৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ এবং রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব জানুন

সাধারণত রোজা করা অনেক সওয়াব তাইতো ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ রোজার অনেক গুলো ফজিলত হয়ে থাকে।তার সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে।

৩০-রোজার-ফজিলত-দলিল-সহ

রোজার মাসে অনেক ফজিলত এবং সওয়াব পাওয়ার কারণে আপনারা যদি রোজার মাসে বেশি বেশি নফল এবাদতগুলো করতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

সাধারণত ৩০ রোজার অনেক গুলো ফজিলত আছে তাইতো আপনাদেরকে ৩০টা রোজা পালন করা উচিত।তাইতো ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা রোজা সম্পর্কে আবার রোজার ফজিলত সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই।
তবে তারা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে গেলে তেমন ভালো তথ্য না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।তাইতো আপনাদের সুবিধার্থের জন্যই আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ৩০ রোজার বিভিন্ন রকম ফজিলত প্রমাণ সহকারে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।কারণ রমজান মাসে রোজা পালন করাটা ফরজ।

তবে রমজান মাসে আপনারা আবার বিভিন্ন রকম নফল এবাদত করতে পারেন।তাহলে অনেক রকম সওয়াব গুলো পাবেন তবে ৩০ রোজার মধ্যে কি কি ফজিলত আছে এসব কিন্তু খুব ভালোভাবে এই আর্টিকেলের নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:

গুনাহ মাফ ও আল্লাহর রহমত
সাধারণত রাসুল সাঃ বলেছেন রমজান মাসে যে ব্যক্তি সহী শুদ্ধভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
প্রমাণঃ যে সকল মুসলমান ব্যক্তি ৩০টি রোজা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পালন করে থাকে তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।তাই অবশ্যই সবার জীবন ভালোভাবে আল্লাহর হাতে পরিচালনা করার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাটা খুবই দরকার।তাই রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করা ফরজ।তাই আপনারা রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করবেন।

জাহান্নাম থেকে মুক্তি
সাধারণত রাসূল সাঃ বলেছেন রমজান মাসে জান্নাতের দরজা খুলে যায় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।তাছাড়াও যত শয়তান পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায় তাদেরকে বেঁধে ফেলা হয়।
প্রমাণঃ সাধারণত রমজান মাসে যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করবে সেই ব্যক্তি আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারবে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবে।তাই অবশ্যই রমজান মাসে আপনাদের ৩০টি রোজা করা ফরজ।

জান্নাতে রায়ান দরজা খুলে
সাধারণত রসূল সাঃ বলেছেন জান্নাতের একটি দরজা যার নাম হচ্ছে রায়ান সেটি খুলে যায়।এই দরজা দিয়ে শুধু নেকার ও ঈমানদার ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে।অন্য পাপী ব্যক্তি কোন কিছু কোনভাবেই প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রমাণঃ সাধারণত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যদি কোন ব্যক্তি রোজা পালন করে থাকে তাহলে তার জান্নাত লাভের আশা অনেকটা এগিয়ে যায়।তাইতো ৩০টা রোজা করলে আল্লাহ তাদের এই দরজা দিয়ে জান্নাতের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

লাইলাতুল কদর
রমজান মাসে এই লাইলাতুল কদরের রাতে একটি বিশেষ রাত। তাই আল্লাহ তা'আলা বলেন এই লাইলাতুল কদর মাসের চেয়ে উত্তম।
প্রমাণঃ সাধারণত লাইলাতুল কদরের রাতে যদি আপনারা রাত জেগে ইবাদত করেন।৩০টি রোজা রাখার পরে আপনারা যদি লাইলাতুল কদরের রাত্রি জাগতে পারেন তাহলে ভালো ফজিলত পাবেন।তাইতো লাইলাতুল কদরের রাত্রি জাগা খুবই উত্তম।

নফল ইবাদত ও কোরআন তিলাওয়াত
সাধারণত রমজান মাসে রোজা পালন করতে হবে এবং রোজা পালন করার সাথে সাথে নফল ইবাদত যেমন কোরআন তেলাওয়াত করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ ফরজ এবাদতের সাথে সাথে নফল ও সুন্নত ইবাদত পালন করলে ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।তাইতো আপনারা বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন।
প্রমাণঃ সাধারণত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য বেশি বেশি ভালো কোরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহর কাছ থেকে ভালো পুরস্কার লাভ করবেন।

জান্নাতের বিশেষ পুরস্কার
সাধারণত রসূল সাঃ বলেন রমজান মাসে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং আল্লাহ তালা বান্দাদের মাগফিরাতের জন্য সুযোগ প্রদান করা হয়।
প্রমাণঃ ৩০টি রোজা পালন করা এবং রমজান মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা কোরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে বিশেষ পুরস্কার দিবেন।

সাধারণত রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করতে হবে এবং রমজান মাসে অনেক রকমের নফল ইবাদত কোরআন তেলাওয়াত আপনারা করতে পারেন।সাধারণত রমজান মাসে একমাত্র সওয়াব পাওয়ার যাই অনেকগুলো করে।কারণ আপনারা একটু যদি নফল এবাদত করেন তাহলে কিন্তু ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

তাইতো যারা মুসলিম তারা অবশ্যই রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করবেন তাহলে পৃথিবীতে ভালো জীবন যাপন করতে পারবেন এবং পরকালেও ভালো পুরস্কার পাবেন।

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

সাধারণত রমজান মাসে রোজা পালন করা অনেক রকমের ফজিলত আছে তার সত্বেও সেগুলোর গুরুত্ব কিন্তু অনেক বেশি।তাইতো রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় রোজা সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য খুঁজে বেড়ায় কিন্তু তারা তেমন ভালো তথ্য কোথাও পায় না।

তাইতো তাদের সুবিধার্থের জন্যই আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সব থেকে ভালো তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই কারণ আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবেন।তবে অবশ্যই আপনাদের রোজা বিশেষ বিশেষ ফজিলত এবং গুরুত্ব কেমন সেগুলো জেনে রাখাটা উচিত তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের আর তেমন কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।তাইতো রোজার ফজিলত এবং গুরুত্বপূর্ণ নীতি আপনাদের ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • ফরজ রোজাঃ সাধারণত রমজান মাসে ৩০টি ফরজ রোজা পালন করা একজন মুসলিম ব্যক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আত্মসংযম ও আল্লাহভীতিঃ সাধারণত ৩০টি রোজা পালন করার ফলে আপনাদের আত্ম শুদ্ধ হবে এবং আল্লাহর প্রতি ভীতি সৃষ্টি হবে।তাই ৩০টি রোজা পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • দান খয়রাতঃ সাধারণত রমজান মাসে দান খয়রাতের প্রচলন বেশি তাইতো দান খয়রাত করলে প্রচুর পরিমাণে সওয়াব পাওয়া যায়।
  • কুরআন মজিদের মাসঃ সাধারণত রমজান মাসে পবিত্র আল কুরআন মজিদ নাজিল হয়েছিল।
  • লাইলাতুল কদরঃ রমজান মাসের শেষের দশকে একটি বিশেষ রাতের নাম হচ্ছে লাইলাতুল কদর।যে রাত অনেক হাজার মাসের চেয়ে অধিক উত্তম।
  • পাপের ক্ষমাঃ আপনি সারা বছর যেই পাপগুলো করেছেন তা রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদত এবং ফরজ ৩০টি রোজা পালন করার মাধ্যমে তা ক্ষমা পেতে পারবেন।
  • জান্নাত লাভঃ সাধারণত রোজাদারদের জন্য জান্নাতে একটি দরজা রায়ান নামক দরজাটি খুলে দেওয়া হয়।
  • দোয়া কবুলঃ সাধারণত রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করা এবং বেশি বেশি ফরজ এবং নফল এবাদত করে আল্লাহর কাছে যেকোনো দোয়া করলে তা কবুল হয়ে যাবে।
  • জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ সাধারণত রমজান মাসের ৩০টি রোজা পালন করার ফলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন জান্নাত লাভ করার উদ্দেশ্য বেড়ে যাবে।
  • আত্মশুদ্ধিঃ রমজান মাসের ৩০টি রোজা পালন করার ফলে আপনার আত্মশুদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ থাকে।
  • নামাজঃ রমজান মাসে ফরজ নফল সুন্নত সব নামাজ ভালোভাবে আদায় করতে হবে এবং সব নামাজের প্রতি ভালো মনোযোগ দিতে হবে।
  • কোরআন তেলাওয়াতঃ সাধারণত রমজান মাসে রোজা পালন করতে হবে এবং বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
  • দান খয়রাতঃ রমজান মাসে অভাবি ও দায়গ্রস্থ মানুষদের বেশি বেশি দান করতে হবে প্রচুর সওয়াব হাসিল করতে পারবেন।
  • দোয়াঃ রমজান মাসে বেশি বেশি এবাদত করতে হবে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে যেকোনো বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে দোয়া করতে হবে।
সাধারণত এই কাজগুলো যদি আপনারা করেন তাহলে ভালো ফজিলত পেয়ে যাবেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের আর তেমন কোন পাপের কোন গুনাহ থাকবে না।তখন আপনারা ভালোভাবে এবাদত করতে পারবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

রমজানের ফজিলত

সাধারণত রমজানে প্রচুর পরিমাণে সওয়াব এবং ফজিলত আছে।শুধু আপনাদের তা পালন করে সওয়াব হাসিল করে নিতে হবে।তাইতো রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা রমজানের ফজিলত গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই।
দিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়ায় কিন্তু তারা তেমন ভালো তথ্য কোথাও না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন রকমের হযরানির শিকার হয়ে থাকে।তবে আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে বের করে রমজানের ফজিলত আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন।

৩০-রোজার-ফজিলত-দলিল-সহ

কারণ আপনারা যদি সেগুলো পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আমাদের কিছুটা হলে উপকার হবে।কারণ আপনাদের যদি যেকোন কাজ কথা আমরা পৌঁছে দেই তাহলে অবশ্যই আমাদেরও কিছুটা পরিমানে লাভ আশা করা যায়।তাইতো আমাদের দেখানোর নির্দেশনা অনুযায়ী আপনারা যদি সেই ইবাদতগুলো করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু বিশেষভাবে ভালো সওয়াব অর্জন করতে পারবেন।তাইতো রমজান মাসের বিশেষ ফজিলত গুলো আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • সাধারণত যেই ব্যক্তি রমজান মাসে ৩০টা রোজা পালন করবে তার পূর্ববর্তী যত গুনাহ আছে আল্লাহ তায়ালা তা মাফ করে দেবেন।
  • অতিরিক্ত পাপ থেকে মুক্তি হতে হলে আপনাদের রমজান মাসে রোজা পালন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাসে রোজা পালন করা পাপের জন্য ক্ষমা পাওয়ার আল্লাহর কাছে একটি মূল্যবান উপায়।
  • রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা পালন করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • রমজান মাসে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হয়।
  • রমজান মাসে একজন মুসলিম ব্যক্তি ৩০টি রোজা পালন করলে জান্নাত লাভের আশা বেড়ে যায় এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যায়।
  • রমজান মাসে ৩০টি রোজা এবং ইবাদত ও কোরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করার পথ সুগম হয়ে যায়।
  • সাধারণত জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা আছে সেই দরজা দিয়ে শুধু রোজদার ব্যক্তিরা জান্নাতের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে অন্য কেউ কোনভাবেই পারবে না।
  • রোজা রাখলে বিশেষ পুরস্কার পাওয়া যাবে জান্নাতের মধ্যে।
  • রমজান মাসে লাইলাতুল কদর নামে একটি বিশেষ রাত্রি আছে।যেটা হাজার রাত্রি চেয়ে অনেকগুণ উত্তম।তাইতো সেই রাত্রে আল্লাহতালার ইবাদত করলে দোয়া করলে তা কবুল হবে।
  • রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করবে তার ওপর আল্লাহতালা মাগফিরাত রহমত বরকত দান হবে।
  • সাধারণত রমজান মাসে নফল ইবাদত ও কোরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আল্লাহতালা তাকে ফরজ এবাদত করার সওয়াব দান করবে।
  • এই রমজান মাস হচ্ছে আল্লাহ তাআলার রহমতে লাভ করার এবং মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ।

রোজার আয়াত ও হাদিস

সাধারণত রমজান মাসে রোজা পালন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাইতো রোজার আয়াত ও হাদিস সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত আপনারা যদি ভালোভাবে রোজা পালন করতে পারেন তাহলে কিন্তু তখন অনেক গুলো সওয়াব হাসিল হবে এবং পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

যেকোন মুসলিম ব্যক্তি জীবনে অনেকগুলো পাপ হয়ে থাকে তাইতো তারা যদি রোজার মধ্যে বেশি বেশি হাদিস ও কোরআনের আয়াতগুলো পালন করে থাকে তাহলে তখন তার এমনিতেই পাপ মুক্তি হয়ে অনেক সওয়াব পেয়ে যাবে।সাধারণত রমজান মাসে রোজা রাখার অনেক রকমের ফজিলত এবং হাদিসের সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনারা শুধু পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন।রমজান মাসের সব হাদিসগুলো আছে সেইগুলো নিচে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো:

রমজান মাসে আগমন
জান্নাতের দরজা খুলে যাওয়া এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া।তাছাড়াও শয়তানকে শেকল বেড়িবাধ দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়।

রমজান মাসে রোজার ফজিলত
রমজান মাসে অনেক রকমের রোজার ফজিলত গুলো আছে আপনারা শুধু আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে দেখে জেনে নেবেন তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন।

রমজানের শেষের দশকে তাহাজ্জুদ
সাধারণত রমজান মাসের শেষের দশকে আপনারা তাহাজ্জুতের নামাজ বেশি বেশি করে পড়বেন তাহলে আপনাদের জীবনের যত গুনাহ আছে সব কিন্তু মাফ পেয়ে যাবেন।

রমজানের শেষ রাত
রমজানের শেষের দশকে লাইলাতুল কদর রাত।এই রাতে অনেক হাজার রাতের চেয়ে উত্তম রাত।তাই আপনারা এই রাতে বেশি বেশি ইবাদত করবেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাদের জীবনের যত গুনাহ আছে সব মাফ করে দেবে।

রমজানের রোজা ভাঙ্গার ফজিলত
সাধারণত যে ব্যক্তি একজন রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় তার জন্য রোজাদারদের সমপরিমাণ সওয়াব তাকে দেওয়া হয়।

নফল রোজার ফজিলত

সাধারণত নফল রোজার অনেক রকমের ফজিলত আছে তাইতো সেইগুলো আপনারা যদি না জানেন তাহলে কোন ভাবেই বুঝতে পারবেন না।তাইতো নফল রোজার ফজিলত গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা নফল রোজা পালন করে থাকে প্রতি মাসে একটি থেকে দুইটি বা অনেকগুলো পালন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
নফল রোজার কি কি ফজিলত আছে সেই সম্পর্কে।তবে সাধারণত নফল রোজা জানতে পারবেন না তারা অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি ভালোভাবে পড়ে দেখে জেনে নিবেন।তাহলে আশা করা যায় যে সব নফল রোজার ফজিলত গুলো সম্পর্কে সবকিছু ভালোভাবে জানতে পারবেন তাহলে পরবর্তীতে তেমন কোন সমস্যার মধ্যে আপনারা পড়বেন।

নফল-রোজার-ফজিলত

কারণ এই নফল রোজার ফজিলত অনেক বেশি তাই আপনাদের নফল রোজা বছরে কয়েকটি বা কিছু পরিমাণ করা উচিত।তাহলে তখন আপনাদের রোজা করার অভ্যাসটাও থাকবে এবং অনেক সওয়াব পাবেন এবং বিশেষ পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।তাইতো নফল রোজার কি কি ফজিলত সেগুলো নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • নফল রোজা করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
  • নফল রোজা ভেঙ্গে ইফতারি করার মাধ্যমে ওয়াজিব রোজা কাজাও আদায় হয়ে যায়।
  • আপনারা পালন করতে পারেন এমন কোন সমস্যা হবে না।
  • তবে নফল রোজা আপনারা সারা বছর করতে পারে এমনিতে কোন সমস্যা নেই।সেই একটি থেকে দুইটি বা তিনটি থেকে চারটি করতে পারেন।
  • সাধারণত নফল রোজা করলে অনেক সওয়াবও পাবেন তার সাথে রোজা করার অভ্যাসও থাকবে।
  • তাইতো আপনারা নফল রোজা করবেন তাতেও ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।
  • নফল রোজা করবেন বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন তাহলে সব দোয়া কবুল হয়ে যাবে।
  • তাছাড়া নফল রোজা করলে ছোটখাটো বিপদ আপদ রোগ এবং পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

৩০ রোজার ফজিলত সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ রোজা ফরজ হয় কখন?
উত্তরঃ সুবহে সাদিক অর্থাৎ ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে রোজা করা শুরু হয়।তখন সেহেরী করে সারাদিন না খেয়ে আল্লাহর ইবাদত করে সন্ধ্যাবেলায় সূর্য যখন অস্ত যায় তখন ইফতারি করার ফলে রোজা ফরজ হয়।

প্রশ্নঃ রমজান শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ তাপমাত্রা বা শুষ্কতা।

প্রশ্নঃ রোজা কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ রোজা ৬ প্রকার যথা:
  • ফরজ রোজা
  • ওয়াজিব রোজা
  • সুন্নাত রোজা
  • মুস্তাহাব রোজা
  • নফল রোজা
  • হারাম রোজা
প্রশ্নঃ পবিত্র রমজান মাস ছাড়াও আরো কয় প্রকার ও কি কি রোজা আছে?
উত্তরঃ আরো ৬ প্রকার রোজা আছে যথা:
  • শাওয়ালের ছয় রোজা
  • আরাফার দিন রোজা
  • মুহররমের রোজা
  • আশুরার রোজা
  • সাবানের রোজা
  • প্রতি মাসে তিন রোজা
  • সপ্তাহে দুইদিন রোজা
প্রশ্নঃ রোজা না রাখলে শাস্তি কি?
উত্তরঃ ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে রোজা।তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা না রাখলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে পরকালে।

শেষ মন্তব্য | ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

সাধারণত আপনারা যদি রমজান মাসে ৩০টি রোজা পালন করে থাকেন তাহলে ভালো সুফল পাবেন।কারণ এই ৩০টি রোজার অনেক ফজিলত আছে তা সবকিছু আমরা ভালোভাবে জানিয়ে দিয়েছি।আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।

কারণ ৩০টি রোজার ফজিলত এবং ৩০টি রোজার হাদিস গুরুত্ব সম্পর্কে সব মানুষ জানতে চাই কিন্তু তারা তেমন ভালো তথ্য কোথাও পাই না।তাই আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে সব কিছু ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে সবকিছু পড়ে দেখে জেনে নেবেন।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url