পালন করতে পারেন কারণ খাচায় কোয়েল পাখি পালন করার সুযোগ সুবিধা আছে।

তবে কোয়েল পাখি গুলোকে যদি আপনারা আবদ্ধ ভাবে লালন পালন করে থাকেন তাহলে কিন্তু সব থেকে ভালো উপায় হবে।খাচায় কোয়েল পাখি লালন পালন করা।তাহলে তখন দেখবেন যে পাখিগুলো সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠবে ভালোভাবে ডিম দেবে এবং খাবার নষ্ট কম করবে।কারণ এই পাখিগুলোকে যখন আপনারা মাটিতে খামারের মধ্যে আবদ্ধভাবে বসবাস করাবেন তখন কিন্তু।
এই পাখিগুলো একই জায়গায় খাবার খাওয়া এবং পায়খানা এবং বসবাসের জায়গা হওয়ার কারণে এদের শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ জীবাণু এসে বাসা বাঁধবে।তখন কিন্তু আপনারা বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন।তাইতো সেই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের ভালোভাবে কোয়েল পাখি গুলোকে লালনপালন করাটাই উচিত।

তাইতো ভালোভাবে লালন-পালন করতে হলে তখন আপনারা খাচায় পালন করবেন তাহলে তখন দেখবেন যে কোনভাবেই প্রচুর পরিমাণে রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।তাছাড়া এই পাখিগুলোর কোনভাবে খাবার নষ্ট করবে না আবার প্রচুর পরিমাণে ডিম দেবে।তাইতো নিচে কোয়েল পাখির খাচাতে কিভাবে পালন করবেন তা জানিয়ে দেওয়া হলো:
সাধারণত কোয়েল পাখির খাচা ব্যবস্থা কেমন ভাবে করবেন এবং খাচাতে কিভাবে পালন করবেন তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • খাচা কিন্তু বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
  • তবে অবশ্যই কোয়েল পাখির পরিমাণ মতো খাচা আপনাদের তৈরি করে নিতে হবে বা কিনতে হবে।
  • তবে একটি পূর্ণবয়স্ক কোয়েল পাখির খাচায় জায়গা প্রয়োজন হবে এই ১৫০ বর্গ সেন্টিমিটার।
  • তবে কোয়েল পাখির জন্য যেই খাচাটা আপনারা কিনবেন বা তৈরি করবেন তার একপাশে দেবেন খাবার পাত্র এবং আরেক পাশে দিবেন পানির পাত্র।
  • যাতে কোয়েল পাখি সহজে পানি ও খাবার খেতে পারে।
  • তবে অবশ্যই কোয়েল পাখির খাচা গুলো ২ থেকে ৩ তলা করাই ভালো।
  • কারণ এই কোয়েল পাখির মলমূত্র আবর্জনা কিন্তু আবার আরেকটি পাখির ওপরে পড়তে পারে।
  • এই কারণে একতালা করে খাচা করবেন আর তাদের নিচে ট্রে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন যাতে মলমূত্র গুলো ট্রেতে এসে পড়ে।
  • তখন আপনারা সেই ট্রেগুলো ফেলে দিবেন তাহলেই ভালোভাবে কোয়েল পাখি গুলো লালন পালন করতে পারবেন এবং সুস্থ পরিবেশে ভালো ডিম পাবেন।
তবে কোয়েল পাখি খাচায় লালন পালন করার যেই সব সুযোগ সুবিধা আছে তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • ডিম তুলে নেওয়ার সুবিধা।
  • সহজেই পানি ও খাবার দেওয়া যায়।
  • ডিম কোনভাবেই ভেঙ্গে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
  • পাখির পায়খানা খাচার ট্রেতে পড়বে তাতেও পরিষ্কার করতে খুবই সহজ হয়।
  • সাধারণত একটি খাচায় ৫টি করে কোয়েল পাখি রাখা যায় তবে বড় খাচা হলে ২০ থেকে ৩০ টাও পাখি রাখা যেতে পারে।
  • কোয়েল পাখির খামার মাটিতে করার চেয়ে খাচায় করা শতগুণে ভালো।
  • কোয়েল পাখির খাচা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা খুবই সহজ।
  • কোয়েল পাখির খাচাতে কোনভাবেই ইঁদুর বা অন্য কোন প্রাণী প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কোয়েল পাখির মলমূত্রের কোন দুর্গন্ধ বা কোন ভাইরাস হবে না।
  • খাচায় কোয়েল পাখি পালন করার ফলে অন্য কোন গ্যাস সৃষ্টি হয়ে কোয়েল পাখি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
  • কোয়েল পাখি গুলো খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় এবং এই কোয়েল পাখি গুলোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আপনারা নিজেই বুঝতে পারবেন।
  • তবে মাটিতে কোয়েল পালনের চেয়ে খাচাতে কোয়েল পাখি পালন করা খুবই লাভজনক এবং খুবই ভালো।কারণ এই পাখিগুলোর রোগ জীবাণু খুবই কম হয় এবং এদের খাবার নষ্ট খুব কম হয় করে।
আবার কোয়েল পাখি খাচাতে লালন পালন করলে কি অসুবিধা এবং ক্ষতির দিক তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • সাধারণত লোহার খাচা তৈরি করলে বা কিনে নিলে অনেক টাকা খরচ পড়বে।
  • নিয়মিত কোয়েল পাখির মলমূত্র আবর্জনা ট্রে থেকে পরিষ্কার করে না নিলে প্রচুর দুর্গন্ধ বের হতে পারে।
  • তাছাড়া আপনারা যদি বাঁশের বা কাঠের খাচা তৈরি করেন তাহলে বেশিদিন টিকবে না।
  • তবে খাচা তৈরি করতে হলে কোয়েল পাখিরে মলমূত্র আবর্জনা নিচে পড়বে তার জন্য ট্রে দিতে হবে তাই আলাদা লেয়ার তৈরি করার জন্য আবার খরচ হবে।
  • খাচাতে কোয়েল পাখি লালন পালন করা বা খাচাতে খামার তৈরি করার যেমন সুবিধা আছে তেমন এর আবার অসুবিধা আছে।

কোয়েল পাখির দাম ২০২৫

সাধারণত কোয়েল পাখি অনেক রকমের হয়ে থাকে আবার সেই অনুযায়ী তাদের দামও অনেক রকম হয়ে থাকে।তাইতো আপডেট কোয়েল পাখির দাম ২০২৫ সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ আগে যখন মানুষ কোয়েল পাখি কিনে পালন করতো তখন কিন্তু সেই কোয়েল পাখির দাম গুলো এক রকম ছিল।

তারপরে যতদিন যাচ্ছে সেই পাখি গুলোর দামও কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে।কারণ সবকিছু খরচ অনেক কিছু বেড়ে যাওয়ার কারণে কোয়েল পাখির দামও কিন্তু বেড়ে গেছে।খাবার খরচ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় যেকোনো বয়সী কোয়েল পাখির দাম কিন্তু বৃদ্ধি হয়ে গেছে।তবে আপনারা যে কোয়েল পাখি গুলো নিবেন অবশ্যই দেখে শুনে যাচাই বাছাই করে নিবেন তাহলে ভালো পাবেন।

তবে আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে সব বয়সের কোয়েল পাখির দাম এবং কেমন দাম হবে কোয়েল পাখির তাই খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।তাইতো নিচে বিভিন্ন বয়সের কোয়েল পাখির দাম জানানো হলো:
  • সদ্য ডিম থেকে ফুটে বের হওয়া বাচ্চার দাম ৭ থেকে ১০ টাকা।
  • তারপরে ৭ থেকে ১০ দিন বয়সি বুডিং করা বাচ্চার দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
  • তারপরে মধ্য বয়সি অর্থাৎ ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সী কোয়েল পাখির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
  • প্রাপ্তবয়স্ক রানীং ডিম পাড়া কোয়েল পাখির দাম প্রতি পিস ১০০ টাকা।

কোয়েল পাখি পালন ও চিকিৎসা

সাধারণত কোয়েল পাখি যদি পালন করতে চান তাহলে আপনাদের অবশ্যই ভালোভাবে লালন পালন করতে হবে।তাইতো কোয়েল পাখি পালন ও চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানতে হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা কোয়েল পাখি পালন সম্পর্কে কোনভাবেই কোন ধারণা নেই।

তাইতো তাদের সুবিধার জন্যই আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে বের করে তাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।কারণ কোয়েল পাখি হচ্ছে খামার করা খুবই ভালো।তবে আপনারা মাটিতে খামার করতে পারেন আবার খাচাতেও খামার করতে পারেন।যেকোন ভাবে করতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।তবে আপনারা এই কোয়েল পাখিগুলো দুইভাবে লালন পালন করতে পারেন।
তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি ভালোভাবে পড়তে পারেন তাহলে আপনারা কোয়েল পাখি পালন করা এবং কোয়েল পাখি চিকিৎসা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।তবে কোয়েল পাখি পালন করার আগেই কোয়েল পাখির বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে।তাইতো নিচে কোয়েল পাখির বিভিন্ন রোগ জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • রক্ত আমাশয় হতে পারে
  • ক্ষত সৃষ্টিকারী অস্ত্রপ্রদাহ
  • কৃমি আক্রমণ করবে
  • ক্লোমনালী প্রদাহ
  • কলিসেপ্টিসেমিয়া
  • ব্রুডার নিউমোনিয়া
  • মারেক্স রোগ
  • ম্যানিবালিজম
  • কার্ল টো প্যারালাইসিস
  • ডিম আটকে যাওয়া
রোগের নামঃ রক্ত আমাশয়
লক্ষণঃ যখন কোন কোয়েল পাখির বা কোয়েল পাখির বাচ্চার হবে তখন পাখিগুলো ঘন ঘন পায়খানা করবে এবং ঝিমাতে পারে।অবশেষে রক্তশূন্য হয়ে শরীর দুর্বল হয়ে মারা যাবে।
চিকিৎসাঃ প্রতি ১০০ কেজি খাবারের সঙ্গে ১২৫ গ্রাম অ্যাম্প্রোলিয়াম মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।তাহলে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।

রোগের নামঃ ক্ষত সৃষ্টিকারী অস্ত্রপ্রদাহ
লক্ষণঃ এই রোগটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।এই রোগ এমন একটি রোগ যা হলে ভালো করা খুবই কঠিন।এ রোগ কোয়েল পাখির পুরো শরীরে আক্রমণ করে।এক চোখ বন্ধ হয়ে যায় এবং রক্ত পাতলা পায়খানা হয়।বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে পাখি মারা যায়।
চিকিৎসাঃ সাধারণত আপনারা একটি ভেটেনারি ডাক্তারকে দেখিয়ে তারপরে মাল্টিভিটামিন বা অন্য কোন যে ঔষধ গুলো দিবে সেগুলো খাওয়াতে পারেন।তাহলে তখন দেখবেন যে দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

রোগের নামঃ কৃমি আক্রমণ
লক্ষণঃ আক্রান্ত কোয়েল পাখি পাতলা পায়খানা করবে।পেটে যদি প্রচুর পরিমাণে কৃমি হয় তাহলে কোয়েল পাখি শুকিয়ে মারা যাবে।
চিকিৎসাঃ কোয়েল পাখিকে কেমন কোন ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং কোয়েল পাখির লিটার পরিবর্তন করে দিতে হবে।তাছাড়া আপনারা যদি খাচায় কোয়েল পাখি পালন করেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন তাতে কোন রকমের কৃমি আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

রোগের নামঃ ক্লোমনালী প্রদাহ
লক্ষণঃ এই রোগ হলে কোয়েল পাখি হাচি কাসি করবে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে।তাছাড়া যেকোন কোয়েল পাখিকে সর্দি লাগার ফলে ঘড় ঘড় আওয়াজ করতে পারে।
চিকিৎসাঃ সর্বপ্রথম সেই কোয়েল পাখি গুলোকে চিহ্নিত করে আলাদা করে ফেলতে হবে।তারপরে কোন ভেটেনারি চিকিৎসকের কাছে কোয়েল পাখিটিকে নিয়ে যেয়ে দেখে শুনে তারপরে এন্টিবায়োটি ওষুধ খাওয়ালে ভালো হয়ে যাবে।

রোগের নামঃ কলিসেপ্টিসেমিয়া
লক্ষণঃ এই রোগ হলে কোয়েল পাখির প্রচুর হাসি কাশি হবে এবং নাক দিয়ে ফেনা উঠতে পারে। তাছাড়া চোখ দিয়ে পানি পড়বে এবং ঘরঘর আওয়াজ করতে পারে।
চিকিৎসাঃ তাই ৫ থেকে ১০ কেজি খাবারের মধ্যে ৫০০ মিলিগ্রাম রেনামাইসিন মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াতে পারেন।তাহলে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।

রোগের নামঃ ব্রুডার নিউমোনিয়া
লক্ষণঃ সাধারণত এই রোগটি হয় বাচ্চাদের যখন ব্রুডার করা হয় তখন।এই ব্রুডার নিউমোনিয়া হলে কিন্তু অনেক বাচ্চা মারা যেতে পারে।তাইতো তখন আপনাদের সতর্কভাবে ব্রুডার করতে হবে।তবে ব্রুডারে বাচ্চা কিন্তু অনেক রকম ভাবে মারা যেতে পারে।
চিকিৎসাঃ তাই আপনারা ভেটেনারি চিকিৎসকের কাছে থেকে সেই রোগটি হয়।তাই ব্রুডার নিউমোনিয়ার ঔষধ নিবেন যা পানীতে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো উপকার পাবেন।পানিতে খাওয়াবেন কারণ বাচ্চাগুলো যত দ্রুত পানি খাবে তত দ্রুত সেরে উঠবে।

রোগের নামঃ মারেক্স রোগ
লক্ষণঃ এই রোগে আক্রান্ত হলে কোয়েল পাখি বা কোয়েল পাখির বাচ্চা কোন কিছুই খাবে না।শুধু এবং পুরো শরীর সাদা হয়ে যাবে।তখন তাদের শরীরে ডায়রিয়া ক্ষুধামান্দ্য এবং অনিহা দেখা দিবে তখন কিন্তু মারা যাবে।
চিকিৎসাঃ এই রোগটি হয় সাধারণত বিভিন্ন রকম ভ্যাকসিনের কারণে।তবে অবশ্যই কোয়েল পাখি পালন করতে হলে ভ্যাকসিনগুলো দিয়ে নেওয়াটা উচিত।তাহলে পরবর্তীতে তেমন কোন সমস্যা হবে না।

রোগের নামঃ ম্যানিবালিজম বা ঠোকরা-ঠুকরি
লক্ষণঃ সাধারণত এই রোগটি হলে একটি পাখি আরেকটি পাখিকে ঠোকরা-ঠুকরি করবে এবং নিজেরাই নিজেদের শরীরে ঠকিয়ে মাংস খেয়ে নিতে পারে।তবে এই রোগটি হয় আমিষ এবং লবনের অভাবের কারণে তাইতো এই রোগ হলে অবশ্যই আপনাদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেটেনারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।যাতে এই রোগটি ভালো করতে পারেন।
চিকিৎসাঃ ডাক্তারের কাছে যেয়ে বিভিন্ন রকম ঔষধ দেবে সেই গুলো নেবেন তাছাড়া মাল্টিভিটামিন খাওয়ালে এই রোগ গুলো সেরে যাবে।

রোগের নামঃ কার্ল টো প্যারালাইসিস
লক্ষণঃ এই রোগটি হয় ভিটামিন বি২ এবং রাইবোফ্লাভিনের অভাবের কারণে।তবে এই রোগ হলে কোয়েল পাখি কোন ভাবে হাঁটতে পারবে না হঠাৎ করে মারা যেতে পারে।আবার হাত পা আঙ্গুল মুখ বাঁকা হয়ে যাবে শরীরের দুর্বল হয়ে যাবে ডায়রিয়া হয়ে ক্ষুধামান্দার কারণে কোয়েল পাখি মারা যেতে পারে।
চিকিৎসাঃ ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াবেন মাল্টিভিটামিন ঔষধ খাওয়াবেন ভিটামিন জাতীয় শাকসবজি কচি ঘাস খাওয়াবেন।যেকোনো ভিটামিন জাতীয় জিনিস খাওয়ালে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।

রোগের নামঃ ডিম আটকে যাওয়া
লক্ষণঃ এই রোগটি হলে কোয়েল পাখি সবসময় ছটফট করবে।কোনভাবেই ডিম দিতে পারবে না তাই পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হবে।তবে এই রকম অবস্থা যদি থেকে যায় আপনারা যদি না বুঝতে পারেন তাহলে পেটের মধ্যে ডিম ভেঙ্গে গেলে কোয়েল পাখি মারা যাবে।
চিকিৎসাঃ তখন আপনারা কোয়েল পাখি গুলোর পায়ুপথে হালকা গরম পানির শেক দিতে পারেন।তাছাড়া কোয়েল পাখির পায়ুপথে পিচ্ছিল কারক কিছু জিনিস লাগিয়ে দিতে পারেন।তাছাড়া মাল্টিভিটামিন খাওয়ালে একা একাই এই রোগ গুলো ভালো হয়ে যাবে।

কোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য

সাধারণত কোয়েল পাখি যখন আপনারা পালন করবেন তখন কিন্তু এমনিতেই বুঝতে পারবেন।তাইতো কোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত এই কোয়েল পাখি গুলো যখন পালন করবেন আপনারা যখন কিন্তু এইগুলো মাটিতে লালন পালন করতে পারেন।তবে মাটির থেকে কোয়েল পাখি গুলো খাচাতে লালন পালন করা অনেকটাই ভালো।

কারণ মাটিতে যদি কোয়েল পাখির লালন-পালন করেন তাহলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের রোগ জীবাণু এসে কোয়েল পাখি গুলোর অবস্থা খারাপ করে দেবে।তাইতো আপনারা যদি একটু খরচ বেশি হয় তাও কোয়েল পাখিগুলো খাচায় লালন পালন করতে পারেন তাহলে ভালো সুবিধা পেয়ে যাবেন।তাইতো নিচে কোয়েল পাখির কিছু বৈশিষ্ট্য জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • কোয়েল পাখি গুলো সাধারণত ধূসর বাদামী কালারের হয়ে থাকে।
  • বেশিরভাগ কোয়েল পাখি ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ডিম দিয়ে থাকে।
  • এই কোয়েল পাখি গুলো ৮ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ডিম দেয়।
  • কোয়েল পাখিগুলো বছরে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টি পর্যন্ত ডিম দিতে পারে।
  • কোয়েল পাখির খাবার বিভিন্ন বীজ,সুষম খাদ্য,বিভিন্ন ফিড ও পোকামাকড়।
  • সাধারণত কোয়েল পাখি নির্জন জায়গায় থাকতে পছন্দ করে থাকে।
  • পুরুষ কোয়েল পাখির গলার নিচের রং বাদামী সাদা হয়।
  • মহিলা কোয়েল পাখির গলার নিচের রং বাদামি হলুদ হয়।
  • প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কোয়েল পাখি গুলোর ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম।
  • প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কোয়েল পাখির গুলোর ওজন ১২০ থেকে ২৫০ গ্রাম।
  • প্রাকৃতিক ভাবে এবং কৃত্রিম ভাবে কোয়েল পাখি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে ১৭ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে।
  • তবে কোয়েল পাখির অনেক বৈশিষ্ট্য দিক থাকার কারণে কোয়েল পাখি অনেক মানুষ পালন করে।

কোয়েল পাখির ডিম ফুটানোর পদ্ধতি

সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম আপনারা যেই কোনভাবে ফুটাতে পারেন।তাইতো কোয়েল পাখির ডিম ফুটানোর পদ্ধতি আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত কোয়েল পাখির বীজ ডিম আপনারা যদি ইনকিউবিউটরে দিয়ে ফুটাতে পারেন তাহলেও বাচ্চা বের হবে।এমনকি কোন হাঁস-মুরগির নিচে দিয়ে ডিম ফুটিয়ে নিতে পারেন তাও হবে।

তবে যেকোন ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় লাগে ১৭ থেকে ১৮ দিন।তবে প্রাকৃতিকভাবে এবং কৃত্রিমভাবে দুইভাবে কোয়েল পাখির ডিম ফুটালে বাচ্চা বের হবে কোন সমস্যা হবে না।তবে শুধু আপনারা দেখে শুনে কোয়েল পাখির বীজ ডিমগুলো কিনবেন তাহলেই বাচ্চা ফুটে বের করতে পারবেন তাছাড়া কিন্তু কোন ভাবেই কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটে বের করতে পারবেন না।
যদি আপনারা হ্যাচারিতে দিয়ে ফুুটাতে চান তাহলে হ্যাচারী গুলো যদি ডিজিটাল হয় তাহলে কিন্তু সেই ডিমগুলো আপনাদের নাড়াতে চাড়াতে হবে না।তাছাড়া অবশ্যই আপনারা যদি এমনি কোন লাইট সিস্টেমের মাধ্যমে হালকা ইনকিউভেটর দিয়ে বাচ্চা ফুটাতে চান তাহলে তখন ৯৮ থেকে ১০১০ ফা পর্যন্ত তাপমাত্রায় রেখে ডিম নাড়িয়ে চাড়িয়ে বাচ্চা ফুটাতে হবে।

কোয়েল কি পুরুষ ছাড়া ডিম পাড়ে

সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন রকম কোয়েল সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকে।কোয়েল কি পুরুষ ছাড়া ডিম পাড়ে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।হ্যাঁ অবশ্যই কোয়েল পাখি পুরুষ কোয়েল পাখি ছাড়া ডিম দিয়ে থাকে।কারণ এখনকার দিনে অনেক রকমের ডিম দেওয়ার বিভিন্ন রকম ঔষুধ খাবার বের হয়েছে যেগুলো খাওয়ালে পুরুষ কোয়েল পাখি ছাড়াই ডিম দিয়ে থাকে।

সাধারণত আপনারা যদি প্রচুর পরিমাণে ডিম উৎপাদন করতে চান তাহলে মহিলা কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন।আবার যদি মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখি পালন করতে চান তাহলে পুরুষ কোয়েল পাখি পালন করতে হবে।তাছাড়া আপনারা যদি মনে করেন কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটিয়ে বাচ্চা বিক্রি করবেন কিংবা খামারের জন্য বাচ্চা ফোটাবেন তাহলে কিন্তু কোয়েল পাখি উভয় রাখতে হবে।

৪টি মহিলা কোয়েল পাখির সঙ্গে ১টি পুরুষ কোয়েল পাখি রাখতে হবে।তাহলে তখন দেখবেন যে বীজ ডিম তৈরি হয়ে যাবে।

কোয়েল পাখি বেশি ডিম পাড়ার উপায়

সাধারণত কোয়েল পাখি গুলোকে যদি আপনারা ভালো খাবার দিতে পারেন তাহলে কিন্তু বেশি পরিমাণে ডিম দেবে।তাইতো কোয়েল পাখি বেশি ডিম পাড়ার উপায় আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা অল্প বয়সী কোয়েল পাখি গুলো কিনে খাওয়াতে খাওয়াতে বিরক্ত হয়ে যায় কিন্তু তারা পরবর্তীতে আর কোনভাবেই কোয়েল পাখিগুলো তেমন কোন পরিচর্যা করে না।

কারণ কোয়েল পাখির খামার করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোয়েল পাখির ভালো রকমের পরিচর্যা করতে হবে।কোয়েল পাখিকে কেমন হিট দিতে হবে কেমন খাবার খাওয়াতে হবে কেমন ঔষধ পানি খাওয়াতে হবে সেই সব বিষয়ে অবশ্যই আপনাদের ধারণা থাকতে হবে।তাইতো সব রকমের ধারণা আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।

তাহলে এই কোয়েল পাখি পালন বিষয়ক এবং কোয়েল পাখির রোগ চিকিৎসা বিষয়ক খাবার বিষয়ক সবকিছু ধারনা পেয়ে যাবেন।তাইতো কোয়েল পাখি গুলোকে কি খাবার খাওয়ালে বেশি ডিম দেবে এবং কেমন পরিবেশে রাখলে ভালো থাকবে তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • পরিবেশ সবসময়ই ভালো রাখতে হবে।
  • সবসময়ই সুষম এবং ভালো খাবার খাওয়াতে হবে।
  • নির্জন জায়গায় রাখতে হবে।যেখানে খামারটি স্থাপন করবেন অবশ্যই নির্জন জায়গা দেখে করবেন।
  • বিভিন্ন রকমের ভিটামিন এবং মাল্টিভিটামিন ঔষধ গুলো খাওয়াবেন।
  • বিভিন্ন রকম হরমনে ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলো ডাক্তারকে বলে খাওয়াবেন।
  • বিভিন্ন রকমের জিংক ভেট ওষুধগুলো পাওয়া যায় সেগুলো খাবেন।
  • তাছাড়া বিভিন্ন ভিটামিন বি২ ও ভিটামিন ঔষধ গুলো খাওয়াবেন।
  • ঠান্ডার দিনে অবশ্যই আপনারা ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাচের বল দিয়ে তাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

কোয়েল পাখির ঔষধ তালিকা

সাধারণত কোয়েল পাখিকে আপনারা বিভিন্ন রকমের ঔষধ গুলো খাওয়াতে পারেন।তাইতো কোয়েল পাখির ঔষধ তালিকা সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা কোয়েল পাখি গুলোকে কি ঔষধ খাওয়াবে সেই সম্পর্কে কোন তেমন ধারনা নেই।তাইতো আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে জেনে শুনে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন।
কারণ অনেক সাপ্তাহিক ঔষধ গুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের জেনে শুনে রাখতে হবে।যাতে আপনারা সেই ঔষধ গুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে বাড়িতে রাখতে পারেন একটু কিছু হলেই তখন আপনাদের খামারে বা আপনারা খাচায় কোয়েল পালন করলে সাথে সাথে তা যেন নিরাময় করতে পারেন।

তাইতো আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে কোয়েল পাখি বিষয়ক সব রকমের খুঁটিনাটি তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালোভাবে কোয়েল পাখির লালন পালন করতে পারেন।তাইতো নিচে কোয়েল পাখির বিভিন্ন রকম ঔষধের তালিকা জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • কলিসেপটিসিয়াম - এই রোগটি হলে প্রতি কেজি খাবারের সঙ্গে ১০০ মিলিগ্রাম রেনামাইসিন মিশিয়ে ৩ থেকে ৫ দিন খাওয়াবেন।
  • কোয়েলের ক্লোমনালী প্রদাহ - কোয়েল পাখির এই রোগটির এখনো চিকিৎসা কোন বের হয় নি।তবে এই রোগটি হলে যত দ্রুত সম্ভব হয় সেই কোয়েল পাখিটিকে আলাদা করে রাখবেন।তাছাড়া দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে পারেন।
  • কৃমি আক্রমণ - কোয়েল পাখির কৃমি হলে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াবেন।তাছাড়া ১ থেকে ২ মাস পর পর কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো খুবই ভালো।
  • গামবোরো - এই রোগের কোন ঔষধ হয় না তবে আপনাদের কোয়েল পাখি গুলোকে ভ্যাকসিন করে নিতে হবে।ছোট অবস্থায় একবারও ভ্যাকসিন করতে হবে আবার বড় অবস্থায় একবার গামবোরো ভ্যাকসিন করতে হবে তাহলেই আর কোন রোগ হবে না।
তাইতো কোয়েল পাখির সাপ্তাহিক যে ঔষধ গুলো খাওয়াবেন তার কিছু নিয়ম আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দিয়েছি।আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।তাইতো নিচে সাপ্তাহিক ঔষধের তালিকা জানিয়ে দেওয়া হলো:

কোয়েল-পাখির-ঔষধ-তালিকা

খাচায় কোয়েল পালন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখি কত দিন পর্যন্ত ডিম দেয়?
উত্তরঃ ৮ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ডিম দেয়।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির খাঁচার দাম কত?
উত্তরঃ ৩,০০০ টাকা থেকে ৯,০০০ টাকা পর্যন্ত।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির প্রধান খাবার কি কি?
উত্তরঃ ফিড,সুষম খাদ্য,বিভিন্ন বীজ এবং পোকামাকড়।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির দাম কত?
উত্তরঃ ছোট কোয়েল ২৫ টাকা পিস,মধ্য বয়সি কোয়েল ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস এবং প্রাপ্তবয়স্ক রানিং ডিম দেওয়া কোয়েল পাখি ১০০ টাকা পিস।

প্রশ্নঃ কোয়েল পাখির লিটার কেমন দিতে হবে?
উত্তরঃ ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পুরু করে তুষ দিতি হবে।

শেষ মন্তব্য | খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

সাধারণত আপনারা যদি ভালোভাবে কোয়েল পাখি লালন পালন করতে চান তাহলে কিন্তু করতে পারেন।তবে আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে কোয়েল পাখি বিষয়ক এবং কোয়েল পাখির যত রকমের খুঁটিনাটি তথ্য আমরা কিন্তু খুব ভালোভাবে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।যাতে আপনারা একটু হলেও উপকৃত হতে পারেন এই কোয়েল পাখি সম্পর্কে জেনে শুনে।

কোয়েল পাখি পালন করা বা কোয়েল পাখির খামার করা হচ্ছে একটি লাভজনক ব্যবসা।তবে কোয়েল পাখি পালন করা যদি আপনারা না জানেন কোয়েল পাখির খাবার সম্পর্কে কোয়েল পাখির রোগ চিকিৎসা কেমন জায়গায় রাখতে হবে কেমন আলো দিতে হবে।সেই সব সম্পর্কে যদি আপনারা ভালোভাবে না জানেন তাহলে কিন্তু কোনভাবেই কোয়েল পাখি পালন করে লাভবান হতে পারবেন না।

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url